বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তর এর সংগ্রামী আমীর জননেতা জনাব মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেছেন, দেশের জনগণের জানমাল ও নাগরিক অধিকার নিশ্চিতসহ আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হলে জামায়াতে ইসলামী’র নেতৃত্বে জনগণকে সংগঠিত করে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে।
রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বিমান বন্দর থানার ষান্মাসিক রুকন সম্মেলনে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
জামায়াতে ইসলামী বিমানবন্দর থানার আমীর অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম খলিলের সভাপতিত্বে সম্মেলনে পবিত্র কোরআন থেকে দারস পেশ করেন দেশ বরেণ্য মুফাসসিরে কোরআন ডঃ মাওলানা কামরুল হাসান শাহীন, সম্মেলনের প্রধান আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বার বার নির্বাচিত সাবেক জননন্দিত এমপি, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা নায়েবে আমীর, জননেতা অধ্যাপক লতিফুর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্হিত ছিলেন মহানগরীর শুরা ও কর্ম পরিষদের অন্যতম সদস্য ও উত্তরা পুর্ব জোনের সহকারী পরিচালক জনাব মোঃ জামাল উদ্দিন, থানা নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সদ্য কারামুক্ত থানা নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা এনামুল হক শিপন, থানা সেক্রেটারী সুজারুল হক সুজন, অ্যাডভোকেট আল মুত্তাকী বিল্লাহ,আবদুর রাহীম সাব্বীর, আনিছুর রহমান ও হাফেজ মাহাবুবুল ইসলাম দিদার প্রমূখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনাব সেলিম উদ্দিন আরো বলেন, দ্বীন কায়েমের কঠিন এই ময়দানে তারাই শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত টিকে থাকতে পারবে, যারা শত প্রতিকুলতার মধ্য দিয়ে মহান আল্লাহর খেলাফত কায়েমের আন্দোলনে থাকবেন নিবেদিত প্রাণ নিয়ে। সুতরাং আল্লাহর সাথে শপথকারী জামায়াতের রুকনগণ একদিকে নিজেকে পেশ করতে হবে আল্লাহর একান্ত অনুগত বান্দা হিসাবে, অন্যদিকে সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্হায় আল্লাহর খেলাফত প্রতিষ্ঠায় হবেন আপোষহীন দুর্বলতা, হতাশা ও অলসতা নিয়ে দুনিয়া ও আখেরাতের সাফল্যের মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হওয়া সম্ভব নয়।
সম্মেলনের প্রধান আলোচক সাবেক এমপি অধ্যাপক লতিফুর রহমান বলেন, ইসলামী আন্দোলনের জনশক্তির উপরের যুগে যুগে পরীক্ষায় এসেছিলো বর্তমানেও পরীক্ষা চলছে। চলমান এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। দেশ ও জনগণের মুক্তির আন্দোলন – সংগ্রামে ঢাকা মহানগরী যেভাবে প্রকম্পিত হয়ে উঠেছে, তা অচিরেই গোটা দেশে ছড়িয়ে যাবে – ইনশাআল্লাহ। চলমান আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্বের ভুমিকায় জাতি জামায়াতে ইসলামী কে দেখতে চায়। এমতবস্থায় রাজধানী ঢাকার রুকন দের কে জোরালো ভুমিকা পালন করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য জনাব জামাল উদ্দিন বলেন, দ্বীন কায়েমের আন্দোলনের জনশক্তিরা মুলত আল্লাহর বাঁচাইয়ের আওতাভুক্ত। সুতরাং আল্লাহর শুকরিয়া আদায়ের লক্ষ্যে ময়দানে নিজেকে সক্রিয় রাখার পাশাপাশি আল্লাহর রাহে পুরোপুরি উৎসর্গ করতে হবে।