চীনে কোভিড আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন প্রায় ৯ হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে বলে অনুমান করছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক স্বাস্থ্য গবেষণা সংস্থা এয়ারফিনিটি। গত সপ্তাহের তুলনায় মৃতের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। রয়টার্স ও গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চলতি মাসে শূন্য-কোভিড নীতি তুলে নেয়ার পর চীনজুড়ে কোভিড সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। তবে সম্প্রতি চীন তার নাগরিকদের নিয়মিত পিসিআর পরীক্ষা এবং উপসর্গবিহীন সংক্রমণের তথ্য প্রকাশসহ করোনায় মৃত্যুর সংজ্ঞায় পরিবর্তন আনে। ফলে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর সঠিক তথ্য প্রকাশ পাচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার এয়ারফিনিটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ১ ডিসেম্বর থেকে চীনে ক্রমবর্ধমান মৃত্যুর সংখ্যা ১ লাখ ছুঁয়েছে এবং মোট ১ কোটি ৮৬ লাখ সংক্রমণ হয়েছে। সাম্প্রতিক পরিবর্তনগুলো বাস্তবায়িত হওয়ার আগে এটি চীনা প্রদেশের করোনা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে রিপোর্টটি তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এয়ারফিনিটি।
এয়ারফিনিটি পূর্বাভাস দিয়েছে, আগামী ১৩ জানুয়ারিতে চীনের কোভিড সংক্রমণ সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছাবে এবং দিনে ৩৭ লাখ সংক্রমণ ছাড়াবে। আগামী ২৩ জানুয়ারিতে প্রতিদিন মৃত্যু সর্বোচ্চ ২৫ হাজারে দাঁড়াবে। এ ছাড়াও ১ ডিসেম্বর থেকে ক্রমবর্ধমান মৃত্যু ৫ লাখ ৮৪ হাজারে পৌঁছেছে বলে জানানো হয়েছে। এ ছাড়াও এয়ারফিনিটির বিবৃতিতে, ২০২৩ সালের এপ্রিলের শেষ নাগাদ চীনজুড়ে ১৭ লাখ মৃত্যুর আশঙ্কা করছে।
সম্প্রতি চীন করোনার বাড়বাড়ন্তের মধ্যেই করোনায় মৃতের সংখ্যা গণনায় পরিবর্তন করা হয়। চীন সরকারের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, করোনা আক্রান্তদের মধ্যে যাদের রেসপিরেটরি ফেইলিওরে মৃত্যু হবে, তাদের করোনায় মৃত বলে গণ্য করা হবে।
২০২০ সালে মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত চীনের সরকারি হিসাবে কারোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২৪৬ জন। সর্বশেষ কর্তৃপক্ষ কোভিডে ১০ জন মৃত্যুর খবর দিয়েছে।
সোর্স : নয়া দিগন্ত