সুন্দরবনের বাঘ, বানর, হরিণ ও কুমির (বাবাহকু) পর্ষদের উচ্চকক্ষ ‘বন বাদাড়ের’ জরুরি বৈঠক আহ্বান করেছেন প্রেসিডিয়াম প্রধান সুন্দর মিয়া। পর্ষদ সদস্যদের পাঠানো জরুরি নোটিশে সভার কোনো আলোচ্যসূচি উল্লেখ করা হয়নি। গণগুরুত্বপূর্ণ অতি জরুরি, আন্তঃখাতির ও সংঘর্ষ জাতীয় গোপনীয় ও স্পর্শকাতর কোনো বিষয় নিয়ে বৈঠক হলে এ ধরনের নির্দেশনাপত্র জারি করা হয়। কটকায় সংবাদমাধ্যমকে প্রচার পর্ষদ থেকে গত কয়েক দিন নিয়মিত ব্রিফিং বন্ধ। এটিও কিছুটা অস্বাভাবিক মনে হলেও বছরের এ সময়টাতে সংবাদকর্মীরা, মনোযোগ অন্য দিকে ঘোরানোর মতলবে ছাড়া, তেমন কোনো স্পর্শকাতর খবর প্রত্যাশা করেন না। লোকমুখে শুনে যার যা মনে চায় সেভাবে তৈরি হচ্ছে সংবাদ। আরো একটা ব্যাপার বিশেষভাবে লক্ষ করা গেছে গত কয়েক দিন সংবাদ পরিবেশনের ব্যাপারে খবরদারি তেমন নেই। এসব থেকে বোঝা যায়, গেল কয়েকটা দিন ধরে বেশ বেচাইন অবস্থায় আছেন সবাই, অস্বাভাবিক আছেন বাবাহকুর তারাও, যারা নিজেদের অত্যন্ত স্বাভাবিক ভাবার ভান করেন। ২০০৭ সালে সিডর এবং ২০০৯ সালে আইলায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুন্দরবনের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবং পরিস্থিতি উন্নয়নে কার্যকর তেমন কোনো পদক্ষেপ গৃহীত না হওয়ার প্রেক্ষাপটে খোদ সুন্দরবনের সমুদয় প্রাণিকুল বাবাহকু নামে একটি ফেডারেশন গঠন করে নিজেদের আত্মমর্যাদা প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে। করোনা-উত্তর ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না উঠতে চার দিক থেকে ভেসে আসছে আসন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা। ইদানীং প্রায় প্রতিটি পূর্ণিমার জোয়ারের সময় সুন্দরবনের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া নদ-নদীগুলো এমনভাবে ফুলে ফেঁপে উঠছে যা আগে সচরাচর দেখা যেত না। সুন্দর মিয়া গতকাল একটি বনেদি বার্তা সংস্থাকে দেয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে বলেছেন, যেকোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জন্য যেন প্রকৃতি দায়ী। যেমন কারো হাত থেকে কিছু পড়ে গেলে যেন সেই জিনিসটি দায়ী। যার অসাবধানতায় অপারগতায় অমনোযোগিতায় অদেখভালে জিনিসটা পড়ে গেল সে বা তিনি বা যারা যেন দায়ী নন। এক পণ্ডিত ব্যক্তি একবার আপেল আকাশের দিকে না উঠে নিচে কেন পড়ল এটা ভাবতে ভাবতে তার মাথার চুল পাকিয়ে বের করলেন এমন একটা আকর্ষণ শক্তি আছে যেটির জন্য এমনটি হয়ে থাকে।
সুতরাং সম্প্রতি সুন্দরবনের উপকণ্ঠে কয়লা বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্বোধন করা হয়েছে- এ সংবাদ বাবাহকুর কাছে আত্মঘাতের সেরা নজির হিসেবে দেখা দিয়েছে। যারা কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র বসিয়েছেন আমাদের নাকের ডগায় এবং এর জন্য সুন্দরবনের যে ক্ষতি হবে তাতে ভবিষ্যতে যে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়বে তখন তো কাউকে সরাসরি দায়ী করতে পাওয়া যাবে না। এখন শুধু উদ্বেগ প্রকাশ চলে কিন্তু দায়দায়িত্ব নির্ধারণের বেহুদা কর্মে যাওয়ার যুক্তি ও সুযোগ নেই। বর্তমানে বলা হচ্ছে ‘ভবিষ্যতে সতর্কতা অবলম্বন করা হবে’। এভাবে ভবিষ্যৎ করতে করতে বর্তমান যে ভূত হয়ে যাচ্ছে, ভর্তা হয়ে যাচ্ছে, সর্বনাশ হয়ে যাচ্ছে তার কী হবে- এমন ধরনের একটি সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে সুন্দর মিয়া অবশ্য স্বীকার করলেন যে, বর্তমানের দোষ অতীতের ওপর এবং ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর সতর্কতা অবলম্বনের অবকাশ ভবিষ্যতের ওপর চালান করে দেয়ার কূটকৌশল থেকে সবার সরে আসা উচিত। না হলে বর্তমান বারবার বেকায়দায় পড়লে ভবিষ্যৎ নড়বড়ে হতে বাধ্য। সুন্দর মিয়া পক্বকেশ দার্শনিকের মতো আরো অভিমত রাখেন, অতীতকে বারবার টেনে এনে অতীতের ‘অতি ভালো’ এবং ‘অতি মন্দ’ উভয়কে বর্তমানের সব কর্মকাণ্ডের দোসর সাজানো বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। অতীতে অনেকে ভালো কিছু স্বপ্ন দেখেছিলেন বলে আজকের ভালো বর্তমান, কিন্তু আজকের বর্তমানে কি এমন করা হচ্ছে যা ভবিষ্যতে উজ্জ্বল অতীতে পরিণত হতে পারে? বর্তমানকে ভবিষ্যতের সোপান তৈরি করতে হবে। সে দিকে সবার নজর দেয়া উচিত। ভালো অতীত বর্তমানের প্রেরণা হতে পারে, মন্দ অতীত বর্তমানকে আরো মন্দ করার যুক্তি হিসেবে আসতে পারে না। ভবিষ্যৎ ‘আরো অনেক রাত বাকি’র খাতায় পড়ে যাচ্ছে কি না তা দেখা দরকার। বাবাহকুর কাছে ইতিহাসের সে ধরনের একটি পর্যায়ের প্রসঙ্গ টেনে এনে সুন্দর মিয়া আরো বলেন, আমাদের এখানে এমন একসময় ছিল যখন পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ও দোষারোপে অপ্রাসঙ্গিক বিষয় টেনে এনে প্রাসঙ্গিকতাকে পাশ কাটানো একটা নিত্য স্বভাবে পরিণত হয়েছিল। তখন সব পশুপাখি নিচয়কে নীরব দর্শক, অথর্ব শ্রোতা ও অনুগত অনুসারী ভাবা হতো। তখন অসংখ্য নকলের ভিড়ে, জালিয়াতের জেল্লাতিতে ‘প্রকৃত’দের টিকে থাকা কঠিন থেকে কঠিন হচ্ছিল। বর্ণচোরাদের ভিড়ে অহিফেন সেবীদের মতো চোখ মেলে তাকাতেও কষ্ট হতো ভোল পাল্টানোদের শনাক্ত করতে। সুন্দর মিয়া সেসব দিনের পরিণতির যথা পর্যন্ত না গিয়ে বিজ্ঞ ও বিচক্ষণতার সাথে তার সাক্ষাৎকার শেষ করেন।
সম্প্রতি সুন্দর মিয়ার এক পিচ্চি বংশধরকে লোকালয়ে পিটিয়ে মারা হয়েছে এ মর্মে একটা প্রতিবেদন গতকাল বিশেষ বিভাগের পক্ষ থেকে জমা দেয়া হয়েছে সুন্দর মিয়ার কচিখালি দফতরে। বর্ষা বাদলের মরাকটালের দিন যাপনে সুন্দর মিয়া এখন কচিখালিতে অবস্থান করেন। সুন্দর মিয়া প্রতিবেদনটি দেখে অতিশয় আহত বোধ করেছেন এমন মন্তব্য রেখেছেন বাবাহকুর কেন্দ্রীয় মুখপত্র ও উপদেষ্টা ইসফাহি ইসফাহনীয়া। এ ব্যাপারে একটি কড়া প্রতিবাদপত্র আজ কচিখালিতে লোকালয়ের প্রতিনিধি প্রতুল প্রতাদানায়াকে ডেকে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রতিবাদপত্রে বলা হয়েছে, সকলের সমমর্যাদা প্রদানকে দাবি হিসেবে নয় অধিকার হিসেবে দেখা হবে বাবাহকু এটা মনে করে। পর্ষদ এটাও মনে করে নিয়মকানুন অবস্থা ব্যবস্থা একজনের বেলায় একরকম আরেকজনের বেলায় আরেক রকম এটা বাঞ্ছনীয় মনে হয় না।
