ইবনে নূরুল হুদা
বিলম্বিত বিচার ন্যায়বিচার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বড় ধরনের অন্তরায়। প্রায় ৯ দশক আগে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার ‘প্রশ্ন’ কবিতায় লিখেছিলেন, ‘বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে’। মূলত, বিচারপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রতা বা অবিচারের বিষয়ে তিনি এ কথা লিখেছিলেন। এতে প্রমাণিত হয়, বিচার নিয়ে অনিয়ম তখনো ছিল; এখনো আছে। কিন্তু একবিংশ শতাব্দীতে এসেও সে অবস্থার কোন ইতিবাচক পরিবর্তন হয়নি। আমাদের দেশে বিচারকাজে প্রশ্নবিদ্ধ নিরপেক্ষতা ও দীর্ঘসূত্রতা পুরো বিচার প্রক্রিয়াকেই প্রশ্নবিদ্ধ করছে। ডি এইচ লরেন্স বলেছেন, নীতিশাস্ত্র, ন্যায় ও ন্যায়বিচারের মূলনীতি ও উপাদান ক্যালেন্ডারের সাথে পরিবর্তিত হয় না। এটি চিরকালের জন্যই একই এবং অপরিবর্তনীয়।
বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্র ছাড়া আমাদের দেশে বিচারপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রতার বিষয়টি প্রমাণিত ও সুস্পষ্ট। কিন্তু বিশেষায়িত কোনো মামলা নয়, বরং ন্যায়বিচার প্রাপ্তির জন্য সব মামলার দ্রুততার সাথে নিষ্পত্তি হওয়া আইন ও সংবিধানের দাবি। প্রতিবেশী দেশ ভারতে কোনো কোনো মামলার নিষ্পত্তির জন্য দ্রুত বিচার অর্থাৎ ফাস্ট-ট্র্যাক আদালতের ব্যবস্থা রয়েছে। বিষয়টিকে সুনজরে দেখেননি দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। এ বিষয়ে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট এক রায়ে বলেছেন, বিশেষ ধরনের মামলা নয়, গোটা ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থাকেই দ্রুততর করতে কাঠামোগত সংস্কার দরকার।
ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের এ আদেশ খুবই যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মত। কারণ, গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বিশেষাধিকারপ্রাপ্ত নাগরিকদের জন্য স্বতন্ত্র বিচার প্রক্রিয়া সমর্থন করে না। যদি দ্রুত বিচার সবার প্রাপ্য হয়, তা হলে বিশেষ ক্ষেত্রে রুজু হওয়া ফৌজদারি মামলাগুলোকে আলাদা করে সবার আগে নিষ্পত্তি করার যৌক্তিকতা থাকে না। বিষয়টি সংবিধান, আইনের শাসন ও ন্যায়বিচারের সাথে সাংঘর্ষিক।
মূলত, বিচারে দীর্ঘসূত্রতা আমাদের দেশের বিচারব্যবস্থার অন্যতম দুর্বলতা। আর বিলম্বিত বিচার অবিচারের নামান্তর। উইলিয়াম গ্লাডস্টোনের ভাষায়, Justice delayed is justice denied. তাই বিচারকাজে অহেতুক বিলম্ব কোনোভাবেই কাম্য নয় বরং যৌক্তিক সময়ের মধ্যেই সর্বপ্রকার বিচার সম্পন্ন হওয়া ন্যায়বিচারের দাবি। আমাদের দেশে বিশেষ বিশেষ মামলার ক্ষেত্রে দ্রুত বিচারসংক্রান্ত আইন ও নির্দেশ রয়েছে। এতে প্রমাণিত হয়, দেশে বিচারপ্রাপ্তির অধিকার সব নাগরিকের জন্য সমান নয়।
