ভেবেছিলাম বিদ্যুৎ সংকট নিয়ে মন্ত্রী এবং উপদেষ্টার পরস্পরবিরোধী বক্তব্য এবং বিদ্যুৎ উপদেষ্টার সম্পূর্ণ অবাস্তব এবং উদ্ভট প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করবো। আসলে করবোও তাই। তবে এরমধ্যে জরুরি রাজনৈতিক ইস্যু আসায় বিদ্যুতের আলোচনা সংক্ষিপ্ত করতে হবে।
যখন আমি লিখছি তখন রংপুরে বিএনপির বিভাগীয় জনসভা শুরু হওয়ার ২ দিন বাকি আছে। রংপুরে সভা হবে রোববার। আর আমি লিখছি শুক্রবার। শুক্রবারের আগে বৃহস্পতিবার অপরাহ্নে সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে যথারীতি রংপুরগামী সমস্ত পরিবহনে শনিবার ও রোববার অর্থাৎ সভা শুরুর ৪২ ঘন্টা আগে পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। ডেকেছে বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়ন। এই ধর্মঘটের আওতায় পড়বে বাস, মিনি বাস, মাইক্রোবাস এবং নৌকা তথা সমস্ত ফেরিঘাট। ঐ দিকে বরিশাল বিভাগের জনসভা বরিশালে হবে ৫ নভেম্বর শনিবার। বরিশালের ব্যাপারে আওয়ামী লীগ আরেক কাঠি সরেস। তারাও বৃহস্পতিবারেই বরিশালে ধর্মঘট ডেকেছে। সেই ধর্মঘট হবে ৪ ও ৫ নভেম্বর। এখন আর সরকারি দলের কোনো রাখঢাক নাই। পলিটিক্যাল কালচার এবং লজ্জা শরমের যেটুকু বালাই তাদের ছিল সেটাও তারা ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে।
কিন্তু এসব কাজ করে কোনো ফায়দা হবে বলে মনে হচ্ছে না। শুক্রবারের দৈনিক সমকাল, দৈনিক প্রথম আলো, ইংরেজি ডেইলি স্টার, ইংরেজি ডেইলি নিউ এজ এবং বাংলা দৈনিক ইনকিলাব আমার সামনে। এই ৫ টি পত্রিকায় প্রকাশিত বিস্তারিত সংবাদে আমি যাবো না। আমি শুধুমাত্র তাদের হেডিংগুলো দিচ্ছি। রোববার রংপুরের জনসভা সম্পর্কে দৈনিক সমকালের হেডিং, “চিড়ামুড়ি নিয়ে জনসভা মাঠে নেতাকর্মীরা / আজ ভোর ৬ টা থেকে ৩৬ ঘন্টার পরিবহন ধর্মঘট / দু’দিন আগেই চলে এসেছেন আশেপাশের জেলার লোকজন / স্মরণকালের সর্ববৃহৎ গণসমাবেশ হবে – হারুন”। প্রথম আলোর হেডিং, “বাস ধর্মঘট ডেকে এবার রংপুরে সমাবেশ ঠেকানোর চেষ্টা / আজ সকাল ৬ টা থেকে কাল সন্ধ্যা পর্যন্ত বাস ধর্মঘট, বিএনপি বলছে গণসমাবেশ বানচালের অপচেষ্টা / বাস চলাচল বন্ধ করা হবে, এটা আমরা প্রায় নিশ্চিত ছিলাম। কারণ ময়মনসিংহ এবং সর্বশেষ খুলনায় এধরনের ঘটনা ঘটিয়ে সরকার সমাবেশ বানচাল করতে চেয়েছিল। কিন্তু তা করতে পারেনি- সামসুজ্জামান, আহ্বায়ক রংপুর মহানগর বিএনপি।” ইনকিলাবের হেডিং, “পরিবহন ধর্মঘটের ঘোষণার পরেও মানুষ আসছে দলে দলে”। ইংরেজি দৈনিক নিউ এজের হেডিং, “BNP’s Rangpur rally too faces transport strike”. অর্থাৎ রংপুর সমাবেশও পরিবহন ধর্মঘটের সম্মুখীন। ইংরেজি ডেইলি স্টারের হেডিং, “Strikes before BNP rallies / AL leaders pulling the strings. অর্থাৎ বিএনপি সমাবেশের পূর্বাহ্নে ধর্মঘট / পেছন থেকে সুতা নাড়ছে আওয়ামী নেতৃবৃন্দ।
