মুহাম্মদ নূরে আলম: আন্তর্জাতিক সবধরনের নিয়মনীতি লঙ্ঘন করে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় একের পর এক আগ্রাসী কর্মকান্ড করে যাচ্ছে মিয়ানমার। সীমান্তের শূন্যরেখা সংলগ্ন এলাকায় মাইন পুঁতে রাখার ঘটনা অত্যন্ত বিপদজনক হলেও তাই করছে দেশটি। আগে এ ধরনের মাইন বিস্ফোরণে রোহিঙ্গারা হতাহত হলেও এখন বাংলাদেশীরা এর শিকার হচ্ছেন। গত শুক্রবার বাংলাদেশী এক যুবকের পা উড়ে যায় এই মাইন বিস্ফোরণে। একইদিন মিয়ানমার থেকে ছোঁড়া গোলায় এক রোহিঙ্গা যুবক নিহত এবং আহত হন ৫ জন। পররাষ্ট্রনীতি ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ‘‘১২ লাখ রোহিঙ্গাকে প্রত্যাবসানের দীর্ঘসূত্রতা বা ঝুলিয়ে রাখা ও আরও নতুন করে ৬ লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে পাঠানোর ফাঁদ হিসেবে সীমান্তে অনবরত এই উসকানি দিচ্ছে’’। মিয়ানমারে অবস্থানরত বাকি ছয় লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়ার পাঁয়তারা করছে দেশটি। আর এ কারণেই হেলিকপ্টার এবং যুদ্ধবিমান দিয়ে বাংলাদেশের আকাশসীমা লঙ্ঘনের পর উসকানিমূলকভাবে মর্টারশেল নিক্ষেপ করছে। এছাড়াও যুদ্ধ পরিস্থিতি ছাড়া সীমান্ত এলাকায় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অবস্থান আন্তর্জাতিক নীতিবিরুদ্ধ হলেও দেশটি তা মানছে না। একইসঙ্গে দেশটির একরোখা আচরণে সীমান্ত এলাকার অধিবাসীদের মধ্যে বাড়ছে উদ্বেগ, আতঙ্ক। এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তমব্রু সীমান্তে গোলাবর্ষণে প্রাণহানির ঘটনায় ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতকে গতকাল রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছে। এর আগেও একই ধরনের ঘটনায় তাকে আরও তিনবার তলব করে কড়া প্রতিবাদ জানায় বাংলাদেশ।
এদিকে নির্যাতনের মুখে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী প্রাণভয়ে পালিয়ে এলেও সম্প্রতি মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে নিজ দেশের স্বাধীনতাকামী বিদ্রোহীদের শক্ত প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয়েছে। আরাকান আর্মির পাশাপাশি কোচিন আর্মি, শান, কারেন, মং, শিন এবং কায়া জনগোষ্ঠীর সঙ্গে মারাত্মক সংঘাত চলছে দেশটির সেনাবাহিনীর। এ অবস্থায় বিদ্রোহীদের ওপর দমন-পীড়ন নিয়ে আন্তর্জাতিক নজরদারি এড়াতে কিছুটা ভিন্ন কৌশল নিয়েছে তারা। এরই অংশ হিসেবে উসকানি দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশ সীমান্তে। মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সাগর এবং স্থল মিলিয়ে ২৭১ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। আর সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের টেকনাফ এবং উখিয়ায় অবস্থান করছে মিয়ানমারের প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিক।
পররাষ্ট্র ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মিয়ানমার বাংলাদেশকে যুদ্ধের পথে উসকানি দিচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। বাংলাদেশকে যুদ্ধের ফাঁদে ফেলতে চায় কীনা তা নিয়েও প্রশ্নও তুলেছেন তারা। একাধিক কারণের মধ্যে দুটি কারণকে সামনে রেখে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রথমত, মিয়ানমারে অবস্থানরত বাকি রোহিঙ্গারা যেন বাংলাদেশে চলে আসতে বাধ্য হয় সে পরিস্থিতি তৈরি করছে। দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশকে যুদ্ধে জড়িয়ে এ দেশে থাকা ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে প্রত্যাবসানের যে আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে তাতে দীর্ঘসূত্রিতা বা ঝুলিয়ে রাখার ফাঁদ হতে পারে। বাংলাদেশ যাতে যুদ্ধে জড়ায় সেজন্য উসকানির অংশ হিসেবে তারা এ ধরণের কর্মকান্ড করছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ঘুমধুম ইউনিয়নের ১২ গ্রামে আতঙ্ক: আর্টিলারি, মর্টারশেল ও গোলার বিকট শব্দে কাঁপছে ৬৪.