বছরের মাঝামাঝি সময়ে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ অনেকটা কম ছিল। আগস্টের শেষ সপ্তাহ থেকে দৈনিক শনাক্তের হার আবার বাড়তে শুরু করেছে। গত কয়েক দিন শনাক্তের হার ৯ থেকে ১০ শতাংশের ঘরে থাকলেও গতকাল রবিবার সেটি এক লাফে ১২ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে।
স্বাস্থ্য অধিপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৫২৭ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২.৭২ শতাংশ। গত সাত সপ্তাহের মধ্যে এক দিনে এটি সর্বোচ্চ শনাক্ত। এর আগে সর্বশেষ গত ২৮ জুলাই এর চেয়ে বেশি ৬১৮ রোগী শনাক্ত হয়েছিল। আর সর্বশেষ দৈনিক শনাক্তের হার এর চেয়ে বেশি ১৩.৭০ শতাংশ ছিল ১৬ জুলাই।
পাঁচ সুপারিশ কারিগরি কমিটির
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ফের বাড়তে থাকায় পাঁচটি সুপারিশ করেছে কভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। এর মধ্যে রয়েছে আবদ্ধ স্থানে সভা না করা, দাপ্তরিক সভাগুলো যথাসম্ভব অনলাইনে করার পাশাপাশি অপরিহার্য সামাজিক অনুষ্ঠানসহ সব ক্ষেত্রে মাস্ক পরা, করোনার টিকার প্রথম, দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ যাঁরা নেননি, তাঁদের টিকা নিতে উদ্বুদ্ধ করা, বেসরকারি পর্যায়ে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ব্যয় কমানোর পদক্ষেপ নেওয়া।
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বিশ্বে এখনো প্রতিদিন পাঁচ থেকে সাত লাখ নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছে। এক হাজারের বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে। কিন্তু মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানতে চাইছে না। অনেকে মনে করছে, আমি দুই ডোজ-তিন ডোজ টিকা নিয়েছি, আমাকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে না। তবে টিকা সংক্রমণ রোধ করে না, জটিলতা কমায়, মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়। সংক্রমণ রোধ করতে চাইলে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। ’
কভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য ও ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, জিনোম সিকোয়েন্সিং না করে বোঝার উপায় নেই নতুন কোনো ধরনের কারণে সংক্রমণ বাড়ছে কি না। তবে সারা পৃথিবীতে এখন বিএ.ফাইভ ধরন দ্বারা সংক্রমণ হচ্ছে। তিনি বলেন, মানুষ এখন আক্রান্ত হলেও হাসপাতালে পরীক্ষা করাতে আসে না। এলে হয়তো শনাক্ত অনেক বেশি হতো।
সোর্স : কালের কন্ঠ