স্টাফ রিপোর্টার: কেয়ারটেকার সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠাসহ ১০ দফা বাস্তবায়ন এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানের মুক্তির দাবিতে গতকাল শনিবার সারাদেশে গণমিছিল করেছে জামায়াতে ইসলামী। ঢাকা ব্যতীত দেশের প্রায় সকল জেলা ও মহানগরীতে ঘোষিত কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে। নোয়াখালীতে জামায়াতের মিছিলে পুলিশের গুলীতে একজন চোখে আঘাত প্রাপ্ত হয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন আছেন। জামায়াত ঘোষিত কর্মসূচিতে হাজার হাজার মানুষ যোগদান করেছে। বিক্ষোভ ও গণমিছিল মিছিল চলাকালে দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ বিনা উস্কানিতে গুলী ও হামলা চালায় এবং নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। নোয়াখালীতে পুলিশ বিনা উস্কানিতে গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ মিছিলে গুলী চালিয়ে ৩০ জন নেতাকর্মীকে মারাত্মকভাবে আহত করেছে এবং জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা সাইয়েদ আহমাদসহ ২০ জন নেতাকর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেছে। এছাড়া চট্টগ্রাম মহানগরী, রাজশাহী মহানগরী, রংপুর মহানগরী, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, জয়পুরহাট, নাটোর, সাতক্ষীরা, কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মানিকগগঞ্জ, বি-বাড়িয়া, চাঁদপুর, সুনামগঞ্জ, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও বরগুনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায় শতাধিক নেতাকর্মীকে আহত এবং প্রায় দুই শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গণমিছিল পরবর্তী সমাবেশে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও চট্টগ্রাম মহানগরীর আমীর মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, আজকে আমাদের যারা শাসন করছে, তাদের দুর্নীতি, লুটপাট, ব্যর্থতা ও নৈরাজ্য বাংলাদেশের জনগণের জীবনটা দুর্বিষহ করে ফেলেছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে জনগণ নিদারুণ কষ্টে মুক্তির প্রহর গুণছে। যারাই প্রতিবাদ করছে তাদেরকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠাচ্ছে অথবা গুম করছে। আমাদের একটাই কথা- পদত্যাগ করুন। তিনি বলেন, আমীরে জামায়াতের মতো মানবদরদী নেতাকে মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার করে পুরো জাতির কাছে এই সরকার হাস্যস্পদে পরিণত হয়েছে। আমরা গণআন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে এই স্বৈরাচারের হাত থেকে মুক্ত করব ইনশাআল্লাহ, গণতান্ত্রিক ইসলামী মূল্যবোধের বাংলাদেশ গড়ে তুলব। পুলিশ প্রশাসন সহ সকল ভাইদের উদ্দেশ্যে বলব, আপনারা জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন না। রাতের ভোটের বাংলাদেশকে দিনের ভোটে ফিরাতে গণমানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ। প্রশাসন-জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আগামীর সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে
চট্টগ্রামে গণমিছিল: কেয়ারটেকার সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠাসহ ১০ দফা বাস্তবায়ন ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানের মুক্তির দাবিতে শনিবার চট্টগ্রাম নগরীতে গণমিছিল করে চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াত। দেশব্যাপী পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে গণমিছিলটি নগরীর ব্যস্ততম এলাকা বহদ্দারহাট থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে এক সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও চট্টগ্রাম মহানগরীর আমীর মুহাম্মদ শাহজাহান। গণমিছিলে আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর নায়েবে আমীর মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, নগর সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমীন, সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ উল্লাহ, এফ এম ইউনুছ, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী, প্রচার স¤পাদক এএইচএম কামাল, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগরীর সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান, ছাত্রনেতা নোমানুর রশিদসহ চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াত ও ইসলামী ছাত্রশিবির মহানগরী বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। গণমিছিলে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্রশিবির ছাড়াও সহস্রাধিক সাধারণ জনতা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে।
