ইকবাল হাসান মাহমুদ ওরফে টুকু। বিএনপির শেষ ক্যাবিনেটে অর্থাৎ ২০০১-২০০৬ ক্যাবিনেটে তিনি প্রথমে কৃষি এবং পরে বিদ্যুতের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। বিএনপি রাজনীতির যারা ফ্রন্ট র্যাংকার অর্থাৎ প্রথম সারির নেতা তাদের মধ্যে তার নাম ছিল না। তবে বিএনপি প্রায় ১৬ বছর হলো ক্ষমতার বাইরে। এর মধ্যে সিনিয়র ও প্রবীণ নেতাদের অনেকে মারা গেছেন অথবা অনিবার্য কারণবশতঃ, বিশেষ করে শারীরিক কারণে রিটায়ার করতে বাধ্য হয়েছেন। ফলে রাজনীতির স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ঐসব শূন্যস্থান নতুনরা পূরণ করেছেন। এই প্রক্রিয়ায় বিএনপির স্ট্যান্ডিং কমিটি বা স্থায়ী কমিটির বেশ কয়েকটি পদ খালি হয়েছিল। বেশকিছু দিন আগে সেলিমা রহমানকে দিয়ে একটি পদ পূরণ করা হয়েছিল। সর্বশেষ এইতো কিছুদিন আগে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকে দিয়ে স্ট্যান্ডিং কমিটির আরেকটি পদ পূরণ করা হয়েছে। এগুলো বিএনপির অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। রাজনৈতিক দলে এই প্রক্রিয়া নিরন্তর চলবে। সেই প্রক্রিয়াতেই জনাব টুকু এই পদে এসেছেন।
মন্ত্রীত্বই বলুন, আর রাজনৈতিক দলই বলুন, বিশেষ করে বড় রাজনৈতিক দলের স্ট্যান্ডিং কমিটি বা প্রেসিডিয়ামে কেউ সদস্য হলে তার রাজনৈতিক গুরুত্ব যেমন বেড়ে যায় তেমনি সেই গুরুত্বের সাথে সাথে তার দায়িত্ব ও কর্তব্যও অনেক বেড়ে যায়। ঐসব পদে গেলে মানুষকে কথা বলার সময় খুব সতর্ক থাকতে হয়। এই জন্য বলা হয় যে পলিটিক্যাল লিডাররা ডিপ্লোম্যাটিক্যালি কথা বলেন। আসলে তাদেরকে হিসেব করেই কথা বলতে হয়। বেহিসাবি কথা বললে তার ইমপ্যাক্ট দেশের ওপর বা অন্যান্য দলের ওপর বিরূপভাবে পড়ে।
দুঃখের বিষয়, স্ট্যান্ডিং কমিটির মেম্বার হওয়ার পর ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ভারিক্কি বজায় রাখতে পারেননি এবং টাং বা জিহ্বা বা রসনাকে সংযত করতে পারেননি। কয়েকদিন আগে ঢাকার একটি জনসভায় জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে তিনি এমন সব কথা বলেছেন যা তার পদের সাথে মানায় না। তিনি যা বলেছেন সেটিকে অভিজ্ঞ রাজনৈতিক মহল এমনকি সিনিয়র সাংবাদিকরাও অপরিপক্ক বলে মনে করেন। জামায়াতে ইসলামী বিগত ৩০ বছরেও বিএনপি সম্পর্কে কোথাও কোনো অসংলগ্ন বা অপরিপক্ক উক্তি করেনি। এইবারই জনাব টুকু জামায়াত সম্পর্কে যে অনভিপ্রেত এবং অবাঞ্ছিত উক্তি করেছেন তার ফলে অত্যন্ত ভদ্র ও মার্জিত ভাষায় এবং পূর্ণ রাজনৈতিক শিষ্টাচার বজায় রেখে তার একটি জবাব দিতে জামায়াত বাধ্য হয়েছে। আসলে যদি পূর্ণ শালীনতার মধ্যে থেকে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মওলানা আব্দুল হালিম জামায়াতের তরফ থেকে ঐ বক্তব্য না দিতেন তাহলে একটি ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হতো।
