বাংলাদেশ এখন নানামুখী সঙ্কটের মধ্য দিয়ে তার সময় অতিক্রান্ত করছে। আর এমন সঙ্কট থেকে উত্তরণের চাবিকাঠি দেশের সেই রাজনৈতিক অঙ্গনে বিচরণকারী ব্যক্তিদের তথা ক্ষমতার অধিকারী সেই রাজনৈতিক পেশাজীবীদের মুঠোয় যেহেতু দেশ পরিচালনার জন্য ব্যক্তি বেছে দেয়ার ক্ষেত্রে জনগণের এখন কোনো ভূমিকা রাখার জো নেই। স্মরণ করা যেতে পারে, জনগণের রাষ্ট্র পরিচালনার সাংবিধানিক অধিকার বহু আগেই ছিনতাই হয়ে গেছে। তাই তার চাবিকাঠিটা আর জনগণের হাতে নেই। সে জন্য সঙ্কট থেকে রেহাই পাওয়ার কলকাঠি পুনরায় জনগণের হাতে না আসা পর্যন্ত দেশে সৃষ্ট সঙ্কট দূর হওয়া নিয়ে কোনো আশাবাদ প্রকাশ করা নিছক বাতুলতা মাত্র। যাদের পেশা রাজনীতি, এখন তারা দেশের দণ্ডমুণ্ডুর কর্তা। পেশার যে সাধারণ নিয়মনীতি তথা লাভ-লোকসানের হিসাব সেটা এই মুহূর্তে চলছে। ন্যায্যতা, সত্য-নিষ্ঠতা, মানুষের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ, তার সব কিছুরই অবসান ঘটেছে হালে। যখন রাজনীতি তার ব্যাকরণ অনুসারে চলত, তখন সে রাজনীতি ছিল স্বেচ্ছাসেবামূলক, সেখানে পেশাদারিত্বের কোনো অবকাশ ছিল না। তখন জনগণ যথাযথ প্রক্রিয়ায় অর্থাৎ সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতার পালাবদল ঘটাত। তার মর্মকথা হলো, জনগণের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হওয়া। এখন সে শৈলী দূরীভূত হয়েছে। হালের শৈলী হচ্ছে- ক্ষমতা কেড়ে নেয়ার পথ-পদ্ধতি অনুসৃত হওয়া। সেখানে সব নাগরিকের ইচ্ছা-আকাক্সক্ষা-পছন্দ-অপছন্দের ‘রিপ্লেসমেন্ট হয়েছে, পেশি বল পাকাপোক্ত’ আসন তৈরি করে নিয়েছে। প্রায় দেড় যুগ হতে চলেছে ক্ষমতা বদলে এই নতুন নিয়ম অনুসৃত হচ্ছে। আর এই দেড় যুগে মজবুত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে গেছে সুবিধাভোগী এক মারদাঙ্গা বাহিনী। সম্প্রতি তাদের উপস্থিতি লক্ষ করা যাচ্ছে বিরোধী রাজনৈতিক শক্তির বিরুদ্ধে; মাঠে ময়দানে প্রজাতন্ত্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ‘প্রভাব’ তথা ছত্রছায়া, তাদের সভা-সমাবেশ-মিছিল করার সাংবিধানিক অধিকার নস্যাৎ করে দিচ্ছে। আর হতাহত হচ্ছে প্রতিপক্ষ শিবিরের নেতা-কর্মী-সমর্থক। এসব কাণ্ড দেশে এক নৈরাজ্যের পরিবেশ কায়েম করতে চলেছে।
গণতান্ত্রিক দেশে এমন প্রশাসনের অস্তিত্ব অপরিহার্য যা রাষ্ট্রকে সব সময় সরল রেখার ওপর তুলে নিয়ে সম্মুখ পানে ছুটবে; যার লক্ষ্য সব শ্রেণী পর্যায়ের মানুষকে অহিত থেকে হিতের দিকে এগিয়ে নিয়ে চলা, সে প্রশাসনের ক্ষিপ্ততা, বুদ্ধিমত্তা, মন-মানসের শক্তি থাকতে হবে, যাতে পথিমধ্যের সব আপদ-বিপদ উতরে যেতে কোনো বিরতি নিতে হবে না; সক্ষমতা-পারঙ্গতা তাদের কর্ম হিসেবে কাজ করবে। আর এইটাই রাষ্ট্রবিজ্ঞানের মৌলিক সূত্র। কিন্তু এর যদি ব্যত্যয় হয় তবে বুঝবে, এ প্রশাসন অদক্ষ অযোগ্য, যাদের দ্বারা দেশকে তার সঠিক লক্ষ্য পানে নিতে একেবারেই অক্ষম। এমন অস্বাভাবিকতার জন্যই রাষ্ট্রযন্ত্রে নানা বৈকল্য গোলযোগসহ নানা উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। জনভোগান্তি, আর সেটা বোঝার কেউ আছে বলে মনে হয় না। সে জন্য সমাজে নানা বিশৃঙ্খলা, অপকর্ম, অসাধুতার প্রবল স্রোত তৈরি হয়েছে। সে জন্য ভেঙে পড়ার উপক্রম হচ্ছে অনকে কিছ্।