আসলে এসব চক্রান্ত এবং কূটকৌশল করে শাসক চক্রের কোনো লাভ হবে না। ময়মনসিংহ সমাবেশের সামনেও একই চক্রান্ত করা হয়েছিল। সরকার যতই টাইট দেয় ততই মানুষ বেপরোয়া হয়ে ওঠে। এতদিন বিএনপির সমাবেশে নেতাকর্মীরাই শুধু হাজির হচ্ছিলেন। এখন সরকারের এসব অপচেষ্টা দিনের আলোর মত প্রকাশিত হওয়ায় জনগণও ক্ষেপে যাচ্ছেন। তাই বিএনপির আগের তিন জনসভায় নেতাকর্মীদের চেয়ে বহুগুণে সভায় এসেছিলেন সাধারণ মানুষ। আমি বগুড়া এবং রংপুরে আমার পরিচিতজনদের সাথে ফোনে কথা বলেছি। বগুড়া এবং নওগা থেকে বৃহস্পতিবার বিকাল থেকেই মানুষ রংপুর যাওয়া শুরু করেছেন। কারণ তারা ধরেই নিয়েছিলেন যে মিটিংয়ের ঠিক আগের মুহূর্তে পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হবে। মানুষ সরকারের এই চালাকি ধরতে পেরেছেন। তাই তারাও আগে ভাগেই তাদের কাজ করছেন। অবশ্য সরকারের এই চালাকির ফলে মানুষের দুর্ভোগ হচ্ছে। অনেককে হেটে, অনেককে নদী সাঁতরিয়ে, অনেককে সিএনজি, রিক্সা ইত্যাদি পরিবহনে যেতে হচ্ছে। এসব বিষয়ে পরবর্তীতে আরো বিস্তারিত আলোচনা করবো। এখন বিদ্যুতের আলোচনা।
॥ দুই ॥
আমরা অনেক দিন থেকেই বলে আসছি, আবার আজও বলছি, আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ নীতি প্রথম থেকেই ভ্রান্ত ছিল। এর কোনো সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা ছিল না। দেশে কি পরিমাণ বিদ্যুৎ লাগবে, সেই মোতাবেক কতগুলি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপিত হবে, সেই সব বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য কি পরিমাণ গ্যাস, ফার্নেস ওয়েল, ডিজেল ও কয়লা লাগবে তার কোনো সুনির্দিষ্ট প্ল্যান এবং পরিসংখ্যান ছিল না। এই কথাটি আমরা জেনে শুনে এবং প্রমাণ সহই বলছি। যে দেশে বিদ্যুৎ ঘাটতি এত প্রবল হবে সেই দেশ এক দেড় বছর আগে বিদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি করার ঘোষণা দেয় কিভাবে? প্রিয় পাঠক, আজ প্রথমে বলতে চাই যে আজকে নিজের কথা কম বলবো। বরং অন্যের কথার উদ্ধৃতি বেশি করে দেবো। একারণেই এটি করবো যে সরকার যে দিকভ্রান্ত এবং এলোমেলো কাজ করছে সেই কথাটি প্রমাণসহ প্রতিষ্ঠা করা। একটু আগেই বলেছি যে ১৪/১৫ মাস আগেও আওয়ামী লীগ সরকার বিদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানির ঘোষণা দিয়েছিল। অথচ কি আশ্চর্য, এর ১৪/১৫ মাস পরেই বাংলাদেশে ভয়াবহ বিদ্যুৎ সংকট দেখা দিয়েছে। আমাদের এই বক্তব্যের সপক্ষে গত বছরের ২৬ এপ্রিল দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত একটি রিপোর্টের অংশ বিশেষ নিম্নে উদ্ধৃত করছি।
রিপোর্টটির শিরোনাম, “শীতে নেপালে বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে চায় সরকার”। রিপোর্টে বলা হয়েছে, শীতের সময় দেশে বিদ্যুতের চাহিদা কমে যায়। এ সময় নেপালে বিদ্যুৎ রপ্তানি করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে সরকার। নেপালের জ্বালানি, পানিসম্পদ ও সেচ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী পাম্পা ভুসালের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এ আগ্রহের কথা জানান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। মঙ্গলবার সচিবালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বৈঠকে নসরুল হামিদ বলেন, ‘গ্রীষ্ম-বর্ষা মৌসুমে নেপালের উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ আমরা আমদানি করতে পারি। শীত মৌসুমে যখন তাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে যায়, তখন আমাদের দেশ থেকে তারা বিদ্যুৎ নিতে পারে। এতে দুই দেশই লাভবান হবে।’
সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ‘বৈঠকে নসরুল হামিদ বলেন, আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্প ২০৪০ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও ক্লিন এনার্জি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে বিদ্যুৎ বিভাগ কাজ করছে। নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রতিবেশী দেশ নেপাল ও ভুটানের সহযোগিতা বড় ভূমিকা রাখবে।’ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করছে। নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত। ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির জন্য সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
লক্ষ্য করুন, এই সিদ্ধান্তটি গৃহীত হয়েছিল গত বছরের ২৬ এপ্রিল। কোথায় গেল নেপালে বিদ্যুৎ রপ্তানি? এখন বাংলাদেশে বিদ্যুতের ত্রাহি মধুসুদন অবস্থা দেখে উল্টো নেপালই বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ দিতে চাচ্ছে। গত ২৪ অক্টোবর রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বাসস একটি সংবাদ সার্কুলেট করেছে। এই সংবাদটি দেশের উল্লেখযোগ্য সমস্ত সংবাদ পত্রই ছেপেছে। সংবাদটির শিরোনাম, “বাংলাদেশকে ৪০-৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দেবে নেপাল: রাষ্ট্রদূত”। সংবাদে বলা হয়েছে, নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি বলেছেন, তাঁর দেশ এই মুহূর্তে বাংলাদেশকে ৪০ থেকে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। নেপালের বিদ্যুৎ খাতে একটি মেগা প্রকল্প শেষ হওয়ার পর এর পরিমাণ আরও বাড়বে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গত মঙ্গলবার সকালে গণভবনে সাক্ষাৎকালে নেপালের রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন। সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ-সংক্রান্ত তথ্য জানান। নেপালের রাষ্ট্রদূতকে উদ্ধৃত করে ইহসানুল করিম বলেন, প্রকল্পটি সম্পন্ন করার পর নেপাল বাংলাদেশকে আরও বেশি বিদ্যুৎ দিতে সক্ষম হবে।’ প্রিয় পাঠক, এখন আপনারাই বলুন, জ¦ালানি নিয়ে এ সরকারের কি কোনো সুপরিকল্পিত প্ল্যান রয়েছে? থাকলে ১৪/১৫ মাস পরে কি ঘটবে সেটি আন্দাজ করার মত একজনও কি বিশেষজ্ঞ নাই এদেশে? নাকি থাকলে সরকার তাদের ওপর ভরসা করার তোয়াক্কা করেনি।
॥ তিন ॥
এবার আসুন আরেকটি দিকে। সরকারের আন্তঃমন্ত্রণালয় এবং একই মন্ত্রণালয়ের মধ্যেও কোনো সমন্বয় নাই। নসরুল হামিদ বিপু বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী। এখানে কোনো পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী বা ক্যাবিনেট মিনিস্টার নাই। নসরুল হাামিদের ওপরে আছেন পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রীর মর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ উপদেষ্টা। নাম তৌফিক এলাহী চৌধুরী। তার ওপরে আছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। তাত্ত্বিকভাবে প্রধানমন্ত্রীই বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের প্রধান। কিন্তু তিনি প্রচন্ড ব্যস্ত। তাই এখানে তৌফিক এলাহী চৌধুরীকেই ডিফ্যাক্টো জ¦ালানি মন্ত্রী হিসাবে বিবেচনা করা যায়। সেই তৌফিক এলাহী চৌধুরী সেদিন ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে বিদ্যুৎ ব্যবহার সম্পর্কে জনগণের কাছে এমন বাণী দিয়েছেন যেটা শুনলে বা পড়লে হৃদকম্প শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ উপদেষ্টা তৌফিক এলাহী চৌধুরী বলেছেন, দেশের কৃষি ও শিল্প খাতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। এই দুই খাতের সুরক্ষা দিতে যা যা দরকার হয়, সরকার তা করবে। এ জন্য প্রয়োজনে দিনের বেলায় বিদ্যুতের ব্যবহার বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ-বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক এলাহী চৌধুরী। রোববার রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে শিল্প খাতে জ্বালানিসংকটের প্রভাব হ্রাস নিয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তৌফিক এলাহী চৌধুরী। তিনি আরো বলেন, সরকার বিভিন্ন উপায়ে শিল্প খাতে গ্যাস সরবরাহ বাড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। ভোলায় আট কোটি ঘনফুট গ্যাস সিএনজি করে ব্যবহারের সুযোগ আছে। আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে এসব গ্যাস বার্জে (জাহাজ) করে ঢাকায় নিয়ে আসা হবে। ব্যবসায়ীরা চাইলে সিএনজি স্টেশন থেকে নিয়ে কারখানায় ব্যবহার করতে পারেন।
ব্যবসায়ীদের প্রতি তিনি এই মর্মে অনুরোধ করেন, ‘আপনাদের প্রতি আমার অনুরোধ, আমরা সরকার থেকে যা করার দরকার হয় করব, আপনারা সাহস হারাবেন না। যদি প্রয়োজন হয়, আমরা এখানে যারা আছি, তারা সবাই শপথ নেব; দরকার হলে আমরা দিনের বেলায় বিদ্যুৎ ব্যবহার করব না।’
॥ চার ॥
সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হলো এই যে দিনের বেলা বিদ্যুৎ বন্ধ করার ব্যাপারে বিদ্যুৎ উপদেষ্টা যে বক্তব্য দিয়েছেন তার সাথে তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ এবং বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু একমত হননি। তথ্যমন্ত্রীকে সাধারণত সরকারের মুখপাত্র হিসাবে ধরা হয়। সেই তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ বলেছেন যে দিনের বেলা বিদ্যুৎ ব্যবহার না করা সম্পর্কে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি। উপদেষ্টা যা বলেছেন সেটি তার ব্যক্তিগত মতামত হতে পারে। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেছেন, দিনের বেলা বিদ্যুৎ ব্যবহার না করার মত পরিস্থিতি তত ভয়াবহ হয়নি। সরকার আশা করছেন যে নভেম্বর থেকেই বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
আমরা নিজে কিছু বলতে চাই না। সম্মানিত পাঠক ভাইয়েরা বিবেচনা করে দেখুন, সরকারের তিন মন্ত্রী বলছেন তিন রকম কথা। এরা কিভাবে বিদ্যুৎ সংকটের মত ভয়াবহ সংকট মোকাবেলা করবেন?
Email: asifarsalan15@gmail.com