সেবার শ্যেলা নদীতে ডুবন্ত ট্যাংকার থেকে তেল নিঃসরণে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল সে কথা স্মরণ করেন কথ্য ও প্রচার প্রধান হরিণা হাফান। এ কেমন তেলেসমাতি, সব তেলময়, তেল ভাসছে, তেল তুলতে গিয়ে তৈলাক্ত হচ্ছে সবাই। একটা পাখি, সুন্দর পাখি সে ঝিমাচ্ছে তার শ্বাস কষ্ট হচ্ছে তার পায়েও তেল। মৎস্যকুলের নির্বাচিত প্রতিনিধি, উচ্চকক্ষের সদস্য, পাঙ্গাশিয় তেলাভিয়া সে সময় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েিেছলেন ‘অনেকে মনে করছেন আমার সম্প্রদায়ের সবাইকে পরবাসে পাঠানোর জন্য এমন ষড়যন্ত্রের জাল পাতানো হয়েছে। তবে আবার এ শ্যেলা সন্ধ্যা কচার তীরে তারা ফিরবে সহসাই।’ সাহেব খালি থেকে উবিসস (উড়ো, বিভ্রান্ত, সংশয় সন্দেহ) পরিবেশিত এক বেতার বার্তায় বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে ইরাবতী ও গাঙ্গেয় ডলফিন গোষ্ঠীর কেউ কেউ মারা গিয়েছেন। এটা খুব দুঃখজনক ডলফিন যেন আমাদের বাবাহকুর সংসারে বিদেশী বিনিয়োগ। ডলফিন মহোদয়গণ বনেদি বর্গের ও বর্ণের প্রজাতি। ডলফিন সম্প্রদায়ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বা হচ্ছেন জেনে বাবাহকুর অতিথি সমাদর সংঘের পক্ষ থেকে দুঃখ ও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। তারা বলেছেন, আমাদের এখানে ডলফিনের স্বজাতি শুশুকরা আছেন প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে। আছেন কামট ও তাদের জ্ঞাতিগোষ্ঠীর কেউ যাদের বিরুদ্ধে আছে আক্রমণের আঘাতের ক্ষতিগ্রস্ত করার স্বভাব। এখানকার ডলফিনদের জ্যেষ্ঠ মর্যাদাদানের চেষ্টায় প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।’
কিছুক্ষণ আগে উবিসস নিউজ ফুটেজে জানিয়েছে, বাবাহকুর উচ্চকক্ষে আলোচনা হবে স্যাটেলাইটে সুন্দরবনের বাঘের সাম্প্রতিক শুমার নিয়ে, সেখানে সুন্দরবনের বাঘের আকার আকৃতি ছোট এমন আবমাননাকর মন্তব্য রয়েছে। মাত্র গেল সপ্তায় মহামান্যা রানী মা মারা গিয়েছেন। এমন সময় রানীমার গৌরবধন্য রাজকীয় উপাধি প্রাপ্ত ‘রয়াল বেঙ্গল টাইগার’দের সম্পর্কে এমন নেতিবাচক মন্তব্য বড় বেদনাদায়ক। সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যের সার্বিক অবস্থা ব্যবস্থার হাল হকিকত নিয়ে বাবাহকুর অনুসন্ধান পর্ষদ ইতোমধ্যে দু’টি বিশেষ প্রতিবেদন দাখিল করেছে সুন্দর মিয়ার দফতরে। সুন্দর মিয়া তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিবেদন দু’টি পাঠিয়েছেন উভয় কক্ষের প্রধান সঞ্চালক শিয়ালেন্দু মামাইয়ার কাছে। মামাইয়ার দফতরের মুখপাত্র অনুঘাদান বাঘাইয়া এর বেশি কিছু বলতে চাননি। তিনি সংবাদ সভায় এ বলে সমাপ্তি টেনেছেন যে, বৈঠকে তুমুল বিতর্ক আশা করছেন তিনি।
