প্রবাসে থেকে নিজেদের কষ্টার্জিত অর্থ বিনিয়োগ করে গড়ে তুলেছেন হোমল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি। সে হিসেবে তারা এই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক। প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন চেয়ারম্যান ও সিইও। তারাই সবকিছু দেখভাল করেন। গত ২১শে সেপ্টেম্বর কোম্পানির বার্ষিক সম্মেলনে অংশ নিতে বৃটেন থেকে দেশে আসেন সাত প্রবাসী পরিচালক। অংশ নেন কোম্পানির এজিএম-এ। সেখান থেকেই আচমকা তাদের ধরে নিয়ে যায় মতিঝিল থানা পুলিশ। এরপর আদালতের মাধ্যমে পাঠানো হয় কারাগারে। মাগুরায় দায়ের করা কথিত প্রতারণার মামলায় তাদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা তামিল করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। একসঙ্গে প্রবাসী এই ৭ উদ্যোক্তাকে গ্রেপ্তারে তোলপাড় চলছে দেশে-বিদেশে।
বিজ্ঞাপন
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রবাসীরা। সরকার যেখানে প্রবাসীদের দেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে আসছে সেখানে এই বিনিয়োগকারীদের এভাবে গ্রেপ্তার কী বার্তা দিচ্ছে সেই প্রশ্ন অনেকের। ঘটনাটি স্রেফ মামলা এবং গ্রেপ্তার হিসেবে দেখছেন না অনেকে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৯৬ সালে অনুমোদন পাওয়া প্রতিষ্ঠানটি দখল করে নিতেই এই কৌশল নিয়েছে কোনো একটি পক্ষ।
কোম্পানি সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি বর্তমান চেয়ারম্যান এবং এমডি এর নেপথ্যে রয়েছে। তা না হলে কোম্পানির লেনদেনের বিষয়ে কেউ মামলা করলে বর্তমান চেয়ারম্যান এবং এমডি’র বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার কথা। তা না করে প্রবাসে থাকেন এমন ৭ উদ্যোক্তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আর তার পরোয়ানাও হয়েছে। এসব বিষয়ে উদ্যোক্তাদের কোনো তথ্যই দেয়া হয়নি কোম্পানির পক্ষ থেকে। এছাড়া কোম্পানির আরও কয়েকজন পরিচালক থাকলেও তাদের মামলায় আসামি করা হয়নি। সূত্র জানিয়েছে, কোম্পানির একটি বড় অংশের শেয়ার প্রবাসী উদ্যোক্তাদের হাতে। তাদের সরিয়ে দেয়ার জন্যই এই মামলার কৌশল নেয়া হয়েছে। যদিও আসামি পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট শফিকুজ্জামান বাচ্চু মানবজমিনকে জানিয়েছেন, এই মামলার কোনো ভিত্তি নেই। প্রবাসী উদ্যোক্তাদের এভাবে গ্রেপ্তারও ঠিক হয়নি। কারণ মামলা হলে বর্তমান চেয়ারম্যান এবং এমডি’র বিরুদ্ধে হওয়ার কথা। বিষয়টি আদালতকে জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার আদালত প্রবাসীদের জামিন মঞ্জুর করতে পারেন। তিনি বলেন, এই মামলা টিকবে না। এটি খারিজ হয়ে যাবে। সিনিয়র এই আইনজীবী মনে করেন এই মামলার পেছনে অন্য কোনো কারণ থাকতে পারে। ওদিকে ওই ৭ প্রবাসীকে গ্রেপ্তারের পর থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে বৃটেনে বসবাসরত প্রবাসীদের মধ্যে। তারা বলছেন, এভাবে প্রবাসী উদ্যোক্তাদের ডেকে নিয়ে দেশে গ্রেপ্তার করা কী বার্তা দিচ্ছে।