৭৫ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের ঘুমধুম ইউনিয়ন। সীমান্তবর্তী এই ইউনিয়নে কচুবনিয়া, তমব্রু, দক্ষিণ ঘুমধুম, ফাত্রাঝিরি, বরইতলী পাড়া, বাইশপারী, ভাজবানিয়া, রেজু গর্জনবনিয়া, রেজু বৈদ্যরছড়া, রেজু মগপাড়া, রেজু হেডম্যানপাড়া-এই ১২টি গ্রাম রয়েছে। সর্বশেষ জনশুমারী অনুযায়ী যার জনসংখ্যা ১৬ হাজার ৪৭৯ জন। সম্প্রতি মিয়ানমার থেকে গোলা এসে যেসব স্থানে পড়ছে, তা এই ইউনিয়নেই। এখানকার তমব্রু, বাইশপারী ও হেডম্যান গ্রাম অতিরিক্ত ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এই এলাকায় একটি কলেজ, একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি দাখিল মাদ্রাসা ও ১৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। সীমান্তে সাম্প্রতিক উত্তেজনায় আতঙ্কের মধ্যেই রয়েছে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। তাদের নিয়ে অভিভাবকদের উদ্বেগের সীমা নেই। এদিকে মিয়ামারের সীমা লঙ্ঘনের ঘটনা পুনরাবৃত্তি হওয়ায় ক্রমেই অনিরাপদ হয়ে উঠছে বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়ির বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তবর্তী ঘুমধুম ইউনিয়নের ১২টি গ্রাম। ইতোমধ্যেই তাদের সরিয়ে নেওয়াসহ নিরাপত্তায় করণীয় সংক্রান্তে নির্দেশনা চেয়ে বান্দরবান জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানায় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা ফেরদৌস। বিভাগীয় কমিশনার তা ঢাকায় পাঠাবেন।
এদিকে সীমান্ত এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে বিজিবির সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। টহলও বাড়িয়েছে বিজিবি। সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী লোকজনদের ছাড়া বহিরাগতদের সীমান্ত এলাকায় যাতায়াত করতে দিচ্ছে না বিজিবি। সীমান্ত পরিস্থিতি উত্তপ্তের কারণে কাঁটাতার-সংলগ্ন জমি ও পাহাড়ে কৃষকরাও ভয়ে যেতে পারছেন না। চাষ করা জমিগুলোতে পরিচর্যা করতে পারছেন না কৃষকরা। গত এক মাস ধরে সীমান্ত পরিস্থিতির কারণে সেখানকার কৃষক ও জুমচাষিরা দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন। অপরদিকে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সিল করে দেওয়া হয়েছে ২০০ কিলোমিটার সীমান্ত। সংশ্লিষ্ট সীমান্তে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড- বিজিবির অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েনসহ টহল জোরদার করা হয়েছে। সীমান্তের শূন্যরেখার কাছাকাছি কাউকে যেতে দেয়া হচ্ছে না। বিজিবি সদর দপ্তরের পরিচালক (অপারেশন) লে. কর্ণেল ফয়জুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, বিজিবি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে যেন কোন অনুপ্রবেশ না ঘটে।
এদিকে মিয়ানমারের মর্টার শেলে বাংলাদেশে হতাহতের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল রোববার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) যথেষ্ঠ শক্তিশালী। তারা আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে সজ্জিত রয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের বিজিবি কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ-বিজিপিকে। এখানেই আমরা ক্ষ্যান্ত নই, আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও তাদের কড়া প্রতিবাদ দেয়া হয়েছে। রাষ্ট্রদূতকে তলব করে আমাদের আপত্তির কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপের কথা যদি না শোনে তাহলে আমরা সেখানে (জাতিসংঘে) যাবো। কবে জাতিসংঘকে জানাবেন, জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী এ সিদ্ধান্তটা নেবেন। আমরা শান্তিপ্রিয় জাতি, আমরা কখনো যুদ্ধ চাই না। আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান করতে চায়। প্রয়োজনে জাতিসংঘে যাবে বাংলাদেশ।
এদিকে গতকাল রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে তলব এবং দেশের এজেন্সিগুলোকে নিয়ে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম বলেন, মিয়ানমার সীমান্তে সেনা মোতায়েনের কথা এখনই ভাবছে না সরকার। আপাতত সংশ্লিষ্ট সব এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও কোস্টগার্ডকে সজাগ থাকতে বলা হয়েছে।
