বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শৈত্য প্রবাহের কারণে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। তাই একটি দায়িত্বশীল, আদর্শবাদী ও গণকল্যাণমুখী সংগঠন হিসেবে জামায়াতে ইসলামী নির্লিপ্ত থাকতে পারে না। মূলত, ইসলামী আদর্শই হলো গণমানুষের কল্যাণ। এমতাবস্থায় নগরীর শীতার্ত মানুষের কল্যাণে আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। তিনি শীতার্ত মানুষের দুর্দশা লাঘবে এগিয়ে আসতে সরকার, সকল রাজনৈতিক দল, দাতা সংস্থা, সমাজের বিত্তবান মানুষসহ নগরীর সর্বস্তরের দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান।
তিনি আজ রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের মোহাম্মদপুর মধ্য থানা আয়োজিত শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। থানা আমীর মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মারুফ হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য জিয়াউল হাসান। উপস্থিত ছিলেন থানা কর্মপরিষদ সদস্যগণ সহ ওয়ার্ড দায়িত্বশীল বৃন্দ।
রেজাউল করিম বলেন, দেশে মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে তাপমাত্রা আশঙ্কাজনকভাবে হ্রাস পাওয়ায় সারাদেশের মত ঢাকা নগরীতেও জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও শ্রমজীবি মানুষ প্রচন্ড শীতে কষ্ট পাচ্ছেন। সর্বপরি অসহনীয় শীতের প্রকোপে সাধারণ মানুষ খুবই কষ্ট পাচ্ছেন। এমতাবস্থায় আমরা শীতার্ত মানুষের দুর্দশা লাঘবে সীমিত সামর্থ নিয়ে এগিয়ে এসেছি। আশা করি আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস শীতার্ত মানুষের দুর্দশা লাঘবে কিছুটা হলেও সহায়ক হবে।
তিনি বলেন, আর্তমানবতার কল্যাণই হচ্ছে ইসলামের মূলনীতি। সে লক্ষ্যেই জামায়াতে ইসলামী দীর্ঘদিন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জাতির যেকোন দুর্যোগকালীন মুহূর্তে ও ক্রান্তিকালে জামায়াতে ইসলামী সীমিত সামর্থ নিয়ে জনগণের পাশে থাকার সাধ্যমত চেষ্টা করেছে। সে ধারাবাহিকতায় আমরা আজ শীতার্ত মানুষের দুর্দশা লাঘবে এগিয়ে এসেছি। গণমানুষের প্রতি আমাদের এই কল্যাণকামীতা আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে-ইনশা আল্লাহ। তিনি আর্ত-মানবতার কল্যাণে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য সমাজের সকল শেণি ও পেশার মানুষের প্রতি আহবান জানান।
মহানগরী সেক্রেটারি বলেন, সরকার নিজেদের রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ করার ও জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত নির্বাচনকালীন কেয়ারটেকার সরকার পদ্ধতি বাতিল করে নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে। তারা ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মত সাজানো, পাতানো ও তামাশার মাধ্যমে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চায়। সে ষড়যন্ত্রকে নির্বিঘ্ন করার জন্য তারা বিরোধী দলের ওপর জুলুম-নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। সে ধারাবাহিকতায় পরিচ্ছন্ন ও বর্ষীয়ান জাতীয় নেতা আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে তাদের নগ্ন চেহারা জাতির সামনে উম্মুক্ত করেছে। কিন্তু আত্মসচেতন জনতা সরকারের এই হঠকারী সিদ্ধান্ত বিনা চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দেবে না। তিনি অবিলম্বে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ জাতীয় নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ এবং কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের জোর দাবি জানান। অন্যথায় চলমান দুর্বার গণআন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে গণদাবি মানতে বাধ্য করা হবে।