আজ শহীদ মুজাহিদ ভাইয়ের সপ্তম শাহাদাত বার্ষিকী। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল এর দায়িত্ব পালন অবস্থায় শহীদ আলী আহসান মোঃ মুজাহিদ ভাই ২০১৫ সালে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে ফ্যাসিবাদের জুলুমের শিকার হয়ে ফাঁসিকাষ্ঠে শাহাদাত বরণ করেন।
একজন আপোষহীন মানুষ ছিলেন শ্রদ্ধেয় মুজাহিদ ভাই। তাঁর দৃঢ়তা ও স্পষ্টবাদিতা ছিল লক্ষ্যণীয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে সদা সোচ্চার ছিলেন আমাদের প্রিয় মুজাহিদ ভাই। সাম্রাজ্যবাদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বদা উচ্চকন্ঠে বক্তব্য রেখেছেন। বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর দায়িত্বপালন করেছেন অত্যন্ত নিষ্ঠা ও সততার সাথে। মুজাহিদ ভাই দৃঢ় কন্ঠে বলেছেন, “আমার স্পষ্ট ঘোষণা ছিল যেদিন আমার মন্ত্রীত্ব দুর্নীতির সাথে আপোষ করবে বা আমাকে নীতিচ্যুত করবে সেদিন মন্ত্রীত্বকে ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলে দিব।”
প্রিয় মুজাহিদ ভাইয়ের সাথে একটি স্মৃতি আমার বেশ মনে পড়ে। ২০১৩ সালে কথিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের একটি সমন জারির ফলে আদালতে হাজির হই। হাইকোর্টের গারদখানায় মুজাহিদ ভাইয়ের সাথে আমার সাক্ষাত হয়। তিনি হাসিমুখে অভয় দিয়ে বলেছিলেন, “ভয় পেও না। মহান আল্লাহ আমাদের সাথেই আছেন।“
শহীদ মুজাহিদ ভাইয়ের আদরের ছোট ছেলে প্রিয় আলী আহমাদ মাবরুর সেদিন বাসা থেকে রান্না করা খাবার এনেছিল। তিনি মাবরুরকে উদ্দেশ্য করে বললেন, আজ সেলিমকে খেতে দাও। আমি তো প্রতিদিন খাই।
মুজাহিদ ভাইয়ের সেই স্নেহমাখা ভালোবাসা আজো আমাকে নাড়া দেয়। মহান আল্লাহ প্রিয় মুজাহিদ ভাইকে শাহাদাতের সর্বোচ্চ মর্যাদা দিয়ে জান্নাতুল ফিরদাউসের আ’লা মাক্বাম দান করুন।
শহীদ মুজাহিদ ভাইয়ের শোকাহত পরিবারকে মহান আল্লাহ তাঁর রহমতের চাদর দ্বারা আবৃত করুন। আমীন।।