বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বনানী থানার কর্মী মাওলানা আব্দুর রাফঈকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে অস্বীকার করার তীব্র নিন্দা এবং নি:শর্ত মুক্তির দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, গত ২৫ জানুয়ারি বুধবার সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৭টায় রাজধানীর বনানীর ৩৪, কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ের অফিস থেকে বাড়ি ফেরার জন্য অফিস থেকে লিফট দিয়ে নিচে নামার সাথে সাথেই ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তাকে আটক করে সাদা মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। কিন্তু তাকে তুলে নেয়ার পাঁচ দিন অতিবাহিত হলেও তার সন্ধান না পাওয়া অথবা আদালতে সোপর্দ না করায় আমরা দেশের মানুষের মানবাধিকার নিয়ে চরম উদ্বিগ্ন।
নিখোঁজ মাওলানা রাফঈ এর পরিবার তার জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে চরম আশঙ্কায় আছেন। এরই মধ্যে তার পরিবার বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন যে যদি মাওলানা রাফঈ এর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকে তাহলে তাকে আইনানুযায়ী আদালতে তোলা হোক কিংবা তিনি কোথায় আছেন সেই সন্ধান দেয়া হোক।
তার পরিবার নিখোঁজের বিষয়ে বনানী থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে গেলেও তা গ্রহণ করা হয়নি। কিংবা তার সন্ধান দিতে সহযোগিতা করা হয়নি। যা নাগরিকদের মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘনকে আরও উসকে দিবে।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন,স্বাধীন দেশের একজন নাগরিকের এভাবে আটক, তারপর নিখোঁজ করে রাখা উদ্বেগেরই নয় বরং মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লংঙ্ঘনও বটে।
বিবৃতিতে সেলিম উদ্দিন বলেন, জনাব রাফঈ একজন আলেম ও সজ্জন ব্যক্তি। রাষ্ট্রদ্রোহী বা বেআইনী কোনো কাজে অতীতে কখনো জড়িত ছিলেন না বা এখনো নেই।
জনাব রাফঈ এর ৩টি শিশু সন্তান রয়েছে এবং তার স্ত্রী সন্তান সম্ভবা। আজ রোববার রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কথা । আল্লাহ চাহেতো দুনিয়ায় আসবে সন্তান।এ সময়ে যার কাছে থাকা প্রয়োজন তিনি কোথায়,কেমন আছেন কেউ জানেনা।
পরিবারের পক্ষ থেকে রাফঈ এর খুঁজে শাশুড়ী, শ্যালক ঘুরে বেড়াচ্ছে হাতিরঝিল, বনানী থানায় ও ডিবিতে। নিখোঁজ রাফঈ এর সন্ধানে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে আমরা দায়িত্বশীল আচরণ আশা করি।
তিনি কোনও অন্যায় করে থাকলে লুকোচুরি না করে তাকে আদালতে তুলুন। আমাদের বিশ্বাস তিনি কোন অন্যায় করেননি। কোন অপরাধ না করে থাকলে তাহলে তাকে মুক্তি দিয়ে স্ত্রীর এ কঠিন সময়ে তার পাশে থাকার সুযোগ করে দিন।