যেখানে সরকার বিনিয়োগের আহ্বান জানাচ্ছে সেখানে এই ঘটনা প্রবাসীদের জন্য নতুন এক বার্তা। কোম্পানির একাধিক সূত্রের দাবি সাবেক চেয়ারম্যান এনাম উদ্দিন আহমেদ এর মৃত্যুর পর থেকেই প্রবাসী পরিচালকদের কোনো ধরনের আর্থিক হিসাব দেয়া হচ্ছে না। তারা হিসাব চাইলেও বর্তমান ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ নানা তালবাহানা করেন। সর্বশেষ ২১শে সেপ্টেম্বর হিসাব দেয়ার কথা বলে বার্ষিক সম্মেলনে ডেকে আনা হয় প্রবাসী পরিচালকদের। ওইদিনই তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অভিযোগ আছে, কোম্পানির নানা অনিয়ম, মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও গ্রাহকের টাকা পরিশোধ না করাসহ আরও বেশকিছু ইস্যুতে এই পরিচালকরা প্রবাসে থেকেও সোচ্চার ছিলেন। কোম্পানির ব্যবস্থাপনায় নানা অনিয়ম ছিল। শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্তি নিয়েও অনিয়মের অভিযোগ আছে। অন্যদিকে শীর্ষ পদস্থরা কোম্পানির একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করছিলেন। প্রবাসী পরিচালক হওয়াতে তাদের না জানিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে অনিয়ম করে যাচ্ছিলেন শীর্ষ কর্মকর্তারা। এসব বিষয়ে ওই পরিচালকরা প্রতিবাদ করতেন। তাই কৌশলে পথের কাঁটা সরাতে গিয়ে পরিকল্পিতভাবে তাদের মামলার আসামি করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
সিলেটি ব্যবসায়ীরা গ্রেপ্তার হয়েছেন এমন খবরে তাদের সিলেট-সুনামগঞ্জের বাড়ি ও আশেপাশের এলাকায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া বৃটেনে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিরাও তাদের গ্রেপ্তারের খবর শুনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। অনেকেই বলেছেন ঘটনাটি পরিকল্পিত। মূলত হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিটি দখল ও একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করার জন্য একটি চক্র এই পরিকল্পনা সাজিয়েছে। তাই বিলেত প্রবাসীরা এ ঘটনার সুষ্ঠু দাবি করেছেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যদি পরিকল্পিতভাবে ওই ব্যবসায়ী ও প্রবাসীদের সঙ্গে এ রকম কিছু করা হয় তবে দেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অন্যান্য প্রবাসীরা নিরুৎসায়িত হবেন। গ্রেপ্তারকৃত ৭ ব্যবসায়ী হলেন- সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার বাসিন্দা জামাল মিয়া ও তার ভাই কামাল মিয়া, বিশ্বনাথের আবদুল আহাদ ও তার ভাই আবদুল হাই, ছাতকের জামাল উদ্দিন ও শাহ্জালাল উপ-শহরের আবদুর রাজ্জাক এবং আব্দুর রব। তাদের মধ্যে জামাল মিয়া কোম্পানির ভাইস চেয়ারম্যান ও বাকি সবাই পরিচালক।
সম্প্রতি মাগুরা আদালতে গ্রেপ্তার ব্যবসায়ীসহ মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে পৃথক ৪টি মামলা করা হয়। সিআর মামলা নং-২২৭/২২,২২৮/২২,২২৯/২২,২৩০/২২। ধারা নং ৪০৬ ও ৪২০ দণ্ডবিধি। মাগুরা জেলার সদর উপজেলার সৈয়দ মোফাক্কার আলী, একই উপজেলার বুধইরপাড়ার মো. আজর আলী, ওই উপজেলার ছয়চার গ্রামের মো. নায়েব আলী ও পার্শ্ববর্তী ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার সড়াবাড়ীয়া গ্রামের মো. হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে এসব মামলা করেন। আদালত মামলাগুলো আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরোয়ানার কপি ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে পাঠানো হয়। ৪ মামলার এজাহারেই মাগুরা জেলার শালিখা থানাধীন আড়পাড়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের অধীন বীমা গ্রাহকদের পলিসির টাকা আত্মসাৎ করে প্রতারণামূলকভাবে বিশ্বাস ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়। মামলায় কোম্পানির চেয়ারম্যান, এমডি, জিএমসহ অন্য কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়নি। এমনকি মামলার বাদীরা রহস্যজনকভাবে এসব কর্মকর্তার সম্পর্কে কোনো কথা বলতে রাজি নন। এ বিষয়ে আসামি পক্ষের আইনজীবী শফিকুজ্জামান বাচ্চু বলেন, মামলা হলে শালিখা শাখার ব্যবস্থাপক প্রথম আসামি হওয়ার কথা। তা না করে প্রবাসীদের আসামি করা উদ্দেশ্যমূলক।