আওয়ামী লীগের ‘আওয়ামী’ শব্দটি নাকি উর্দু এবং জামায়াতে ইসলামীর ‘জামায়াত’ শব্দটিও নাকি উর্দু। এজন্যই নাকি এই দুটি দলের মধ্যে শখ্যতা রয়েছে। গত বুধবার ২৮ সেপ্টেম্বর সংবাদ পত্রে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মওলানা আব্দুল হালিম এক বিবৃতিতে বলেন, জনাব টুকু জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে যে রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত অশালীন ও কুরুচীপূর্ণ বক্তৃতা দিয়েছেন তা দেশবাসীকে বিস্মিত করেছে। এটি কোনো রাজনীতিবিদের ভাষা হতে পারে না। তার এ বক্তব্য স্বৈরাচারী শাসনকে প্রলম্বিত করার ক্ষেত্র তৈরি করবে। যে মুহূর্তে দেশের সকল গণতান্ত্রিক শক্তি ঐক্যবদ্ধভাবে দেশে গণতন্ত্র ও জনগণের ন্যায্য ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নির্বাচনকালীন দল নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর সে সময় তার এ বক্তব্য জাতিকে হতাশ করেছে। তার বক্তব্য থেকে প্রতীয়মান হয়, তিনি জনগণের ভাষা বুঝতে অক্ষম এবং তিনি জনগণের ভাষায় কথা বলতে পারেন না। আমরা তার এ বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
॥ দুই ॥
মওলানা হালিম বলেন, বিগত এক যুগেরও বেশি সময় যাবৎ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীগণ বর্তমান সরকারের জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছে। যে দলটির আমীর, সেক্রেটারি জেনারেল, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য সহ ৫ জন শীর্ষস্থানীয় নেতাকে অসত্য মামলা দিয়ে বিচারের নামে প্রহসনের আয়োজন করে ফাঁসি দেয়া হয়েছে; আরো ৬ জন শীর্ষ নেতাকে দ- দিয়ে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে এবং ৩ জন মজলুম নেতা কারাগারে ইন্তিকাল করেছেন, সেই দলটি সম্পর্কে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর বক্তব্য সম্পূর্ণ রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত। তার বক্তব্যে রাজনৈতিক আন্দোলন বাধাগ্রস্ত করার ইঙ্গিত লুকিয়ে রয়েছে।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ও বেআইনী ঘোষণা সংক্রান্ত তার কথা ও মর্ম বেদনায় জনগণের মধ্যে প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে, কার স্বার্থে এবং কাকে সন্তুষ্ট করার জন্য তিনি এ বক্তব্য প্রদান করেছেন? মওলানা হালিম বলেন, আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, জামায়াতে ইসলামী কখনো কোনো আপোষ, গোপন ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে বিশ^াস করে না এবং করার প্রশ্নই আসে না। জনাব ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু জামায়াত শব্দটিকে উর্দু ভাষা বলে উল্লেখ করে তার অজ্ঞতার পরিচয় দিয়েছেন।
আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ^াস করি যে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটি একান্তই তার ব্যক্তিগত। সংগঠন হিসাবে বিএনপি কখনো জামায়াত সম্পর্কে এমন অসংলগ্ন উক্তি করতে পারে না। জনাব টুকুর অবগতির জন্য বলতে চাই যে জামায়াত এবং বিএনপির মৈত্রী উভয় দলের শীর্ষ নেতাদের আগ্রহেই হয়েছে। এই মৈত্রী স্থাপিত হয় মরহুম মতিউর রহমান নিজামী বেঁচে থাকতে এবং বেগম খালেদা জিয়া সুস্থ শরীরে ক্ষমতার শীর্ষে থাকার সময়। জামায়াত এবং বিএনপির মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি করার জন্য অতীতে বহুবার চেষ্টা করা হয়েছে। এই চেষ্টা শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ এবং মস্কো ঘরানার রাজনৈতিক দল এবং তাদের অনুসারী বুদ্ধিজীবীরাই করেনি, জামায়াতের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য অবস্থান নিয়েছিলেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। এসব কথা টুকু সাহেব হয়তো ভুলে যেতে পারেন, কিন্তু সিজন্ড পলিটিশিয়ানরা ভালোভাবেই জানেন।