সুন্দরবনের বাবাহকু পর্ষদের নীতিনির্ধারক পঞ্চায়েত গত পরশু এক বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে- যেভাবে সেভাবে হোক সুন্দরবনের সৌন্দর্য ও এর উৎকর্ষকতা, কার্যকারিতা, যোগ্যতা, দক্ষতা হ্রাসের ব্যবস্থা হচ্ছে। ইচ্ছাকৃত অনিচ্ছাকৃতভাবে হোক, একে অন্যের দোষারোপের মাধ্যমে নিজের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে পরের স্বার্থ দেখভালের মতো আত্মঘাতী প্রবণতায় এসব ঘটেছে। কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদ্যুৎ ব্যবহৃত হবে লোকালয়ের বিদ্যুৎ চাহিদা মেটানোর কাজে কিন্তু সেটি এ গহিন গরান বনের বুকে কেন- কেন এ নিরীহ বৃক্ষ ও প্রাণিসম্পদের ভবিষ্যৎ বিপন্ন করতে সেটা বোঝা যায় না। ওপারের বনের আশপাশে বিদ্যুৎকেন্দ্র বানানো যায়নি অথচ এখানে দিব্যি। যারা এখন বড় বড় যুক্তি দেখাচ্ছেন এ বিদ্যুৎকেন্দ্রে অতি আধুনিক সব ব্যবস্থা থাকবে বনের ও প্রাণিকুলের কোনো ক্ষতি হবে না- তখন মনে হয় কত বিজ্ঞ ও সচেতন তারা সুন্দরবনের ব্যাপারে।
আসলে দিনে দিনে ধুঁকে ধুঁকে এ বন মরতে থাকবে তখন এই বিজ্ঞ মহাজনদের কোথায় খুঁজে পাওয়া যাবে? তারা তখন হয় সমাধিতে না হয় কোনো দ্বিতীয় আবাসে। বিবৃতিতে আরো স্পষ্ট করা হয়, সুন্দরবন পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বড় একটি এলাকা যেখানে সাগরের লোনা পানি সহ্য ক্ষমতা সম্পন্ন গাছপালার বন আছে। এর বর্তমান মোট এলাকা ১০ হাজার বর্গকিলোমিটার, যার মধ্যে ৬০ শতাংশ এলাকা এপারে ও ৪০ ভাগ এলাকা ওপারে। প্রায় ২০০ বছর আগে এপারে এ বনের বিস্তার ছিল ১৬ হাজার ৭০০ বর্গকিলোমিটার, বর্তমানে তা কমে ১-৩ ভাগ হয়ে গেছে। বতর্মানে এর স্থলভূমি মোট চার হাজার ২০০ বর্গকিলোমিটার এবং নদী, খাল ও খাঁড়ি নিয়ে জলভূমি মোট এক হাজার ৮৭৪ বর্গকিলোমিটার। লাখ লাখ বছর আগে থেকে উজান থেকে আসা পলির পতন এবং তার ওপর মোহনার গাছপালার পরিবৃদ্ধির মাধ্যমে এ বন সৃষ্টি হয়েছে। এর ভূমি গড় সমুদ্রতল থেকে ০.৯ মিটার থেকে ২.১১ মিটার পর্যন্ত উঁচু। বিচিত্র পাখি, ডাঙ্গার প্রাণী, মাছ ও অন্যান্য জীবের আবাসস্থল এবং বিশেষ জাতের গাছপালার জন্য সর্বপ্রথম সুন্দরবনকে ‘সংরক্ষিত বন’, ১৯৭৭ সালে সমুদ্র তীরবর্তী তিনটি এলাকা নিয়ে মোট ৩২৪ বর্গকিলোমিটারের ‘বন্যপ্রাণী অভয়াশ্রম’ ঘোষণা এবং ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটসের তালিকাভুক্ত করা হয়।
সুন্দরবনের ভেতরে ৩৩৪ প্রজাতির গাছপালা ও লতাগুল্ম আছে এবং আছে ২৬৯ প্রজাতির জীবপ্রজাতির বাস। সুন্দর মিয়ার বংশধর বিশ্ব বিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার এখানে বসবাস করেন। মেছো বিড়াল, ভোদড়, চিত্রা হরিণ, কুমির, গুইসাপ, অজগর, সবুজ কাছিম ইত্যাদিরও আবাসস্থল। সুন্দরী, গেওয়া, কেওড়া, বায়েন, ধুন্দুল, পশুর এখানকার মূল্যবান কাঠজাতীয় গাছ ছাড়াও গোলপাতা, মধু, মাছ, কাঁকড়া ইত্যাদি অর্থকরী ফসল হিসেবে এখান থেকে সংগৃহীত হয়। সম্প্রতি ভয়ানক পরিবেশ বিপর্যয়কারী তেল এখন প্রায় ১০০ কিলোমিটার ছড়িয়ে পড়ে জলজ প্রাণী তো বটেই, ডাঙ্গার প্রাণী ও গাছপালার কী পরিমাণ ক্ষতি করছে বা করবে তা হিসাব করে সারা যাবে না।
লেখক : কলাম লেখক, বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের কৃষি অর্থনীতির গবেষক
mazid.muhammad@gmail.com
সোর্স : নয়া দিগন্ত