গ্রেপ্তার ৭ ব্যবসায়ীর বিষয়ে খোঁজ নেয়ার জন্য গতকাল হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মতিঝিলস্থ প্রধান কার্যালয়ে গেলে কেউ এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি। অনেকে আবার পরিচালকরা গ্রেপ্তার হয়েছেন সে বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি। সবশেষে কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে দেখা করতে চাইলেও তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে দেখা করেননি। মতিঝিল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী মো. নাসিরুল আমীন মানবজমিনকে বলেন, আদালত থেকে একটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আমাদের কাছে এসেছিল। আমরা শুধু এজন্যই তাদের গ্রেপ্তার করেছি। আদালতের নির্দেশনা পালন করেছি। ওইদিন পরিচালকরা কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভায় যোগ দিতে এসেছিলেন। যাদেরকে গ্রেপ্তার করেছি তাদের নামে একাধিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। তারমধ্যে ৬ পরিচালকের নামে নামে ৪টি করে এবং একজনের নামে ৩টি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। তিনি বলেন, প্রতারণা মামলায় তাদের বিরুদ্ধে মাগুরার একটি আদালতে মামলাটি হয়েছিল। এর বেশি তথ্য আমাদের কাছে নাই। তবে তাদের বিষয়ে খোঁজ নিতে বৃটিশ অ্যাম্বাসির কর্মকর্তা ফোন করেছিলেন। মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইয়াসির আরাফাত খান জানান, গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের একটি মামলায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি ছিল।
মামলা, পরোয়ানা সম্পর্কে জানতেন না ৭ প্রবাসী
মামলা, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সম্পর্কে জানতেন না হোমল্যান্ড লাইফ ইন্সুরেন্সের যুক্তরাজ্য প্রবাসী ৭ পরিচালক। তবে কোম্পানির নানা বিষয় নিয়ে দেশে থাকা পরিচালকদের সঙ্গে তাদের মতবিরোধ ছিল। এসব বিরোধের কারণে ৭ যুক্তরাজ্য প্রবাসী বিনিয়োগকারীর সিদ্ধান্ত এক ছিল। ঢাকায় হোমল্যান্ড লাইফ ইন্সুরেন্সের কার্যালয় থেকে গ্রেপ্তার হওয়া প্রবাসীর স্বজনরা মানবজমিনের কাছে এসব তথ্য জানিয়েছেন। তারা জানান- ইন্সুরেন্স কোম্পানির ৭ বিনিয়োগকারী গ্রেপ্তার হওয়ার আগের সপ্তাহে দেশে ফিরেন। দেশে আসার মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল কোম্পানির অতিরিক্ত সাধারণ সভায় যোগ দেয়া। ২১শে সেপ্টেম্বর ঢাকার মতিঝিলে হোমল্যান্ড লাইফ ইন্সুরেন্সের প্রধান কার্যালয়ে তারা সভায় যোগ দেন। সভা শেষ হওয়ার পর মতিঝিল থানা পুলিশের একটি দল গিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দেখিয়ে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। গ্রেপ্তারের পর ঢাকার কেরানীগঞ্জ কারাগারে গিয়ে সিলেটের স্বজনরা তাদের সঙ্গে দেখা করে এসেছেন। গতকালও তারা দেখা করেছেন। এই প্রবাসীরা সিলেটের জনসেবাসহ নানা কর্মকাণ্ডে জড়িত। এদের মধ্যে বিশ্বনাথ ও বালাগঞ্জের দুই পরিবারের চার ভাই গত ১৮ ও ১৯ শে সেপ্টেম্বর দেশে আসেন। তখনো স্বজনদের সঙ্গে তাদের দেখা হয়নি।