গণমিছিল শেষে সমাবেশে নগর আমীর মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, প্রিয় জন্মভূমি আজ ভালো নেই। দেশ আজ খাদের কিনারায় অবস্থান করছে, গভীর সংকটে নিপতিত। কর্তৃত্ববাদী, জুলুমবাজ, স্বৈরাচার সরকার আজ জাতীয় নেতৃবৃন্দকে কারাগারে আটকে রেখেছে। আমীরে জামায়াতের মতো মানবদরদী নেতাকে মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার করে পুরো জাতির কাছে এই সরকার হাস্য¯পদে পরিণত হয়েছে। আমরা গণআন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে এই স্বৈরাচারের হাত থেকে মুক্ত করব ইনশাআল্লাহ, গণতান্ত্রিক ইসলামী মূল্যবোধের বাংলাদেশ গড়ে তুলব। পুলিশ প্রশাসনসহ সকল ভাইদের উদ্দেশ্যে বলব, আপনারা জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন না। রাতের ভোটের বাংলাদেশকে দিনের ভোটে ফিরাতে গণমানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ। প্রশাসন-জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আগামীর সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আজকে আমাদের যারা শাসন করছে, তাদের দুর্নীতি, লুটপাট, ব্যর্থতা ও নৈরাজ্য বাংলাদেশের জনগণের জীবনটা দুর্বিষহ করে ফেলেছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে জনগণ নিদারুন কষ্টে মুক্তির প্রহর গুণছে। যারাই প্রতিবাদ করছে তাদেরকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠাচ্ছে অথবা গুম করছে। আমাদের একটাই কথা- পদত্যাগ করুন। মনে রাখবেন, গ্রেফতার-নির্যাতন করে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না, অবিলম্বে কেয়ারটেকার সরকারসহ জনগণের ১০ দফা দাবি মেনে নিয়ে শুভবুদ্ধির পরিচয় দিন। অন্যথায় জনগণ তাদের অধিকার আদায় করেই ছাড়বে।
তিনি আরো বলেন, গত ১০ ডিসেম্বর যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করায় তারা ভীত হয়ে রাতের অন্ধকারে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে, মিথ্যা ও সাজানো মামলায় এই জননন্দিত মানবদরদী নেতাকে একের পরে এক রিমান্ডে নেয়া হচ্ছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাচ্ছি। চরমপন্থার স্থান ইসলামে নেই, অতএব এর বিরুদ্ধে জামায়াতের অবস্থান দুনিয়াবাসীর কাছে পরিষ্কার। আমীরে জামায়াতের বিরুদ্ধে এই ধরনের মিথ্যা ও হাস্যকর অভিযোগ নোংরা ও প্রতিশোধের রাজনীতির নিকৃষ্ট উদাহরণ বৈ আর কিছু নয়। আমরা দাবি জানাচ্ছি, এই মিথ্যা মামলা বাতিল করে ডা. শফিকুর রহমানকে অনতিবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও জনগণের সকল ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে আছি, থাকবো ইনশাআল্লাহ। রাতের অন্ধকারে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে আর অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসতে দেয়া হবে না ইনশাআল্লাহ।
সরকার লুটপাটের স্বর্গরাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছে দাবি করে মুহাম্মদ শাহজাহান আরো বলেন, ক্ষমতা হাতছাড়া হয়ে গেলে লুটপাটও হাতছাড়া হয়ে যাবে, এ জন্যই তারা সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে ভয় পায়। তাই কেয়ারটেকার সরকারের দাবি তারা মেনে নিচ্ছে না। অবৈধ টেন্ডারবাণিজ্য, উন্নয়নের নামে বরাদ্দকৃত অর্থ নিজেদের পকেটে ঢুকানো, ব্যাংকে জনগণের আমানতের টাকা সরানো ইত্যাদিতে আওয়ামী সরকারের সর্বস্তরের নেতারা মশগুল। এ দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য জামায়াতে ইসলামী শত বাঁধা বিপত্তি অতিক্রম করে শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলন চালিয়ে যাবে। তিনি আগামীদিনের সকল কর্মসূচিতে দল-মত নির্বিশেষে সকলকে রাজপথে অগ্রণী ভূমিকা রাখার উদাত্ত আহ্বান জানান।
