রাজনীতির দুর্বৃত্তায়ন প্রত্যয়টি বাংলাদেশে জেঁকে বসেছে দু’দশক আগে থেকে। এখন আমরা সেই প্রত্যয়ের আবর্তে হাবুডুবু খাচ্ছি। আমাদের রাজনীতিকরা স্বীকার করছেন, রাজনীতি আর রাজনীতিকদের হাতে নেই। রাজনীতিতে ত্যাগ-তিতিক্ষা, সেবা-পরিষেবা এখন ‘গল্পকথার কল্পলোক’। রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের তিনটি অনিবার্য অনুষঙ্গের কথা আমরা জানি। বিশেষজ্ঞরা তিনটি M-Mussle, Money এবং Media দিয়ে এর ব্যাখ্যা করেন। মাসল মানে পেশিশক্তির ব্যবহার- অর্থাৎ সন্ত্রাসবাদ আমাদের রাজনীতি, সমাজনীতি ও অর্থনীতিকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলেছে। সন্ত্রাসবাদ এখন সমৃদ্ধি অর্জন করতে করতে উন্নয়নের মহাসড়কে পৌঁছেছে। স্বাভাবিকভাবেই দুর্বৃত্তায়নের দ্বিতীয় অনুষঙ্গ- অর্থাৎ মানি তার সহযাত্রী হয়েছে। মানি বৃহত্তর অর্থে ক্যাপিটাল বা পুঁজি। অবশ্য মার্ক্সীয় ব্যাখ্যায় পুঁজিই সব। রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের তৃতীয় উপকরণ গণমাধ্যম। এটি রাজনীতিকে প্রভাবিত ও প্রতারিত করছে। বিজ্ঞজনরা আশঙ্কা করেন, যেভাবে গণমাধ্যমের মালিক-মোক্তাররা রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করছেন- শিগগিরই তারা সন্ত্রাস, মানি ও গণমাধ্যম দুর্বৃত্তায়নের তৃতীয়মাত্রা হয়ে উঠবেন।
আমাদের আজকের আলোচ্য বিষয় দুর্বৃত্তায়নের দ্বিতীয়মাত্রা মানি-বিষয়ক। মানি মানে অর্থনীতির সব বিষয়াদি। ব্যবসায়-বাণিজ্য, কৃষি-শিল্প, আমদানি-রফতানি সব কিছুই অর্থনীতির আওতাভুক্ত। উৎপাদনের সব উপায়-উপকরণ অর্থনৈতিক কাজ বলে কথিত। রাষ্ট্রব্যবস্থায় একটি শক্ত বিতর্ক হচ্ছে- রাজনীতি অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করবে-নাকি অর্থনীতি রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করবে। কিতাবি ভাষায়- এটি পলিটিক্যাল ইকোনোমি বা রাজনৈতিক অর্থনীতি বলে খ্যাত। সাদামাটা ভাষায় আমরা বুঝি, রাজনীতি যদি জনগণের কল্যাণ সাধনের ব্রত হয় তাহলে অর্থনীতি হবে সুন্দর, সচ্ছল ও স্বাভাবিক। বিপরীত অর্থে অর্থনীতি যদি হয় রাষ্ট্রের চালক তাহলে অর্থনৈতিক সুবিধা প্রাধান্য পাওয়াই স্বাভাবিক।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিগত ৫২ বছরে ভালো হোক-মন্দ হোক- রাজনীতিই ছিল অর্থনীতির পরিচালক। এখন দিন বদলে গেছে। খারাপ করে বললে এভাবে বলা যায়- ‘কুকুরে লেজ নাড়াবে নাকি লেজ কুকুরকে নাড়াবে’ সেটিই প্রশ্ন। প্রশ্নটি উত্থাপনের শক্তি ও সাহস রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের নেই, অর্থনীতিবিদদের আছে। বাংলাদেশ জাতিরাষ্ট্রের অর্থনীতি যে এখন রাজনীতিই সর্বাত্মক নিয়ন্ত্রণ করছে এমন সব সত্য কথা উচ্চারিত হয়েছে গবেষণা সংস্থা ‘সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনোমিক মডেলিং’-সানেমের গত সপ্তাহের এক সম্মেলনে। বুনিয়াদি অর্থনীতি যদি রাষ্ট্রকে পরিচালনা করে তাহলে বিচ্যুতি কম হওয়ারই কথা। কিন্তু যখন লোভি-লুটেরা রাজনীতিবিদরা অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করেন তখন বাণিজ্যই বড় হয়ে ওঠে, জনকল্যাণ নয়। তাদের ক্ষমতা এখন এতটাই অপ্রতিহত যে, তারাই এখন রাষ্ট্রের নিয়ন্তা, ভাগ্যবিধাতা।
