এসি কম্পার্টমেন্ট। কিন্তু ভেতরের চিত্র অন্যরকম। ঠাসাঠাসি ভিড়। হকার-ভিক্ষুকের উৎপাত। ঢাকা-নোয়াখালীর মধ্যে চলাচলকারী আন্তঃনগর উপকূল এক্সপ্রেসের চিত্র এটি। যা লোকাল ট্রেনের কামরার চেয়েও খারাপ। যাত্রীদের অভিযোগ এই চিত্র রোজকার। দেখার কেউ নেই।
রোববার ট্রেনটিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকা ভ্রমণে চরম অব্যবস্থাপনার এই চিত্র চোখে পড়ে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-ঢাকা ভ্রমণে ট্রেনটিতে আসন রয়েছে মোট ৬৫টি। এরমধ্যে এসি চেয়ার আসন ৩৫টি।
বাকি ৩০টি শোভন শ্রেণির। গতকাল সকাল ১০টা নাগাদ ঢাকা অভিমুখী ট্রেনটি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যাত্রাবিরতি করার পর দেখা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যাত্রীদের জন্য নির্ধারিত স্নিগ্ধা নামীয় এসি’র ‘চ’ কামরায় যাত্রী উঠছে হুড়মুড় করে। এতে বগির আসনবিশিষ্ট যাত্রীদের তাদের সিটের কাছে পৌঁছতে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ট্রেন চলতে শুরু করলে ভিড় ঠেলে আসা- যাওয়া করতে থাকে হকার ও ভিক্ষুক। কিন্তু কামরায় যাত্রীদের সুযোগ-সুবিধা দেখার দায়িত্বে নিয়োজিত অ্যাটেনডেন্সের কোনো দেখা পাওয়া যায়নি ট্রেন ঢাকা পৌঁছা পর্যন্ত। আসেনি টিকিট চেকারও। দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীদের বেশ কয়েকজন জানিয়েছেন, সাধারণ শ্রেণির দাঁড়িয়ে যাওয়ার টিকিট কেটেছেন তারা। অ্যাটেনডেন্সের সঙ্গে কথা বলেই এ কামরায় ঢুকেছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আশুগঞ্জ, আখাউড়া থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, স্বল্প দূরত্বের যাত্রীরাও এই কামরায় উঠে ভিড় বাড়িয়ে দেন। ঢাকা পর্যন্ত এসি কামরায় এই ভিড় বজায় থাকে। এসি কম্পার্টমেন্টে ভ্রমণে আসনবিহীন টিকিট দেয়া হয় না। তারপরও তারা কীভাবে এই কোচে উঠে। সেটাই প্রশ্ন ভুক্তভোগী মফিজুল মিয়ার।
মনিরুল ইসলাম নামের এক যাত্রী জানান, এসি’র ভাড়া দ্বিগুণ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-ঢাকা ভাড়া ২৮০ টাকা।
আর সাধারণ শ্রেণির ভাড়া ১৪০ টাকা। ডবল টাকা ভাড়া দিয়েও ভ্রমণে কোনো শান্তি নাই। এসি কামরায় গরমে হাঁসফাঁস করতে হয়। এর চেয়ে ৭০ টাকা ভাড়া দিয়ে কমিউটার ট্রেনে যাওয়া অনেক ভালো।
রিফাতুল ইসলাম তারেক নামের আরেক যাত্রী বলেন- নোয়াখালী-ঢাকা উপকূল এক্সপ্রেসের সার্ভিস খুব বাজে ও খারাপ। উপকূলে ওঠা আর তিতাস কমিউটার ট্রেনে ওঠা একই কথা। সবচেয়ে বাজে অবস্থা। অভিজিৎ রায় বলেন, এসি বগির প্রতিদিনের চিত্র এটি। মো. ফয়জুল ইসলাম বাদল বলেন, এসি বগি হকার ও বিনা টিকিটের যাত্রীদের দখলে থাকে।
সোর্স : মানব জমিন