নারায়ণগঞ্জ মহানগরী: জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর আমীর মুহাম্মদ আবদুল জব্বার বলেছেন, দেশের শান্তি, নিরাপত্তা, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও অগ্রগতির লক্ষ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঘোষিত ১০ দফা কর্মসূচি মেনে নিয়ে অবিলম্বে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার বিশ্ব ইসলামী আন্দোলনের অন্যতম নেতা, বাংলাদেশের গণমানুষের নেতা ডাক্তার শফিকুর রহমানকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। অন্যথায় জামায়াত ইসলামী সর্বস্তরের জনগনকে সাথে নিয়ে অবৈধ জালিম সরকারের বিরুদ্ধে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলবে। তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য কেয়ার টেকার সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর, অনৈতিক শিক্ষা ব্যবস্থা বাতিল, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, অন্যায়ভাবে আটক আমীরে জামায়াত ডা: শফিকুর রহমান, বিএনপির মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সকল রাজবন্দীদের মুক্তিসহ জামায়াত ঘোষিত ১০ দফা কর্মসূচি দেশের মানুষের গণদাবিতে পরিনত হয়েছে। তাই এই দাবি না মেনে সরকারের সামনে আর কোন পথ খোলা নেই। সরকার যদি শান্তি চায়, দেশের মানুষের কল্যাণ চায়, গণতন্ত্রের প্রতি যদি শ্রদ্ধাবোধ থাকে এবং আইনের প্রতি যদি শ্রদ্ধাশীল হয়, তাহলে অবিলম্বে এই দাবি মেনে নিয়ে পদত্যাগ করা উচিত। তা না হলে দেশের আপামর জনতা অবৈধ সরকারকে দাবি আদায়ে বাধ্য করবে।
গতকাল বিকেলে জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্র ঘোষিত ১০ দফা দাবি কর্মসূচি বাস্তবায়নের দাবিতে গণমিছিল উত্তর সংক্ষিপ্ত সমাবেশের প্রধান অতিথিদের বক্তব্যে তিনি কথা বলেন। জামায়াতে ইসলামী নারায়ণগঞ্জ মহানগরী ও জেলার যৌথ উদ্যোগে নগরীর শিবু মার্কেট বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অনুষ্ঠিত মিছিল উত্তর সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামী নারায়ণগঞ্জ জেলার সেক্রেটারি মোঃ জাকির হোসেন, মহানগরী সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল্লাহ আল জাবের, ইসলামী ছাত্রশিবির কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর সভাপতি শফিউল্লাহ। উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানবীর কর্মপরিষদ সদস্য আবু তালহা, হাফেজ আব্দুল মমিন ও সাঈদ তালুকদার, সিদ্ধিরগঞ্জ দক্ষিণ থানা আমির কফিল উদ্দিন আহমেদ, বন্দর দক্ষিণ থানা আমীর ফজলুল হায় জাফরী, নারায়ণগঞ্জ পূর্ব থানা আমির ফরিদ উদ্দিন, রূপগঞ্জ থানা আমীর এডভোকেট ইসরাফিল, ফতুল্লা থানা কর্মপরিষদের সদস্য আশরাফুল ইসলাম ফরিদ, সোনারগাঁ থানার কর্ম পরিষদ সদস্য মুজিবুর রহমান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। মিছিলটি শিবু মার্কেট বাস স্ট্যান্ড থেকে শুরু হয়ে স্টেডিয়ামের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সিলেট ব্যুরো: জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগর আমীর বলেছেন, আওয়ামী দুঃশাসনে অতিষ্ঠ জাতি আজ মুক্তির প্রহর গুণছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা ও নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবিতে দেশপ্রেমিক জনতা আজ ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নেমে এসেছে। জনতার বিজয় সান্নিকটে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করতে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় কারাগারে আটক আমীরে জামায়াত ডা: শফিকুর রহমান ও সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পারওয়ারসহ বিরোধী সকল রাজবন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। অন্যথায় জনতার বাঁধভাঙ্গা ¯্রােতে ফ্যাসিস্ট সরকারের অবৈধ মসনদ ভেসে যাবে। এদেশে আর কোন পাতানো নির্বাচনের ষড়যন্ত্র সফল হবেনা।
শনিবার দুপুরে নগরীর বন্দরবাজার, আম্বরখানা ও চৌহাট্টা এলাকায় জামায়াত কেন্দ্র ঘোষিত দেশব্যাপী যুগপৎ আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১০-দফা বাস্তবায়নের দাবিতে সিলেট জেলা ও মহানগর জামায়াতের উদ্যোগে পৃথক বিশাল গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়। বন্দরবাজার এলাকায় অনুষ্ঠিত গণমিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে মহানগর আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম উপরোক্ত কথা বলেন। বন্দরবাজার এলাকায় অনুষ্ঠিত মিছিলে নেতৃত্ব দেন সিলেট জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম এবং সিলেট জেলা দক্ষিণের আমীর অধ্যক্ষ আব্দুল হান্নান। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সিলেট মহানগরীর সেক্রেটারি মোহাম্মদ শাহজাহান আলী, জেলা উত্তর জামায়াতের সেক্রেটারী মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, জামায়াত নেতা মাওলানা মুজিবুর রহমান, নিজাম উদ্দিন সিদ্দিকী, মাওলানা মাশুক আহমদ, রফিকুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্রশিবির সিলেট মহানগর সেক্রেটারী সিদ্দিক আহমদ প্রমুখ।