বাংলাদেশ রাষ্ট্রে অর্থনীতি তথা পুঁজিবাদের বিকাশ ও উন্নয়ন নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাখ্যা উপস্থাপিত হয় ওই সম্মেলনে। ব্যবসায়ীরা যে বাংলাদেশ জাতিরাষ্ট্রের শাসক শ্রেণীর অংশে পরিণত হয়েছেন তা প্রমাণযোগ্য হয়ে ওঠে অর্থনীতিবিদদের বিশ্লেষণে। উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপিত হয়- ১. দেশে একসময় দীর্ঘ দিন ধরে কৃত্রিমভাবে ডলারের বিনিময় হার স্থির রাখা হয়েছে। ২. আমদানিকারকদের চাপে টাকার অবমূল্যায়ন করা যায়নি। ৩. রাষ্ট্রের শ্রেণিচরিত্র যখন পুঁজিনির্ভর হয়ে ওঠে তখন রাষ্ট্র দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়। ৪. আইন-কানুন, পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন কোনো কাজে আসে না। ৫. যেকোনো সংস্কার কার্যক্রম এই প্রভাবশালী গোষ্ঠীর চাপে অকার্যকর হয়ে পড়ে। ৬. দেশের ভেতরে গ্যাসকূপ খনন না করে রাজনৈতিক বাণিজ্যিকীকরণের স্বার্থে এলএনজি-নির্ভরতা তৈরি করা হয়।
সানেম সেমিনারের শেষ অধিবেশনের বিষয়বস্তু ছিল- ‘রাষ্ট্র ও ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর ক্ষমতার গতিতত্ত্ব; বাংলাদেশে কিভাবে পুঁজিবাদের বিকাশ হচ্ছে।’ অর্থনীতিবিদরা মন্তব্য করেন, বাংলাদেশে পুঁজিবাদের বিকাশ হয়েছে রাষ্ট্রকে দহন, শোষণ ও অবলোকনের মাধ্যমে। নিয়ন্ত্রণমূলক নীতি-নির্ধারণের মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহ করা হয়েছে। আগামীতেও এর বাইরে কেউ এগোতে পারবে বলে মনে হয় না। রাজনীতিতে পুঁজিপতিদের প্রভাব ক্রমেই প্রকট হয়ে উঠছে। উপস্থাপিত নিবন্ধে ড. দেবপ্রিয় ভাট্টাচার্য আরো বলেন, প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশে পুঁজি আহরিত হয়েছে তিনটি উপায়ে- প্রথমত, স্বাধীনতার পর যেসব পরিত্যক্ত সম্পদ ছিল, সেগুলো দখল ও লুট করা হয়েছে। দ্বিতীয়ত, বিদেশীদের সহায়তায় অনেক অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প নিয়ে সেখান থেকে পুঁজি সংগ্রহের চেষ্টা করা হয়। তৃতীয়ত, আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে বেশির ভাগই আত্মসাৎ করা হয়েছে। সেখান থেকেই অনাদায়ী ঋণের সূত্রপাত।
ড. দেবপ্রিয় উল্লেøøখ করেন, এ ক্ষেত্রে নব্বই দশকের পর স্টক মার্কেটে মেন্যুপুলেশন করে অর্থ লুণ্ঠন করা হয়েছে অন্তত তিনবার। আর বর্তমানে অতি মূল্যায়িত বিভিন্ন প্রকল্প থেকে অর্থ সংগ্রহ করা হচ্ছে। ফলে বাংলাদেশের পুঁজিবাদ সঠিক পথে এগোতে পারেনি।