বিগত ১৪ বছর ধরে জেল জুলুম এবং ফাঁসিসহ জুলুমের যে ভয়াবহ স্টীম রোলার জামায়াতের ওপর চালানো হচ্ছে সেটি হতো না যদি জামায়াত নীতির প্রশ্নে অবিচল না থাকতো। আরো স্পষ্ট করে বলতে গেলে বলতে হয় যে যদি জামায়াত ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির সাথে না থেকে আওয়ামী লীগের সাথে থাকতো তাহলে জামায়াতের ওপর অত্যাচার ও জুলুমের ভয়াল খড়গ নেমে আসতো না। বিএনপির সাথে থাকলে জামায়াতের ওপর সর্বগ্রাসী অত্যাচার নেমে আসবে, এটি জামায়াত ভালভাবেই জানতো। তারপরেও শুধুমাত্র নীতি এবং আদর্শের কারণে জামায়াত ব্যক্তিগত এবং দলীয় সুবিধা হাসিলের জন্য আওয়ামী ক্যাম্পে যায়নি।
১৯৯১ সালের নির্বাচনে জামায়াত ১৮টি আসন পেয়েছিল। সংসদ নির্বাচনের পর এসেছিল প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন বিচারপতি বদরুল হায়দায় চৌধুরী। পক্ষান্তরে বিএনপির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ছিলেন আব্দুর রহমান বিশ^াস। জামায়াতের ভোট নেয়ার জন্য আওয়ামী প্রার্থী জামায়াত নেতাকে কদমবুসীও করেছিলেন। তখন বিএনপি তাদের ক্যাবিনেটে যোগ দেয়ার জন্য জামায়াতকে আহ্বানও জানিয়েছিল। জামায়াত মন্ত্রিসভায় যোগ দেয়নি। কোনোরকম শর্ত ছাড়াই, কোনোরকম প্রাপ্তির আশা না করে জামায়াত বিনা শর্তে নিঃস্বার্থভাবে বিএনপি ক্যান্ডিডেট আব্দুর রহমান বিশ^াসকে সমর্থন করেছিল। জামায়াতের সমর্থন না পাওয়ায় আওয়ামী লীগ আর কোনো প্রার্থী দেয়নি এবং আব্দুর রহমান বিশ^াস বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন।
॥ তিন ॥
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু একথা কিভাবে ভাবলেন যে জামায়াত ও বিএনপির মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে? বাংলাদেশের রাজনীতির বর্তমান অবস্থা সূক্ষভাবে পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে যে বিএনপি এবং জামায়াতের মধ্যে কোনো দূরত্ব সৃষ্টি হয়নি। আসল ঘটনা হলো এই যে ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে বিএনপির নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ বিরোধী দুটি জোট গঠিত হয়। একটি ২০ দলীয় জোট, যার প্রধান শরীক ছিল জামায়াতে ইসলামী। আরেকটি জোট ছিল ঐক্যফ্রন্ট। ২০১৮ সালের নৈশকালীন নির্বাচনী ভোট ডাকাতির পর এই দুটি জোটই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। ২০২১ সাল পর্যন্ত বলতে গেলে বিরোধীদলের কোনো রাজনৈতিক তৎপরতাই ছিল না। তাদের তৎপরতা মানববন্ধন, সেমিনার সিম্পোজিয়াম এবং গোল টেবিল বৈঠকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। চলতি সাল অর্থাৎ ২০২২ সাল থেকে বিরোধীদল কিছুটা নড়াচড়া করছে। ঐক্যফ্রন্টের দলগুলো গণতন্ত্র মঞ্চ নামে আলাদা একটি জোট গঠন করেছে। বিএনপিও এ পর্যন্ত একা একাই পথ চলছে। তবে এর মাঝে এই সরকারকে অপসারণের জন্য একটি প্রবল গণআন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিএনপি বৃহত্তর ঐক্যের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সেই