আম্বরখানা এলাকায় অনুষ্ঠিত মিছিলে নেতৃত্ব দেন সিলেট জেলা উত্তর জামায়াতের আমীর হাফিজ আনোয়ার হোসাইন খান, মহানগর নায়েবে আমীর মাওলানা সোহেল আহমদ ও জেলা দক্ষিণের নায়েবে আমীর মাওলানা লোকমান আহমদ। উপস্থিত ছিলেন, জেলা দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারী সাইফুল্লাহ আল হোসাইন, জেলা উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা ইসলাম উদ্দিন, জামায়াত নেতা ফখরুল ইসলাম খান ও ইসলামী ছাত্রশিবির সিলেট মহানগর সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ফারুক প্রমুখ।
চৌহাট্টা এলাকায় অনুষ্ঠিত মিছিলে নেতৃত্বে দেন সিলেট মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি এডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুর রব। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জামায়াত নেতা আব্দুস সাত্তার, মু. আজিজুল ইসলাম ও ইঞ্জিনিয়ার শাহজাহান কবির রিপন প্রমুখ।
পৃথক গণমিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন, দেশ পরিচালনায় ব্যর্থ ফ্যাসিস্ট সরকার দেশে ইনসাফভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের প্রত্যয়দীপ্ত মজলুম কাফেলা জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে নতুন ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। গণতন্ত্রকামী মানুষ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের দাবিতে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নেমে এসেছে। এই সময়ে জাতির দৃষ্টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে আমীরে জামায়াত ডাঃ শফিকুর রহমানকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় আমীরে জামায়াতকে দুই দফায় রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। যা বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। জামায়াতকে নিয়ে ষড়যন্ত্র বন্ধ করুন ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন। অবিলম্বে আমীরে জামায়াত ডা: শফিকুর রহমান ও সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পারওয়ারসহ কারান্তরীণ সকল রাজবন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করেন।
রাজশাহী মহানগরী : রাজশাহী মহানগরী জামায়াতে ইসলামরী উদ্যোগে গতকাল বিকাল ৪টায় নগরীর ভদ্রা মোড় বাস স্ট্যান্ড এলাকায় এক গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়। গণমিছিলের নেতৃত্ব দেন জামায়াতের রাজশাহী মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারী অধ্যাপক আব্দুস সামাদ। উপস্থিত ছিলেন মহানগরীর জামায়াতের মহানগরী ও থানাসমূহের নেতৃবৃন্দ।
গণমিছিলটি ভদ্রা বাসস্ট্যান্ড এলাকা প্রদক্ষিণ শেষে পদ্মাআবাসিক রোডে মোড়ে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি আব্দুস সামাদ বলেন, জাতির উপর জোর করে দীর্ঘ ১৫ বছর বর্তমান আওয়ামী স্বৈরাচারী দুঃশাসন গদি দখল করে আছে। দেশের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ থেকে শুরু করে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ আজ সরকারের জুলুমের হাত থেকে মুক্তি পেতে চাই। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের গণতান্ত্রিক পথ সরকার বন্ধ করে দিয়ে দলীয় মাস্তান আর সাজানো পেটোয়া বাহিনী দিয়ে জনগণের মতামত উপেক্ষা করে যাচ্ছে। এ ভাবে গায়ের জোরে গণতন্ত্রকামী মানুষকে আর বেশী দিন দমিয়ে রাখা যাবে না।
কক্সবাজার সংবাদদাতা: কক্সবাজার শহরে বিশাল গণমিছিল বের করেছে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা। কক্সবাজার জেলা জামায়াতের ব্যানারে সেক্রেটারি ফরিদ উদ্দিনের নেতৃত্বে মিছিলটি প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে এক সমাবেশে মিলিত হয়। এতে জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জাহেদুল ইসলাম, কক্সবাজার শহর আমীর সাবেক ছাত্রনেতা আবদুল্লাহ আল ফারুক, সেক্রেটারি রিয়াজ মুহাম্মদ শাকিলসহ জামায়াত-শিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশ থেকে আমীরে জামায়াত ডাঃ শফিকুর রহমানসহ আটক নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি এবং কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা গঠনের জোর দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।