তিনি আরো বলেন, দেশে ট্রেড বডিতে নির্বাচন হয় না, নমিনেশন বা চুক্তির মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন করা হয়। ফলে যিনি নির্বাচিত হন তিনি সংগঠনের কাছে দায়বদ্ধ থাকেন না। যে বা যারা নির্বাচিত করেছেন তার হয়ে কাজ করার চেষ্টা করেন সবসময়। দেবপ্রিয় ভাট্টাচার্যের এই মন্তব্যে এটিই প্রমাণিত হয়, প্রকারান্তরে সরকার ও ব্যবসায়ী সমাজ একাকার হয়ে গেছে। সাম্প্রতিক লাগামহীন, নিয়ন্ত্রণহীন, আকাশচুম্বী দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পেছনে বহুল কথিত সিন্ডিকেট ও সরকারের যোগসাজশ রয়েছে। ওই সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান এম এম আকাশ বলেন, রাজনীতি থেকে মানি পাওয়ার, মাসল পাওয়ার ও মেন্যুপুলেশন পাওয়ার দূর করা না গেলে দেশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ হবে না। এসব প্রভাবের কারণে বড় বড় ব্যবসায়ীর কাছে নতি স্বীকার করে সরকার। ফলে আইন-কানুন ঠিক থাকে না, সুশাসন থাকে না। তখন একই অপরাধে একজন শাস্তি পায়, অন্যজন পায় না। উপসংহারে তিনি বলেন, রাজনীতিকে যদি অর্থশক্তির হাত থেকে মুক্ত করা না যায় তবে রাজনীতি এমনই হবে। অসৎ লোকের কাছে সর্বময় ক্ষমতা চলে যায়। তখন ভোট না করেও ভোট হয়, রাতের বেলা ভোট হয়, এক টাকার কাজ করতে তিন টাকা খরচ হয়। তাই বাংলাদেশ কোন দিক যাবে তা এখনই ঠিক করতে হবে।
আলোচনায় পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সিনিয়র অর্থনীতিবিদ ড. আশিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে রাজনীতি করা খুবই ব্যয়বহুল। দেশে যেখানে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের জন্য দেড় কোটি টাকা লাগে সেখানে যুক্তরাজ্যে সংসদ সদস্য হতে এক লাখ ডলার ব্যয় করলেই চলে। এ পরিস্থিতি থেকে বের না হলে পুঁজিবাদের কাছে রাজনীতিবিদদের অবস্থা আরো দুর্বল হবে। যেসব দেশ রাজনৈতিক ব্যবস্থা ব্যয়বহুল হওয়া আটকাতে পারেনি সেসব দেশে আদানির মতো ব্যবসায়ী হবেন, ট্রাম্পের মতো নেতা হবেন।
রাষ্ট্র ও ব্যবসায় যে একাকার হয়ে গেছে অথবা রাজনীতির যে বাণিজ্যিকীকরণ ঘটেছে সে সম্পর্কে এই সেমিনারে বিভিন্ন বুদ্ধিজীবী তত্ত্ব ও তথ্য তুলে ধরেন। একটি পর্যালোচনায় বলা হয়, দেশে রাজনৈতিক মেরুকরণের সাথে সাথে ব্যবসায়ীদেরও মেরুকরণ ঘটেছে। একসময় প্রধান দুই দলের সাথেই ব্যবসায়ীদের সম্পর্ক ছিল। তখন দল অনুযায়ী ব্যবসায়িক নেতা নির্বাচিত হতেন। ২০০৯ সালের পর পরিস্থিতির ক্ষমতামুখী একক সমীকরণ ঘটেছে। এখন রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের ইঙ্গিতে অঙ্গুলি হেলনে নেতা নির্ধারিত হচ্ছে। শাসকদলের কায়দায় নির্বাচন নির্বাসনে দিয়ে স্বার্থ ও সুবিধা নিশ্চিত করা হচ্ছে। তিনি আরো মনে করেন, দেশে রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে অর্থনৈতিক দাবি-দাওয়া বা সুবিধা আদায় করা হচ্ছে। ব্যবসায়িক গোষ্ঠীগুলো সরকারের মধ্যে ঢুকে পড়েছে। এরা নীতি প্রণয়নে প্রভাব বিস্তার করছে। অনুষ্ঠানের সঞ্চালক দেশের শীর্ষস্থানীয় রাষ্ট্রবিজ্ঞানী রওনক জাহান বলেন, আগে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব-সঙ্ঘাত হতো। এখন তা হচ্ছে ব্যবসায়িক গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে। রাজনৈতিক সংস্কৃতি অর্থনীতিতেও সঞ্চারিত হচ্ছে। রাষ্ট্র সবসময় বড় ব্যবসায়ীদের সুবিধা নিশ্চিত করে। সব ব্যবসায়ীর কথা ভাবে না।