প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে তারা ইতোমধ্যেই ৩২ টি রাজনৈতিক দলের সাথে প্রথম রাউন্ডের আলাপ আলোচনা শেষ করেছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেছেন যে বিএনপি আন্দোলনের একটি ৯ দফা রূপরেখা প্রণয়ন করেছে। বিভিন্ন বিরোধীদলের সাথে আলাপ আলোচনা করে এই রূপরেখা চূড়ান্ত করা হবে। এরপর দেশব্যাপী দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে। বিএনপি মহাসচিব একখা স্পষ্ট বলেছেন যে সেই আন্দোলন হবে আলাদা আলাদা মঞ্চ থেকে, কিন্তু যুগপৎ। এই যুগপৎ আন্দোলন সম্পর্কে জামায়াতের আমীর ড. শফিকুর রহমান দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেছেন যে বিএনপির সাথে তারা যুগপৎ আন্দোলন করতে আগ্রহী। গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারাও বলেছেন যে তারাও নিজেদের মঞ্চ থেকে যুগপৎ আন্দোলন করবেন।
সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে বিএনপির সাথে কারো কোনো দূরত্ব বা মন কষাকষি হয়নি। মির্জা ফখরুল স্পষ্ট বলেছেন যে সবাই এখন যুগপৎ আন্দোলন করতে চায়। এখানে ২০ দল মুখ্য নয়, ঐক্যফ্রন্ট মুখ্য নয়। মুখ্য হচ্ছে একটিই মাত্র বস্তু। আর সেটি হলো আন্দোলন। তিনি বলেন, জামায়াতের সাথে বিএনপির আদর্শিক সম্পর্ক না থাকলেও অতীতেও তারা ২০ দলে ছিল, এখনও আছে।
ইকবাল হাসান মাহমুদ ভুলে গেছেন যে ১৯৯৯ সালের ৬ই জানুয়ারি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, জামায়াতের তৎকালীন আমীর গোলাম আযম এবং ইসলামী ঐক্যজোটের তৎকালীন চেয়ারম্যান শায়খুল হাদিস আজিজুল হককে সঙ্গে নিয়ে চারদলীয় জোট গঠন করেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। পরবর্তীতে ২০ দলীয় জোট গঠন করা হয়। জোটে জামায়াতে ইসলামী সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। দশম জাতীয় নির্বাচন পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ে নিয়মিত বৈঠকে তারা অংশ নিতো দলটি।
এই পটভূমি যদি জানা থাকতো তাহলে টুকু সাহেব একথা বলতে পারতেন না যে জামায়াতে ইসলামী এবং আওয়ামী লীগের মধ্যে পরকীয়া প্রেম চলছে। মনে হচ্ছে যে টুকুর এই বক্তব্য খোদ বিএনপিই সমর্থন করতে পারেনি। তাই ‘দৈনিক মানবজমিনের’ রিপোর্ট মোতাবেক টুকু বলেছন, সোমবার রাজধানীর হাজারীবাগে বিএনপি সমাবেশে আমার পুরো বক্তব্য ছিল আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে, জামায়াতে ইসলামীকে উদ্দেশ্য করে নয়। আমি জামায়াতকে নিয়ে কিছু বলিনি। বরং তাদের সাপোর্ট করেছি।
এব্যাপারে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দ পত্রিকান্তরে বলেছেন যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নেতাদের ওপর যারা জুলুম করেছে সেই দলের সাথে যোগাযোগের কোনো প্রশ্নই ওঠে না। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু তার নিজস্ব বক্তব্য দিয়েছেন।
যে মুহূর্তে সারাদেশ আওয়ামী কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিরুদ্ধে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছে সেই মুহূর্তে টুকুর মত নেতারা অগ্র পশ্চাৎ বিবেচনা না করে এমন বক্তব্য দেবেন না যা ফ্যাসিস্ট এবং কর্তৃত্ববাদীদের পক্ষে যায়।
Email: asifarsalan15@gmail.com
সোর্স : দৈনিক সংগ্রাম