বরিশাল অফিস : বরিশাল নগরীতে অনুষ্ঠিত গণমিছিল কর্মসূচিতে নেতৃত্বদেন মহানগরী জমায়াতের আমীর অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন মুহাঃ বাবর ও বরিশাল জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আবদুল জব্বার। মিছিলটি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে এক সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, জামায়াতের আমীর ডাঃ শফিকুর রহমান জাতির উদ্দেশে বক্তব্য দিয়ে এ সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন। সকল বিরোধী রাজনৈতিক দল ঐক্যমত হয়ে এ অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলন করার জন্য একমত পোষন করেন। তারই অংশ হিসাবে জামায়াতে ইসলামী এ কর্মসূচি ঘোষনা করেন। জামায়াতের আমীর এ কর্মসূচি ঘোষণার পরে সরকার ভীত হয়ে তাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে। আমরা অবিলম্বে আমীরে জামায়াতের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।
বক্তারা হুঁশিয়ার করে বলেন, কোন হামলা মামলা আর গ্রেফতার করে হাসিনার পতন ঠেকাতে পারবেননা। বাংলার মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ এই জালিম সরকারের পতন ঘটাতে। বিনা ভোটের অবৈধ এ সরকার দেশের মানুষের ভোট ও কথা বলার অধিকার হরণ করেছে। দেশকে আজ একটি পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। বিদেশী প্রভু নির্ভর এ জালিম সরকার তাদের উপর ভর করে অবৈধভাবে দেশ পরিচালনা করছে। দেশের মানুষ এই অগণতান্ত্রিক অবৈধ সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায়না।
এসময় বক্তারা বলেন, প্রশাসনের প্রতি আহ্বান থাকবে আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা না দিয়ে সহযোগিতা করার। কোন কাজে অতি বাড়াবাড়ির ফল কখনো ভালো হয়না। জনতার কাতারে এসে তাদের ভাষা বোজার চেস্টা করুন নাহয় পরিণতি হবে ভয়াবহ। আর এর সম্পূর্ণ দায় আপনাদের বহন করতে হবে। তাই আপনারা এখন নিরপেক্ষ আচরণ করুন।
গণমিছিলে উপস্থিত ছিলেন, বরিশাল মহানগর কামায়াতের সেক্রেটারী মোঃ মতিউর রহমান, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মেঃ আবদুল মান্নান, জামায়াত নেতা আমিনুল ইসলাম খসরু, মোঃ মিজানুর রহমান, এডভোকেট সালাহ উদ্দিন মাসূম, অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, শিবির মহানগর সভাপতি মোঃ বায়জিদ বোস্তামী প্রমুখ।
বগুড়া অফিস: বগুড়ায় গণমিছিল করেছে জামায়াত। শনিবার সকালে এই গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মাটিডালী-বাইপাস সড়কে জামায়াতে ইসলামী বগুড়া শাখা এই গণমিছিল আয়োজন করে। মিছিল শেষে সংক্ষিত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে জামায়াত নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে আমীরে জামায়াত ডা: শফিকুর রহমানসহ কারাবন্দী সকল নেতাকর্মীর নিঃশর্ত মুক্তি এবং কেয়ারটেকার সকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবি জানান।
দিনাজপুর অফিস: দিনাজপুরে পুলিশী বাধা উপেক্ষা করে দিনাজপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে বিশাল গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশাল গণমিছিল থেকে সরকার পতনের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে শহরের স্টেশন চত্ত্বর থেকে জামায়াতে ইসলামী এই গণমিছিল বের করে। এ সময় পুলিশ ১৫ জামায়াত-শিবির নেতা-কর্মীকে আটক করেছে।
শহরের স্টেশন চত্বর থেকে বের হয়ে টিএন্ডটি রোড, বাহাদুর বাজার, পৌরসভা মোড় অতিক্রম করে সদর হাসপাতাল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলের আগে ও পরে শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে অন্তত ১৫ জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- খানসামা উপজেলার ফারুক হোসেন, এমদাদুল হক, রেজাউল ইসলাম, আনিসুর রহমান, মিজানুর রহমান, আব্দুল কুদ্দুস, বীরগঞ্জ উপজেলার আজিজুর রহমান, ডাঃ আল আমীন, ডাঃ এরশাদ, আল আমীন, আব্দুর রাজ্জাক, রেজাউল ইসলাম, বোচাগঞ্জ উপজেলার রিয়াজুল ইসলাম, চিরিরবন্দর উপজেলার আতাহার আলী ও হাসিনুর রহমান। তাদেরকে শহরের লিলি মোড়, স্টেশন রোড, ফুলবাড়ী বাসস্ট্যান্ড ও কলেজ মোড় থেকে গ্রেফতার করা হয়।
