ডিমের দাম আবার বেড়েছে। ডজনে দুই দফা দাম বেড়ে ১২০ টাকা থেকে ১৪৫ টাকা হয়েছে।
গতকাল বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খুচরা দোকানে প্রতি ডজন ১৪৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে ফার্মের লাল ডিম। প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা করে।
গত সপ্তাহে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হয় ১৩৫ টাকায়। এর আগে তা ছিল ১২০ টাকা।
রাজধানীর জোয়ারসাহারা বাজারের মেসার্স ভাই ভাই স্টোরের ব্যবসায়ী মো. নজরুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আবার আগের মতো বাড়ছে ডিমের দাম। এক লাফেই ডজনে ১০ টাকা বেড়ে গেছে। গত সপ্তাহে প্রতি ডজন ডিমের দাম ছিল ১৩৫ টাকা, এখন বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকায়। প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। ’
ডিমের দাম বাড়ার বিষয়ে রাজধানীর রামপুরার বিসমিল্লাহ স্টোরের ব্যবসায়ী ফেরদৌস জামান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘মাসখানেক আগে ডিমের দাম বেড়ে প্রতি ডজন বিক্রি হয়েছিল ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায়। সে সময় ডিমের বিক্রি কমে গিয়েছিল। এতে ডিমের দাম কয়েক দিনের মধ্যে কমে প্রতি ডজন হয় ১২০ থেকে ১২৫ টাকা। এখন আবার ডিমের চাহিদা বাড়ার সুযোগে পাইকারি ডিম ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে। আজ (গতকাল) প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায়। ’
ডিমের দাম বাড়ার কারণ সম্পর্কে রাজধানীর তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী বহুমুখী সমিতির সভাপতি আমান উল্লাহ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘টানা বৃষ্টির কারণে বাজারগুলোতে মাছ ও সবজির সরবরাহ কমে গেছে। এতে ডিমের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দাম কিছুটা বেড়েছে। বৃষ্টি কমে গেলে আবার এই দাম কমে আসবে। ’ বৃষ্টির কারণে ডিমের উৎপাদনও কিছুটা কমেছে বলে তিনি জানান।
এক মাস আগে ডিমের দাম বাড়ানোর অজুহাত ছিল ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি। ডিম উৎপাদনকারী বড় ফার্মগুলো কমিশন এজেন্ট এবং নিলামপ্রক্রিয়ায় নিজেদের নিয়োগ করা এজেন্ট ব্যবহার করেও ডিমের দাম বাড়ানোর ফায়দা লুটেছে। এরপর জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান এবং জনসচেতনতার কারণে ডিমের দাম কমে যায়। চলতি সপ্তাহের শুরু থেকে আবার ডিমের দাম ঊর্ধ্বমুখী।
সোর্স : কালের কন্ঠ