আমাদের সংবিধানের ১৯(১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা নিশ্চিত করিতে রাষ্ট্র সচেষ্ট হইবে।’ রাষ্ট্রনায়ক আলেকজান্ডার হ্যামিল্টনের বক্তব্য হলো- ’’The first duty of society is justice. মূলত, সমাজ তথা রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হলো, মানুষের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা। আর ন্যায়বিচার ও সমতা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সুবিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি সমতল ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়। একটি আধুনিক কল্যাণরাষ্ট্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো সমাজের সব শ্রেণির নাগরিকের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অধিকারগুলোর নিশ্চয়তা বিধান করা।
সর্বশেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে একমাত্র আইন-আদালতের মাধ্যমেই মানুষ তার ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারে। কিন্তু আমাদের দেশে অপরাধ তদন্তে দীর্ঘসূত্রতার কারণে মানুষ ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কারণ, অপরাধ তদন্তে রাজনৈতিক প্রভাব, তদন্ত কর্মকর্তার উদাসীনতা, গাফিলতি ও অনৈতিকতায় ভিকটিমরা যথাযথ প্রতিকার পাচ্ছেন না। ফলে বিচারপ্রক্রিয়া অপ্রত্যাশিতভাবে বিলম্বিত হচ্ছে। এমনকি তদন্তে অহেতুক বিলম্বের কারণে অনেক মামলার বিচারকাজই শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না। অবস্থার এতই অবনতি হয়েছে যে, অনেক ক্ষেত্রেই বিচার পাওয়ার ন্যূনতম সম্ভাবনাও থাকছে না। যা সুশাসনের ক্ষেত্রে বড় ধরনের বাধা।
এভাবে নিম্ন ও উচ্চ আদালতে ঝুলে থাকা মামলার কারণে দেশের আদালতে মামলার জট এখন মহাজটে পরিণত হয়েছে। দেশের সুপ্রিমকোর্ট ও বিভিন্ন বিচারিক আদালতে বর্তমানে প্রায় ৪০ লাখ মামলা বিচারাধীন। করোনা মহামারি চলাকালে গত দুই বছর বিচারকাজ বাধাগ্রস্ত হওয়া, মামলার দীর্ঘসূত্রতা, অযাচিত মামলা, অনেক ক্ষেত্রে বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীদের কালক্ষেপণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেন আইনজ্ঞরা। সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের বিচারিক ও সর্বোচ্চ আদালতে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ছিল ৩৫ লাখ ৮২ হাজার ৩৪৭টি।
এরমধ্যে হাইকোর্টে বিচারাধীন মামলা ৫ লাখ ৬ হাজার ৬৬৪টি। আপিল বিভাগে বিচারাধীন ২১ হাজার ৮১৩টি। ২০২০ সালের ৩১ মার্চে বিচারাধীন মোট মামলার সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৭ লাখ ৪২ হাজার। গত বছরের জুলাই পর্যন্ত দেশের আদালতসমূহে ৩৮ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৬টি মামলা বিচারাধীন ছিল। অথচ চলতি বছরের ৩১ মার্চ এ সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৯ লাখ ৯৪ হাজার ৫০৮। এ সময়ে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ছিল ২৪ হাজার ৪১৭টি এবং হাইকোর্ট বিভাগে ৫ লাখ ৪ হাজার ২০২টি। অবশিষ্ট মামলাগুলো বিচারাধীন ছিল দেশের জেলা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটসহ বিভিন্ন বিচারিক আদালতে। দেশে বর্তমানে বিচারকের সংখ্যা প্রায় ১ হাজার ৮শ। এ হিসাবে দেশে প্রায় ১ লাখ মানুষের জন্য বিচারক রয়েছেন একজন। সুপ্রিমকোর্টে রয়েছেন ৯৩ জন বিচারক। এর মধ্যে হাইকোর্টে ৮৬ জন ও আপিল বিভাগে ৭ জন।
সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের উদ্যোগে মামলার পরিসংখ্যানমূলক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, ২০১১ সাল থেকে এ বছরের মার্চ পর্যন্ত ১১ বছরে দেশে ১ কোটি ৩৮ লাখ ৬৩ হাজার ২৫০টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। এ হিসাবে প্রতিবছর গড়ে ১২ লাখের বেশি মামলা নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। তবে একই সময়ে নতুন করে দায়ের ও পুনর্জীবিত হয়েছে ১ কোটি ৫৯ লাখ ৫ হাজার ৬৬১টি মামলা। মামলা নিষ্পত্তির তুলনায় মামলা দায়েরের সংখ্যা গত ১১ বছরে ২০ লাখেরও বেশি।
আইনপেশা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দীর্ঘসূত্রতা মামলা জটের অন্যতম প্রধান কারণ। বছরের পর বছর বিচারিক আদালতে ও হাইকোর্টে শুনানির অপেক্ষায় পরে থাকায় মামলা জট দীর্ঘ হচ্ছে। বিশেষ করে দেওয়ানি মামলা তো শেষই হতে চায় না। অনেক মামলা ৩০ বছরেও নিষ্পত্তি হয়নি। এ ক্ষেত্রে ফৌজদারি মামলাও পিছিয়ে নেই। অনেক ফৌজদারি মামলাই চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হতে ২০-২৫ বছর লেগে যায়।
এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের বক্তব্য হলো, ‘দেওয়ানি মামলা নিষ্পত্তি হতে সবচেয়ে বেশি সময় লাগছে। সময় লাগছে ফৌজদারি মামলার ক্ষেত্রেও। ডেথ রেফারেন্স মামলাও এর ব্যতিক্রম নয়। তবে সম্প্রতি প্রধান বিচারপতি ১০ হাইকোর্ট বেঞ্চে পেনডিং ডেথ রেফারেন্স মামলার বিচারের ব্যবস্থা করেছেন। রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগেও পেন্ডিং মামলা দ্রুত শুনানির উদ্যোগ নিয়েছে।’ করোনার কারণে দীর্ঘ সময় নিয়মিত আদালত না চলায় বিচারাধীন মামলার সংখ্যা আরও বেড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ জন্য মামলা পরিচালনায় হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে প্রধান বিচারপতি যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাতে এখন থেকে আর মামলার জট বাড়বে না।’ কিন্তু এমন দাবির সাথে সকলেই একমত হতে পারছেন না।
অপরাধ বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ, তদন্ত কর্মকর্তার অদক্ষতা এবং কিছু পুলিশের অপেশাদারিত্ব ও স্বেচ্ছাচারিতায়ই চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার রহস্য অনুদঘাটিত থেকে যাচ্ছে। ফলে অপরাধীদের চিহ্নিত করা যায় না। কেউ কেউ অপরাধ তদন্তে প্রযুক্তির ব্যবহারের কথা বললেও সৎ ও যোগ্য তদন্ত কর্মকর্তার অভাবে তাও সম্ভব হচ্ছে না। কারণ, তদন্ত কর্মকর্তার আন্তরিকতা ও পেশাদারিত্বের অভাব থাকলে শুধু প্রযুক্তি দিয়ে কোনো কিছু করা সম্ভব নয়। এ অবস্থায় পুলিশের মধ্যে মূল্যবোধ, পেশাদারিত্ব সৃষ্টি করতে এবং দক্ষতা বাড়াতে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেয়ার প্রয়োজনের তাগিদ এসেছে বিভিন্ন মহল থেকেই। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের এখন পর্যন্ত তৎপরতা লক্ষ করা যায়নি।
পুলিশ সদর দফতর সূত্র বলছে, মনিটরিং সেলে যেসব মামলা রয়েছে, সেখানে রাজনৈতিক বিবেচনার কারণে তদন্ত ব্যাহত হচ্ছে। ঢাকার বাইরে যেসব মামলা আছে, সেখানেও একই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। কয়েকটি হত্যা মামলার সাথে সরকারদলীয় এমপি, সন্ত্রাসী, নেতাকর্মী জড়িত থাকায় তদন্তে দলীয় প্রভাব এবং তদন্ত কর্মকর্তাদের বিতর্কিত কর্মকা-ের কারণেও বেশ কিছু মামলার তদন্ত হিমাগারে চলে গেছে, যা দ্রুত তদন্ত ও ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। তা কোনো গণতান্ত্রিক ও সভ্য সমাজে মোটেই কাক্সিক্ষত নয়।