দিনাজপুর স্টেশন চত্বর হতে মিছিল বের হলে কোতয়ালী থানার ওসি তানভীরুল ইসলামসহ ডিবি পুলিশের একটি টীম বাধা প্রদান করে। মিছিলটি তাৎক্ষণিক শুরু হলে অগণিত উপস্থিতি দেখে পুলিশ কিছুটা নমনীয় হয়। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে। মিছিল থেকে সরকারের সাম্প্রতিক কর্মকান্ডের বিরূদ্ধে বিভিন্ন শ্লোগান দেয়া হয়। সেই সাথে কেন্দ্র ঘোষিত ১০ দফার পক্ষে এবং আমীরে জামায়াত ডাঃ শফিকুর রহমানসহ কেন্দ্রীয় নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতেও শ্লোগান দেন নেতা-কর্মীরা। মিছিলে নেতৃত্ব দেন- দিনাজপুর জেলা (উত্তর) জামায়াতের আমীর প্রিন্সিপাল আনিসুর রহমান, নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা আফজালুল আনাম, জেলা সেক্রেটারি মাওলানা রবিউল ইসলাম, দিনাজপুর জেলা (দক্ষিণ) জামায়াতের আমীর মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, নায়েবে আমীর মুহাদ্দিস ড. এনামুল হক, জেলা সেক্রেটারি সাইদুল ইসলাম সৈকত প্রমুখ। সাম্প্রতিক সময়ে জামায়াতে ইসলামীর সবচেয়ে বিশাল এই মিছিল দেখে জনমনে ব্যাপক উৎসাহ দেখা দেয়। গতকাল সকলের মুখে মুখে ছিল জামায়াতের মিছিলের আলোচনা। মুহূর্তেই জামায়াতের এ মিছিলটি গতকাল টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়।
কিশোরগঞ্জ সংবাদদাতা: জামায়াতে ইসলামী কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি কিশোরগঞ্জ শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ জেলা আমীর অধ্যাপক মোঃ রমজান আলী, জেলা সেক্রেটারি মাওলানা নাজমুল ইসলাম, খালেদ হাসান জুম্মন, মাওলানা এ কে এম ছানাউল্লাহ, সদর আমীর মাওলানা নজরুল ইসলাম প্রমুখ। জেলা স্মরনী মোড়ে মিছিল শেষে বক্তব্য রাখেন কিশোরগঞ্জ জেলা আমীর অধ্যাপক মোঃ রমজান আলী।
সাতক্ষীরা সংবাদদাতা: সাতক্ষীরায় গণমিছিল করেছে সাতক্ষীরা জামায়াত। গতকাল সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শহরের হাটের মোড় থেকে মিছিলটি বের হয়। পরে মিছিলটি তিন খন্ড তিন দিকে চলে যায়। মিছিলের একটি অংশ হাটের মোড় থেকে তুফান মোড়ের দিকে অগ্রসর হয়ে বিক্ষোভ করে। মিছিলের অপর অংশ ইটাগাছা হাটের মোড়ের দিকে অগ্রসর হয়ে বিক্ষোভ করে। মিছিলের অপর একটি অংশ সুলতানপুর বড় বাজার হয়ে মুন্সিপাড়ার দিক বিক্ষোভ করে। মিছিলটি উপজেলার সামনে পৌছালে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। এসময় সেখানেই সমাবেশ করে বিক্ষোভকারীরা। এসময় পুলিশ তিন জনকে আটক করে। মিছিল শেষ করে ফেরার পথে কদমতলা মোড় এলাকা থেকে ৬ জন, মুন্সিপাড়া থেকে ৩ জন ও ভিষা অফিস মোড় এলাকা থেকে ২ জনসহ শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আরো ৬ জনকে আটকের খরর নিশ্চিত করেছে দলটি।
সংক্ষিপ্ত সমবেশে সাতক্ষীরা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা আজিজুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ আজ এক ভয়াবহ পরিস্থিতিতে নিপতিত। দেশ অব্যাহতভাবে নতুন নতুন সংকটের দিকে ধাবিত হচ্ছে। দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা-সংস্কৃতি ও সামাজিক অঙ্গনে এক বিপর্যয়কর পরিস্থিতি বিদ্যমান। বর্তমান অবৈধ সরকার ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য আদালতের দোহাই দিয়ে কেয়ারটেকার সরকারব্যবস্থা বাতিল করে। অথচ আদালতের রায়ে পরপর দু’টি নির্বাচন কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে করার কথা বলা হয়েছিল। তারা ক্ষমতার মোহে নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেয়। তিনি আরো বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে নির্বাচনের নামে প্রহসনের আয়োজন করে অন্যায় ও অনৈতিকভাবে বাংলাদেশের ক্ষমতা দখল করে। আজ বাংলাদেশে জনগণের ভোটাধিকার নেই, কথা বলা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই। চলাফেরা, মিছিল-মিটিং, সভা-সমাবেশ করার কোনো সুযোগ নেই। বাংলাদেশ আজ এক অধিকারহারা জাতিতে পরিণত হয়েছে।
সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জে জামায়াতের গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গুম খুন নির্যাতন বিচার বহির্ভূত হত্যার প্রতিবাদে ও আমীরে জামায়াত ডঃ শফিকুর রহমানসহ সকল রাজবন্দিদের মুক্তির দাবিতে এই গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়। বেলা সাড়ে ১১টায় সুনামগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা তোফায়েল আহমেদ খান এর নের্তৃত্বে উক্ত গণমিছিল সুনামগঞ্জ শহরের পুরাতন কালেক্টরেট ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