এদিকে এখনো সীমান্তে থেমে থেমে গুলীর শব্দ চলার ঘটনায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে ৩০০ পরিবারকে সরিয়ে নেয়ার চিন্তাভাবনা করছে প্রশাসন। সীমান্তের কাঁটাতার বেড়া-সংলগ্ন তুমব্রু, ঘুনধুম, হেডম্যান পাড়া, ফাত্রা ঝিড়ি, রেজু আমতলী এলাকায় বসবাসকারী এসব পরিবারের প্রায় দেড় হাজার লোককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া যায় কিনা তা নিয়ে পর্যালোচনা চলছে। ঘুনধুম ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ এসর তথ্য জানান। তিনি জানান, রোববার প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ে বৈঠকের পর এমন চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। বৈঠকে জানানো হয়, ঘুমধুম ইউনিয়নে কোনো আশ্রয়কেন্দ্র না থাকায় পরিবারগুলোকে সরিয়ে নেয়ার বিষয়টি কঠিন হয়ে যাবে। এছাড়া স্কুলগুলোতেও থাকার কোনো পরিবেশ নেই। এ পর্যায়ে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক শেষ হয়।
তুমব্রু জিরো লাইনে থাকা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝি (সরদার) দিল মোহাম্মদ জানান, গত শুক্রবার রাতে গোলার আঘাতে ক্যাম্পের এক রোহিঙ্গা যুবক নিহত হওয়ার পর সেখানে থাকা পরিবারগুলো এখন আতঙ্ক উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছে। নতুন করে আবার আক্রমণের শিকার হতে পারে এ আতঙ্কে রাতের বেলা অনেকেই নিরাপদ জায়গায় সরে থাকে। তবে শুক্রবারের ঘটনার পর থেকে এখন পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
মিয়ানমারের এই কর্মকান্ডে উদ্বেগ প্রকাশ করে নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশিদ গণমাধ্যমকে বলেন, যুদ্ধে জড়ানোর চেয়ে কূটনৈতিক চ্যানেলে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে হবে বাংলাদেশকে। মিয়ানমারের উস্কানির ফাঁদে পা না দিয়ে যেভাবে ধৈর্য্য ধরে বাংলাদেশ পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে, সেই পথেই হাঁটতে হবে বাংলাদেশকে।
এসব উস্কানি মিয়ানমারের ফাঁদ কি না-সে বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ট্র্যাপ (ফাঁদ) হতে পারে। পেছনে ভিন্ন উদ্দেশ্য থাকতে পারে। কেননা, জীবন হুমকিতে পড়লে তো রোহিঙ্গারা পালাবেই। আর পালালে তারা বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করবে। মিয়ামারের উদ্দেশ্য কী তা পরিষ্কার হতে আন্তর্জাতিক ফোরামে এ বিষয় নিয়ে বাংলাদেশকে কথা বলতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে যে রোহিঙ্গরা রয়েছে তাদের প্রত্যাবসান প্রক্রিয়া বিলম্বিত করতে বা ঝুলিয়ে রাখতে যুদ্ধের উস্কানি দিয়ে থাকতে পারে মিয়ানমার।
সীমান্তে মিয়ানমারের মাইন পুঁতে রাখাকে চূড়ান্তভাবে আন্তর্জাতিক নিয়ম লঙ্ঘন বলে মনে করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলাম। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, বারবার আমাদের সীমান্ত, আকাশসীমা লঙ্ঘণ করছে মিয়ানমার। এগুলো হচ্ছে মিয়ানমারের ধৃষ্টতা। তারা আন্তর্জাতিক নিয়মনীতি লঙ্ঘন করে পার পেয়ে যায়। তাই বারবার করে যাচ্ছে। অতীতে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়নি বলে তারা এই ধৃষ্টতা দেখাচ্ছে।
এদিকে রাখাইন রাজ্যের ওয়ালিডং পাহাড়ের পাদদেশে শূন্যরেখায় রোহিঙ্গাদের আশ্রয়শিবির। সেখানে পাঁচ বছর ধরে বাস করছেন ৪ হাজার ২০০ জনের বেশি রোহিঙ্গা। আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটি (আইসিআরসি) শিবিরের রোহিঙ্গাদের খাবার ও ত্রাণসহায়তা দিয়ে আসছে। ওই ক্যাম্পেই গত শুক্রবার মিয়ানমারের গোলা এসে পড়লে ইকবাল নামের এক রোহিঙ্গা যুবক নিহত এবং আরও ৫ জন আহত হন। প্রসঙ্গত, গত ১৩ আগস্ট থেকে তমব্রু সীমান্তের বিপরীতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ওয়ালিডং ও খ্য মং সেক পাহাড়ে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে স্বাধীনতাকামী সশস্ত্রগোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) যুদ্ধ চলছে। স্থল ও জলসীমায় তৎপরতা বাড়িয়েছে মিয়ানমার। তিন দিন ধরে সেন্ট মার্টিনের বিপরীতে (পূর্ব দিকে) মিয়ানমার জলসীমায় দেশটির তিনটি নৌবাহিনীর জাহাজ তৎপরতা শুরু করেছে। তবে সেখানে তৎপর আছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডও।
সোর্স : দৈনিক সংগ্রাম