প্রফেসর রওনক জাহানের এই উক্তির সাথে এ মন্তব্য করা যায়, সাধারণ মানুষ আর রাজনীতিবিদও ব্যবসায়ীদের কূটকৌশলে নিষ্পিষ্ট হচ্ছে। অনুষ্ঠানে সিপিডির চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহান বলেন, এখন রাজনীতিকরা ব্যবসায়ীদের কাছে যাচ্ছেন। রাজনীতিতে প্রবেশাধিকার ব্যবসার অবারিত দ্বার খুলে দিচ্ছে। এ প্রসঙ্গে তিনি নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের প্রধান আসামি নূর হোসেনের কথা বলেন। তার কর্মজীবন শুরু হয় ট্রাকের হেলপার হিসেবে। রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার কারণেই তিনি এত অর্থ-সম্পদ করতে পেরেছিলেন। এ থেকে বোঝা যায়, রাজনীতি অর্থ লাভে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। অধিবেশনের মূল উপস্থাপনায় বলা হয়, ২০১৪ সালের পর থেকে দেশে এক ধরনের কর্তৃত্ববাদী দল ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। দেশের ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর ওপরও সেই প্রভাব পড়েছে। ব্যবসায়ীরা শ্রেণী হিসেবে রাষ্ট্রে শক্তিশালী হয়ে উঠছেন।
বাংলাদেশে রাজনীতির দুর্বৃত্তায়নের পর এখন দেশে রাজনীতির বাণিজ্যিকীকরণের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তৃণমূল থেকে কেন্দ্রীয় পর্যায় পর্যন্ত এ অবস্থা পরিদৃষ্ট হচ্ছে। ১৯৭১ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে অর্থাৎ প্রথম সংসদ থেকে একাদশ সংসদে- ক্রমেই ব্যবসায়-বাণিজ্যধারীরা অধিকতর সংখ্যায় নির্বাচিত হয়েছেন। একটি পরিসংখ্যানে বলা হয়, একাদশ জাতীয় নির্বাচনে শপথ নেয়া সংসদ সদস্যদের ১৮২ জনই অর্থাৎ ৬১ দশমিক ৭ শতাংশ পেশায় ব্যবসায়ী। এর মধ্যে মহাজোট থেকে নির্বাচিত পেশায় ব্যবসায়ী আছেন ১৭৪ জন- অর্থাৎ ৬০ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং ঐক্যফ্রন্ট থেকে নির্বাচিত আছেন পাঁচজন। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য হওয়া তিনজন পেশায় ব্যবসায়ী।
ব্যবসায়ীদের এই বৃদ্ধি প্রমাণ করে, রাজনীতিকদের অবস্থান ক্রমেই ক্ষীণ হয়ে আসছে। এ দেশে এমন সময় ছিল, যখন ব্যবসায়ীরা সংসদে যাওয়ার স্বপ্ন দেখতেও পারতেন না। রাজনীতিবিদরা ছিলেন জনগণের জন্য নিবেদিতপ্রাণ। এখন এরা অর্থ-বিত্ত, ব্যবসায়-বাণিজ্য তথা টাকার পাহাড় গড়ায় নিবেদিতপ্রাণ। নাগরিক সাধারণ প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় প্রায় একই দৃশ্য দেখতে পাবেন। এ দৃশ্যের যদি পরিবর্তন ঘটাতে হয় তাহলে অবশ্যই রাজনীতিকদের হাতে রাজনীতি ফিরিয়ে দিতে হবে। রাজনীতিকদের হাতে ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার পূর্বশর্ত হচ্ছে- সব সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। সে লক্ষ্যেই ধাবিত হোক রাজনীতি।
লেখক : অধ্যাপক, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
Mal55ju@yahoo.com
সোর্স : নয়া দিগন্ত