রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে এক সপ্তাহ আগেও ব্রয়লার মুরগি কেজিপ্রতি বিক্রি হতো ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। সেই মুরগি দাম বেড়ে গতকাল শনিবার বিক্রি হয়েছে ১৯০ টাকায়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, হয়তো ডাবল সেঞ্চুরি ছুঁয়ে ফেলবে এই দাম।
সোনালি মুরগির দামও একই হারে বাড়ছে। গত সপ্তাহে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া এই মুরগি গতকাল বিক্রি হয় ২৯০ থেকে ৩০০ টাকায়। একই সঙ্গে দাম বেড়েছে দেশি মুরগি ও ডিমের। বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ কমে যাওয়ার কারণেই দাম বাড়ছে।
গতকাল শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও জোয়ার সাহারা বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। কারওয়ান বাজারের কিচেন মার্কেটের মেসার্স মা আয়েশা ব্রয়লার হাউসের ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বাজারে মুরগির সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে। মূলত শীতকালে মুরগির রোগবালাই বেশি হয় বলে মুরগি পালন করেন না অনেক খামারি। এর ফলে এখন বাজারে ঘাটতি তৈরি হচ্ছে। আমরা চাহিদা অনুযায়ী মুরগি পাচ্ছি না, এক হাজার মুরগির অর্ডার করলে পাচ্ছি ৭০০-এর মতো।’ তিনি বলেন, ‘দাম বাড়ার কারণে এখন ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৯০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩০০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৫০০ টাকায়। আগের সপ্তাহে দেশি মুরগির দাম ছিল কেজিতে ৪৭০ থেকে ৪৮০ টাকা।’
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ফিরোজ উদ্দিন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সোনালি মুরগি সামর্থ্যের বাইরে চলে গেছে। সেটা বাদ দিয়ে ব্রয়লার মুরগি নিয়মিত খাওয়া হতো। এখন ব্রয়লার মুরগির কেজি প্রায় ২০০ টাকা। মাংস খাওয়ার আর সুযোগ থাকল না!’
রাজধানীর বিভিন্ন বাজারের কয়েকজন মুরগি ব্যবসায়ী দাম বাড়ার ব্যাখ্যা দিলেন এভাবে—পোল্ট্রি খাদ্য, বাচ্চা, ওষুধসহ সব কিছুর দাম অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে। তাই ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে। এ ছাড়া শীতকালে রোগবালাই বেশি হয় বলে খামারিরা শেডে মুরগির বাচ্চা তুলছেন না। তাঁদের আশঙ্কা, যে টাকা তাঁরা খামারে ব্যয় করবেন, বাজার পড়তির দিকে থাকলে সে টাকা আর উঠে আসবে না। এ কারণে বাজারে সরবরাহ কমেছে, যার প্রভাব পড়েছে মুরগির দামে। এক ধরনের সংকট তৈরি হয়ে ব্রয়লারের দাম বাড়ছে।
সোর্স : কালের কন্ঠ