মামলা তদন্তে অনাকাক্সিক্ষতভাবে কালক্ষেপণ ও বিচারহীনতার ‘সংস্কৃতি’র কারণেই দেশে মামলার জট বাড়তে বাড়তে এখন অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। সুপ্রিমকোর্টের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৬ সাল শেষে সারা দেশে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ছিল ৩১ লাখ ৫৬ হাজার ৮৭৮। পুরনো পরিসংখ্যান থেকেও এটি স্পষ্ট যে, বহু বছর ধরে দায়ের করা মামলা নিষ্পত্তি করা মামলার চেয়ে অন্তত কয়েক লাখ বেশি থাকে। প্রতি বছরই বিচারাধীন মামলার তালিকায় যোগ হচ্ছে অসংখ্য নতুন মামলা। অথচ আগের মামলাই নিষ্পত্তি করতে পারছে না আমাদের বিচার বিভাগ। আর অনিবার্য পরিণতি হিসেবে বিচারাঙ্গনে সৃষ্টি হচ্ছে মামলাজট। মামলার বিচার ও নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে বিচারব্যবস্থায় বর্তমানে প্রচলিত সেকেলে ধারা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসা আবশ্যক। কিন্তু বিষয়টি যাদের দেখভাল করার দায়িত্ব, তারা বিষয়টি নিয়ে রহস্যজনকভাবে উদাসীন। ফলে বিচারের বাণী নিভৃতেই কাঁদছে।
যে কারণেই হোক, বিলম্বিত বিচার ন্যায়বিচার অস্বীকারের শামিল। রাশিয়ান কবি ণবামবহু ণবামবহু Yevge Yevgeny Yevthushenko বলেছেন, “Justice is like a train that is nearly always late.’ কিন্তু আমাদের দেশের বিচার প্রক্রিয়া এতটাই মন্থর যে, মামলা চালানোর মোট ব্যয়, বহু ক্ষেত্রে মামলার মোট মূল্যমানকেও অতিক্রম করছে। বছরের পর বছর মামলার বোঝা টানতে গিয়ে মামলার পক্ষরা এক দিকে নিঃস্ব হচ্ছে, অন্যদিকে বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের আস্থা কমতে কমতে এখন তলানিতে এসে ঠেকেছে; যা রাষ্ট্রের স্বাধীন সত্তার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বিচারপতি ওয়ারেন বার্জার ওয়ার্ল্ডনেট এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘সম্ভাব্য ন্যূনতম ব্যয়ে,ন্যূনতম সময়ে ও পক্ষদের ওপর সামান্য চাপ রেখে ন্যায়বিচার সাধন করাই হবে বিচার বিভাগীয় পদ্ধতির কাজ।’ কিন্তু এ ক্ষেত্রে আমাদের অবস্থান ও দুর্বলতা রীতিমতো উদ্বেগের।
আমাদের দেশে শুধু বিচারে দীর্ঘসূত্রতাই নয়, বরং যথাসময়ে অপরাধের তদন্ত না হওয়াও বড় সমস্যা। ফলে এক দিকে বিচারপ্রার্থীরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, আর বিচারহীনতার কারণে অপরাধপ্রবণতাও ক্রমেই বাড়ছে। তাই দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে আমাদেরকে এই অশুভ বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এসে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সবার জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। আর বিচারে ন্যায্যতায় সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো যাতে সন্তুষ্ট থাকে, সে ব্যবস্থা করতে হবে রাষ্ট্রকে। ইলিয়েনোর রুজভেল্টের ভাষায়, ‘ন্যায়বিচার কখনোই এক পক্ষের জন্য হতে পারে না। তখনই এটি ন্যায়বিচার হিসেবে গণ্য হবে; যখন তা সব পক্ষের জন্যই প্রতিষ্ঠা করা হবে।’ এটি খুবই প্রাসঙ্গিক ও যৌক্তিক।
সোর্স : দৈনিক সংগ্রাম