ময়মনসিংহ সংবাদদাতা : জামায়াতে ইসলামী ময়মনসিংহ মহানগরীর উদ্যোগে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও জনগণের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে ১০ দফা দাবিতে গণমিছিল করা হয়। গতকাল সকাল ০৮:৩০ মিনিটে এই গণমিছিল কর্মসূচি পালন করা হয়। গণমিছিলটি ময়মনসিংহ মহানগরীর সানকিপাড়া রেলক্রসিং এলাকে থেকে শুরু হয়ে ফুলবাড়ীয়া পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। মিছিলে ময়মনসিংহ মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক শহীদুল্লাহ কায়সারের নেতৃত্বে মহানগর নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন থানা শাখার দায়িত্বশীল ও কর্মীগণ অংশগ্রহণ করেন। মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক শহীদুল্লাহ কায়সার।
মৌলভীবাজার : মৌলভীবাজারে গণমিছিল করেছে জামায়াতে ইসলামী মৌলভীবাজার জেলা। শনিবার সকালে শহরের পশ্চিম বাজার থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে কুসুমবাগ পয়েন্টে সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের আমীর ইঞ্জিনিয়ার মোঃ শাহেদ আলী। এতো আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা সেক্রেটারি মোঃ ইয়ামীর আলী, পৌর আমীর হাফেজ তাজুল ইসলাম, সদর উপজেলা আমীর মোঃ ফখরুল ইসলাম, ছাত্রশিবির শহর সভাপতি আশরাফুল ইসলাম, জেলা সভাপতি হাফেজ ফারুক আহমদ মঞ্জু, পৌরসভা ও সদর উপজেলা সেক্রেটারি মুর্শেদ আহমদ চৌধুরী ও দেওয়ান আশিক আল রশিদ চৌধুরী,শহর শিবির সেক্রেটারি জিল্লুর রহমান প্রমুখ।
নীলফামারী সংবাদদাতা: নীলফামারী জেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে গণমিছিলে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সাত্তার, জেলা সেক্রেটারি মাওলানা অধ্যাপক আন্তাজুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম,সদর উপজেলা আমীর অধ্যাপক আবু হানিফা শাহ, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য প্রভাষক মোঃ ছাদের হোসেন, শহর শাখার সেক্রেটারি এডভোকেট আনিছুর রহমান সহ জেলা ও উপজেলার জামায়াতে ইসলামীর নেতা কর্মীরা।
টাঙ্গাইল সংবাদদাতা: জামায়াতে ইসলামী টাংগাইল জেলা শাখার উদ্যোগে টাংগাইল শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ডে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। টাংগাইল জেলা জামায়াতের আমীর আহসান হাবীব মাসুদের নেতৃত্বে মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে নতুন বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্যসহ বিভিন্ন পর্যায়ের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী এতে উপস্থিত ছিলেন। মিছিল শেষে বাড়ি ফেরার পথে ৭ জন জামায়াত কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহ জেলা আমীর আলী আজম মোহাম্মদ আবু বকরের নেতৃত্বে কেন্দ্র ঘোষিত গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
পাবনা জেলা: কেয়ারটেকার সরকারসহ ১০ দফা দাবি বাস্তবায়ন এবং আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ সকল নেতৃবৃন্দের অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে পাবনা জেলা জামায়াতের গণমিছিল করেছে।
নোয়াখালী : সকাল ৯টা নাগাদ মাইজদি পৌরবাজার নোয়াখালী জেলা জামায়াতের উদ্যোগে গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়। নোয়াখালী জেলা আমীর ইসহাক খন্দকারের নেতৃত্বে গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়। জেলা সেক্রেটারি মাওলানা নিজাম উদ্দিন ফারুক জানান, গণমিছিলে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সকল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তিনি আরো জানান শান্তিপূর্ণ এই মিছিলে পুলিশ পিছন দিক থেকে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। এতে ২০ জন গুলীবিদ্ধসহ ৩০ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া পুলিশ অন্যায়ভাবে জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা সাইয়েদ আহাম্মদসহ পথচারী ১৮ জনকে গ্রেফতার করেছে।
শান্তিপূর্ণ উক্ত গণমিছিলে পুলিশের গুলীবর্ষণ, হামলা ও গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামী নোয়াখালী জেলা আমীর ইসহাক খন্দকার ও জেলা সেক্রেটারি মাওলানা নিজাম উদ্দিন ফারুক এবং গ্রেফতারকৃত জেলা নায়েবে আমিরসহ সকল পথচারীর অনতিবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি জানান।
কুড়িগ্রাম জেলা : কুড়িগ্রাম জেলা জামায়াতের উদ্যোগ জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আবদুল মতিন ফারুকী এবং জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মাওলানা মোঃ নিজাম উদ্দিনের নেতৃত্বে কুড়িগ্রাম শহরে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুরূপ কর্মসূচি সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গাসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় পালন করা হয়েছে বলে সংগঠনের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে।
