বিশ্বজুড়ে শান্তি, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতার ভিত্তি হলো গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা। এগুলো একটির সঙ্গে অন্যটি অবিচ্ছেদ্যভাবে সংযুক্ত। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেছেন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল। এ সময় একজন সাংবাদিক তার সামনে বলেন, বাংলাদেশে প্রায় ২০০ ওয়েবসাইট সরকার বন্ধ করে দিয়েছে। তিনি জানতে চান, এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন কিনা। জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, অবশ্যই যেকোনো রকম সেন্সরশিপ এবং তথ্যভিত্তিক চ্যানেল ব্লক করে দেয়া গভীর উদ্বেগের। বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে তার কথোপকথনের সময় বাংলাদেশ প্রসঙ্গে ওই সাংবাদিক জানতে চান, আমার প্রশ্ন বাংলাদেশ নিয়ে। বাংলাদেশে আবার সমালোচকদের টার্গেট করা হয়েছে। সম্প্রতি নাগরিক সমাজের সুপরিচিত সদস্য ও মানবাধিকারকর্মী রিজওয়ানা হাসানকে বহনকারী গাড়িতে হামলা চালিয়েছে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা। আপনি জানেন সম্প্রতি সফরের সময় যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
বিজ্ঞাপন
প্রশ্নে ওই সাংবাদিক আরও জানতে চান, বাংলাদেশের একটি পুস্তক প্রকাশক ‘আদর্শ’-কে দেশের সবচেয়ে বৃহৎ গ্রন্থমেলায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই প্রকাশনীটি ভিন্নমতের লেখকদের বই প্রকাশের জন্য পরিচিত। এজন্য তাদেরকে গ্রন্থমেলায় অনুমোদন দেয়া হয়নি। রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে যে, একই প্রকাশককে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আরেকটি বইমেলায় প্যাভিলিয়ন খুলতে বাধা দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি আপনি দেখেছেন যে সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ বিষয়ে খুব বেশি সংযুক্ত রয়েছেন এবং তিনি অবাধ, সুষ্ঠু এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছেন। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কি? এ প্রশ্নের জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, আমাকে কিছু বিষয় বলতে হবে। আপনার প্রথম প্রশ্নের সঙ্গে এটা সম্পর্কিত। তা হলো, যারা মানবাধিকার এবং মর্যাদার জন্য লড়াই করছে তাদেরকে, তা সে যেখানেই হোক, প্রকাশ্যে সমর্থন দিতে দ্বিধাবোধ করবে না যুক্তরাষ্ট্র। আমি আপনাকে দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরে একজন প্রকাশক প্রসঙ্গে বলবো, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, মানবাধিকারের মতো গণতান্ত্রিক নীতির গুরুত্বের প্রতি অব্যাহতভাবে আমরা জোর দিয়ে যাবো। কারণ, এসবকিছু আমাদের গণতন্ত্রগুলোকে শক্তিশালী করতে অবদান রাখে। ওই সাংবাদিক পাল্টা প্রশ্ন করেন। জানতে চানÑ আপনি জানেন, সম্ভবত জানেন যে, বাংলাদেশ সরকার, রাষ্ট্রবিরোধী ম্যাটেরিয়াল আছে এমনটা বর্ণনা করে, আমার মনে হয়, প্রায় ২০০ ওয়েবসাইট ব্লক করে দিয়েছে। এ বিষয়ে আপনার কোনো মন্তব্য আছে? এটা কি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য আদৌ কোনো উদ্বেগের বিষয়? জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, অবশ্যই। যেকোনো রকম সেন্সরশিপ অথবা ইনফরমেশন বিষয়ক চ্যানেল ব্লক করে দেয়া গভীর উদ্বেগের বিষয়। আমি এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট রিপোর্ট দেখিনি। যদি আমরা দেখতে পাই, তাহলে আপনাকে আরও সুনির্দিষ্টভাবে জানাতে পারবো।
সোর্স : মানবজমিন