দেশে ফিরেই তারা ঢাকায় চলে যান। বিশ্বনাথ এডুকেশন ট্রাস্টের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই ও তার ভাই ব্যবসায়ী আব্দুল আহাদের স্বজন মাজেদ আহমদ গতকাল বিকালে মানবজমিনকে জানিয়েছেন- ঢাকায় তারা গ্রেপ্তার হয়েছেন আমরা জানতাম না। ২২শে সেপ্টেম্বর আমরা জানতে পারি। এরপর ঢাকায় আসি। তিনি জানান- গ্রেপ্তার হওয়ার পর দুইদিন কারাগারে থাকা আব্দুল হাই ও আব্দুল আহাদের সঙ্গে দেখা হয়েছে। সর্বশেষ গতকাল তারা কারাগারে গিয়ে দেখা করে আসেন। প্রথম দিকে তারা মানসিকভাবে শক্ত থাকলেও প্রথম দফা জামিন আবেদন নামঞ্জুর হওয়ায় মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত আছেন। তিনি জানান- কারাগারের ভেতরে তাদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। কারা কর্তৃপক্ষ তাদের সুযোগ-সুবিধার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। কোম্পানি সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে তার সঙ্গে এখনো কথা হয়নি বলে জানান মাজেদ। বালাগঞ্জের চান্দাইরপাড়া গ্রামে বাড়ি গ্রেপ্তার হওয়া যুক্তরাজ্য প্রবাসী জামাল মিয়া ও তার ভাই কামাল মিয়া। সিলেট নগরীর রায়নগর রাজবাড়ী এলাকার বাসিন্দা তারা। দেশেই তাদের কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে। দু’ভাই-ই দানশীল হিসেবে পরিচিত। তাদের স্বজন আফজল আহমদ জানিয়েছেন- কোম্পানির বৈঠকে যোগ দিতে এবার তাদের দেশে আসা। বৈঠকের দু’দিন আগে তারা দেশে ফিরেন। এরপর ঢাকায় চলে আসেন।
গ্রেপ্তারের পর পরিবারের স্বজনরা বিষয়টি জানতে পারেন। তিনি জানান- আমরাও মামলা সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। কী কারণে তারা কারাগারে সে সম্পর্কেও অবগত ছিলাম না। পরে ঢাকায় এসে সব জানতে পারি। এদিকে- সিলেট ও লন্ডনের পরিচিত মুখ ওই ৭ প্রবাসী গ্রেপ্তারের খবর জানাজানি হওয়ার পর তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিশেষ করে সিলেটের সব মহলে বিষয়টি আলোচিত হচ্ছে। কারণ- যে ৭ প্রবাসী গ্রেপ্তার হয়েছে তারা বিভিন্নভাবে সিলেটের সামাজিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত। কমিউনিটি লিডার হিসেবে পরিচিত। বালাগঞ্জের বোয়ালজুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও বালাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনহার মিয়া ব্যক্তিগত ভাবে চিনেন জামাল মিয়া ও কামাল মিয়াকে। তারা সমাজের প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি ও ব্যবসায়ী বলে দাবি করেন তিনি। জানান- তারা কখনোই কারও সঙ্গে বিরোধে জড়ান না। সিলেট শহরে বাসা হলেও গ্রামের বাড়ির মানুষের সুখে দুঃখে সব সময় পাশে থাকেন। বিশ্বনাথের প্রবাসী এডুকেশন ট্রাস্টের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই। সিলেট ও লন্ডনে তাদের অঢেল সম্পদ। দানশীল ও পরোপকারী পরিবার হিসেবে গ্রামের বাড়ি তাতীকোনাসহ গোটা বিশ্বনাথে পরিচিত। ছাতকের মণ্ডলপুর গ্রামের বাসিন্দা জামাল উদ্দিন মখদ্দুসও সিলেটের পরিচিত মুখ। নিজের এলাকায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন একটি হাইস্কুল। এ ছাড়া সিলেটের এডভেঞ্চার ওয়ার্ল্ডের অন্যতম পরিচালক তিনি। সিলেটে তার প্রচুর বিনিয়োগ রয়েছে। আব্দুর রাজ্জাক নগরীর উপশহরের বাসিন্দা। তিনিও একজন বিনিয়োগকারী হিসেবে পরিচিত।
সোর্স : মানব জমিন