নাটোর সংবাদদাতা: গণমিছিল করেছে জেলা জামায়াতে ইসলামী। সকালে শহরের চকরামপুর এলাকায় জেলা আমীর ড. মীর নূরুল ইসলামের নেতৃত্বে ও জেলা জামায়াতের উদ্যোগে গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়। গণমিছিল শেষে ফেরার পথে জামায়াতে ইসলামীর আটজন নেতা কর্মীকে আটক করে নাটোর সদর থানা পুলিশ।
গণবিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন নাটোর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক সাদেকুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল হাকিম, সহকারী সেক্রেটারী মোঃ আতিকুল ইসলাম রাসেল, নাটোর শহর শাখার আমীর মোঃ রাশেদুল ইসলাম রাশেদ, সদর থানা আমীর মীর নুরুন্নবী ও ইসলামী ছাত্রশিবির নাটোর জেলা সভাপতি মীর কতুবুল আলমসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মী।
কুমিল্লা অফিস : শনিবার বিকাল ৩টায় কুমিল্লা নগরীর প্রাণকেন্দ্র পূবালী চত্বর থেকে গণমিছিল শুরু করে কুমিল্লা মহানগরী ও জেলা জমায়াতে ইসলামী। গণমিছিলটির নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে টমছমব্রীজে এসে এক সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। গণমিছিলে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্রশিবির ছাড়াও প্রায় ৩ সহস্রাধিক সাধারণ জনতা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে। এসময় পুলিশ বিভিন্ন স্থান থেকে ২৫ জনকে আটক করে।
দেশব্যাপী পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে গণমিছিলের নেতৃত্বদেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও কুমিল্লা মহানগরী জামায়াতের নায়েবে আমীর মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দিন। গণমিছিলে এসময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারী অধ্যাপক এ কে এম এমদাদুল হক মামুন, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ড. সৈয়দ সরোয়ার উদ্দিন সিদ্দিকী, কুমিল্লা উত্তর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি সাইফুল ইসলাম শহীদ প্রমুখ।
গণমিছিল শেষে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও নগর জামায়াতের নায়েবে আমীর মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দিন। তিনি তার বক্তব্য বলেন, এই সরকার সম্পূর্ণ অন্যায় ভাবে জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় আটক করে। আজকে সমাবেশের মাধ্যমে আমরা আমীরে জামায়াতসহ সকল বিরোধী নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানাই।
চাঁদপুর জেলা : গণমিছিল করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চাঁদপুর জেলা শাখা। শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় চাঁদপুর শহরের শপথ চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের করা হয়।
চাঁদপুর জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ আব্দুর রহীম পাটোয়ারীর নেতৃত্বে মিছিলটি শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সড়ক হয়ে শহরের ছায়াবানির মোড় গিয়ে সমাপ্ত হয়। মিছিলে জেলা জামায়াতের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করে। পরে সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে সমাপনী বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ আব্দুর রহীম পাটোয়ারী।
লালমনিরহাট জেলা সংবাদদাতা: জামায়াতে ইসলামী লালমনিরহাট জেলা শাখার উদ্যোগে কেন্দ্র ঘোষিত এক গণমিছিলের আয়োজন করে। জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও লালমনিরহাট জেলা আমীর প্রভাষক আতাউর রহমানের নেতৃত্বে মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, জেলা সেক্রেটারি এডভোকেট মোঃ আবু তাহের, জেলা সহকারী সেক্রেটারি হাফেজ শাহ আলম, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট ফিরোজ হায়দার লাভলু, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য ও পলাশী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আলাউল ইসলাম ফাতেমী পাভেল, সকল উপজেলা আমির সেক্রেটারি এবং ছাত্রশিবির জেলা সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ। গণমিছিলটি প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পথসভার মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
সোর্স : দৈনিক সংগ্রাম