ু স্বয়ং রাষ্ট্রই যদি নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে; এখন দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হয়ে পড়বে। আর সেটি থেকে প্রতীয়মান হবে, দেশ খুব বড় খাদের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে, যার পরিণতি পূর্বাভাস, বর্তমান দুর্যোগের মধ্যে সবাই হাবুডবু খাচ্ছে এ সময় যাদের সব সক্রিয় ভূমিকা পালন করার কথা। কিন্তু তারা ‘রিপভ্যান উইংকেলের’ মতো গভীর নিদ্রায় বিভোর। অথচ এটা সবার চিন্তা চেতনায় জাগরূক রাখতে হবে, ‘পরিত্রাণের পথ সম্মিলিত অদম্য প্রয়াস। মনে রাখতে হবে যে, প্রতিটি মুহূর্ত এখন মহামূল্যবান, কালক্ষেপণের অর্থই আত্মাহুতির পথে যাওয়া। অথচ ভেবে অবাক হতে হয় এমন বিপর্যয়কর পরিস্থিতিতে প্রশাসনের যারা কেউকেটা তাদের বোধ বিবেচনা চেতনা কোন স্তরে নেমে গেছে।
রাষ্ট্রক্ষমতা কোন স্তরে রয়েছে আর কোন ব্যক্তি দলের কাছে যাবে, সেটা নির্ধারণ করবে জনগণ- এটাই শুদ্ধাচার। অথচ যে প্রতিষ্ঠান এই শুদ্ধাচারের ধারাবাহিকতা নিষ্ঠার সাথে বজায় রাখবে এখন তাদের কর্মকাণ্ড নিয়ে শত প্রশ্নের জন্ম হয়েছে। ক্ষমতা হস্তান্তরের যে শান্তিপূর্ণ পথ-পদ্ধতি সেটা অনুসরণ ও কার্যকর করার ক্ষেত্রে তাদের বাক্য-বচন এবং মানসিক ও শারীরিক ভাব ভঙ্গিমায় জনগণের মধ্যে অবিশ্বাস, সন্দেহ গভীর থেকে গভীরতর হয়ে উঠেছে।
জনগণের হাতে ক্ষমতার পালাবদলের হাতিয়ারটা যথা নিয়মে তাদের তুলে দেয়া নিয়ে এক রহস্যময়তার বলয় তারা সৃষ্টি করেছে। সে কারণে নির্বাচনের ‘মেকানিজম’ প্রধানত যাদের হাতে, তাদের কথাবার্তায় পরম্পরায় থাকছে না কোনো স্থিরতা, খুঁজে পাওয়া যায় না। তাদের ভূমিকা নিয়ে ভয়ানক এক অনাস্থা-অবিশ্বাস সৃষ্টি হয়েছে। এমন অস্পষ্টতা প্রকৃতপক্ষের সংবিধানে তাদের যে দায়িত্ব কর্তব্য সন্নিবেশিত রয়েছে, এসব তার পরিষ্কার লঙ্ঘনই বলতে হবে। এই প্রতিষ্ঠান এখন নিজে অপকর্ম ঢেকে রাখতে নিজেদের ঘিরে এক কুহেলিকা সৃষ্টি করেছে। এসব ভোটের স্বচ্ছতা, জন-আকাক্সক্ষার পরিপন্থী কাজ। এখন তারা অবিশ্বাস অনাস্থার এক ঘেরাটোপে বন্দী। দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে তাদের এমন পদস্খলন। সে জন্য নির্বাচন পরিচালনার মতো পূত পবিত্র স্থান থেকে তাদের সরে যাওয়াই উচিত। এ ছাড়া বিকল্প কোনো পথ আছে কি? তারা স্বপদে থেকে ভবিষ্যতে দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হবেন এমন সঠিক নয়। তার সর্বশেষ উদাহরণ জেলা পরিষদের নির্বাচন। সে নির্বাচন অনুষ্ঠানের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে না পারায় ক্ষমতাসীনদের মনোনীত ব্যক্তিরা ছাড়া আর কোনো প্রার্থী ছিলেন না বহু জায়গায়। এমন সাজানো নির্বাচনে অংশ নিয়ে কেউই সার্কাসের ‘ক্লাউন’ বা ‘ভাঁড়’ সাজতে রাজি হয়নি।
বিগত সংসদ নির্বাচনে ১৫০ আসনে দ্বিতীয় কোনো প্রার্থী না থাকায় তাদের বিনা ভোটে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছিল। এসব কিন্তু কারো স্মৃতি থেকে মুছে যায়নি, বস্তুত এসব কিছু কোনো স্বাভাবিক ঘটনা নয়। এমনভাবে যদি চলতে থাকে তবে অদূর ভবিষ্যতে নৈশ ভোটের মতো বিনা ভোটে বিজয়ী হওয়া আরো এক কালিমা গণতন্ত্রের ললাটে পড়বে।
হালে ভিন্ন এক সর্বনাশা কাণ্ড ঘটতে চলেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সে সম্পর্কে কিছু কথা বলতে চাই। আগামী প্রজন্ম যাতে প্রাতিষ্ঠানিক সুশিক্ষা, উত্তম স্বশিক্ষা পেয়ে জাতির উত্তরসূরি হিসেবে নেতৃত্ব নেয়ার মতো যোগ্য হয়ে উঠতে পারে, অন্য সব জাতি তার সব চেষ্টা করে থাকে। সে ক্ষেত্রে আমরাই হয়তো একেবারেই ব্যতিক্রম। আমাদের উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরাজমান হাল হকিকতের দিকে নজর করলেই বিষয়টি সবার কাছে পরিষ্কার হবে, আর স্বশিক্ষার কথা নাইবা বললাম। শিক্ষাঙ্গনে পরিবেশের সুস্থতার জন্য এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনো উদ্যোগ আয়োজন সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের রয়েছে, তেমন কোনো তথ্য উপাত্তের সন্ধান কেউ পেয়েছেন? তা আমাদের জানা নেই। নদীর স্রোতে শেওলা, নানা খড়কুটো যেমন লক্ষ্যহীনভাবে ভেসে যায়, আমাদের উচ্চ শিক্ষার অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান উদ্দেশ্যহীনভাবে গড্ডলিকা প্রবাহে ভেসে চলেছে। এসব শিক্ষাঙ্গনের কোনো গন্তব্যে তা যখন খুঁজে পাওয়া যায় না, তাই তার অনুসন্ধান করা তো অর্থহীন। দেশে এখন যতগুলো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, তা নিয়ে অনেকের অভিযোগ, সেগুলো কেবল এখন শুধু ডিগ্রি বিতরণের কেন্দ্র, বিদ্যা অর্জনের স্থান নয়; উপযুক্ত, দক্ষ, মানসম্মত মানুষ যেখান থেকে বের হয় না। যে কিছু শিক্ষার্থী মান বজায় রেখে সেখান থেকে বেরিয়ে আসছে তারা একেবারেই মাইক্রোস্কোপিক মাইনোরিটি। জাতির প্রয়োজনের তুলনায় নিতান্ত স্বল্প। তা ছাড়া দেশে যে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে সে কারণে ওরাও ব্রেন ড্রেনে পড়ে কোথায় যে হারিয়ে যাচ্ছে। সে কারণে আমাদের এ ভূখণ্ড ভবিষ্যতে মেধাহীনদের ভাগাড়ে পরিণত হয়ে উঠবে। তা ছাড়া এসব প্রতিষ্ঠান হয়তো সম্মুখে ‘মাসল ম্যান’ ও ‘লাঠি’ ওয়ালাদের আখড়ায় পরিণত হবে।
নিকট অতীতে সব কিছু তো তেমন ছিল না। কেউ যদি এই অধোগতির হেতুর শিকড় সন্ধান করতে চান বা অনুসন্ধানে নামেন তাহলে এর বহু কারণ খুঁজে পাবেন বটে, তবে প্রধান কারণ হিসেবে হয়তো শনাক্ত করতে পারবেন, লেজুড়বৃত্তির ছাত্ররাজনীতি। মূল রাজনৈতিক সংগঠনের সুতার টানে পুতুল নাচের খেলার মতো এরা নাচেন, কখনো কখনো প্রলয় নৃত্য শুরু করেন। ফলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে; শিক্ষার পরিবেশ, জ্ঞান অন্বেষণের পুরো ব্যবস্থাটা ভেঙে যাচ্ছে। আবার মূল সংগঠনের ডাকে রাজপথে নেমে এসে রণ সাজে মিছিল করে। প্রয়োজনে প্রতিপক্ষকে লাঠি পেটা করে তেপান্তরে পাঠায়। এসব ছাত্র-ক্যাডাররা সব কাজের কাজী, মূল সংগঠনের রিজার্ভ ফোর্স।
বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষমতাসীনদের এক বড় সঙ্কট বলে তারা মনে করছেন, সে জন্য আরো ছাত্র ক্যাডার দরকার যার পুরোটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জোগান দিতে পারছে না। সে জন্য এখন তাদের ‘নেক’ নজর পড়েছে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপর। প্রায় ৪০টির মতো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের শাখা খোলা হয়েছে। এখানে বলে রাখা ভালো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় ছাত্রের তৎপরতার পেছনে রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ ও কিছু আর্থিক এবং অন্যান্য প্রাপ্তি তাদের মরিয়া করে তুলছে। শিক্ষাঙ্গনে এদের অপতৎপরতায় শিক্ষাঙ্গনের সামগ্রিক অবস্থা ভেঙে পড়তে চলেছে। যাক, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে আসি, আগে উল্লেখ করা পক্ষ শক্তি মনে করছে, তারা বড় রাজনৈতিক যুদ্ধে অবতীর্ণ। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমতাসীনদের অঙ্গছাত্র সংগঠন খোলার নানামুখী কার্যক্রম রয়েছে। দুর্মুখরা বলেন, এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখন ‘শনিরদশায়’ পড়তে চলেছে। এই শনিরদশার ভেদটা পরিষ্কার করা দরকার। যেহেতু বিরোধী দলের মাঠে-ময়দানে তৎপরতা তীব্রতর হচ্ছে, তাই ক্ষমতাসীনদের মাঠ দখলে রাখতে হলে প্রয়োজন প্রতিপক্ষের চেয়ে অনেক বেশি জনবল। প্রতিপক্ষের কর্মীদের এই আন্দোলন বেগবান করার পেছনে তাদের প্রচণ্ড নৈতিক শক্তি রয়েছে। তারা গণতন্ত্র, মানবাধিকার, জনগণের ভোটাধিকারের পক্ষে কাজ করছে। তাই তাদের মন-মানস অনেক বেশি চাঙ্গা। সে জন্য এই শক্তিকে রুখতে হলে মারদাঙ্গা করা ভিন্ন কোনো উপায় নেই। পাবলিকের সাথে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের রাজপথে নিয়ে আসতে হবে। ক্যাডার তৈরি না করে ওদের নামানো যাবে না। সেই জন্য ক্যাডার সৃষ্টির লক্ষ্যে ছাত্রলীগের এখন যত শাখা। অথচ কত বছর এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ছাত্রসংগঠনের শাখা ছিল না; ছিল না কোনো অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে গঠিত কোনো ছাত্র ফোরাম। তাই সেখানে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বিদ্যাভ্যাস, গবেষণা কার্যক্রম যথাবিহিত জারি রয়েছে। এখন এই নতুন অগ্রগতির ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলার সময় না এলেও অনুমান করতে দোষ কী!
বাইরের ইন্ধনে নানা স্বার্থ শিকারিরা এবার বসে থাকবে না; পানি ঘোলা করে মাছ শিকারে নামবে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাবমর্যাদা, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ, সেশন জটের অভিশাপ নেই। এগুলোর যদি এই ছুতায় এমন হিতাবস্থা ভেঙে দেয়া যায় তবে সৎ উদ্দেশ্যে গড়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মারা পড়বে, ছাত্রদের পড়াশোনা শিকায় উঠবে, তখন ছাত্ররা আশপাশের দেশে ছুটবে পড়াশোনা করতে। শিকারিদের মাছ শিকার সম্পন্ন হবে। কূট রাজনীতি সফলতা পাবে।
নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ অর্জনের জন্য এমন অপকর্ম যারা করতে পারে তারা কোনোক্রমে দেশহিতৈষী হতে পারেন না। ভাবতে অবাক লাগে নিজেদের স্বার্থান্ধতার কাছে জাতিকে বলি দেয়ার আয়োজন করতে তারা এগিয়ে যাচ্ছে।
ndigantababar@gmail.com
সোর্স : নয়া দিগন্ত