নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ৬১ জেলায় চেয়ারম্যান পদে ১৬২ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। সাধারণ সদস্য পদে ১ হাজার ৯৮৩ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান ৭১৫ জন।
জেলা পরিষদে সংশ্লিষ্ট জেলার মোট উপজেলার সমসংখ্যক সাধারণ সদস্য থাকেন। চেয়ারম্যানসহ সদস্যসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ (নিকটবর্তী পূর্ণ সংখ্যায়) নারী সদস্য নিয়ে পরিষদ গঠিত হয়। এ নির্বাচনে সাধারণ ভোটাররা ভোট দেন না। উপজেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা এখানে ভোটার।
মনোনয়নপত্র বাছাই ১৮ সেপ্টেম্বর এবং মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ সেপ্টেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২৬ সেপ্টেম্বর।
চেয়ারম্যান পদে একজন করে মনোনয়নপত্র দাখিল করা জেলাগুলো হলো গোপালগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ঝালকাঠি, টাঙ্গাইল, ঠাকুরগাঁও, নওগাঁ, নারায়ণগঞ্জ, ফেনী, বরগুনা, বাগেরহাট, ভোলা, মাদারীপুর, মুন্সিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, লক্ষ্মীপুর, লালমনিরহাট, শরীয়তপুর, সিরাজগঞ্জ ও সিলেট।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই ১৮ সেপ্টেম্বর এবং মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ সেপ্টেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২৬ সেপ্টেম্বর। ভোট গ্রহণ হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকেরা এ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন।
নিশ্চিত জয় জেনেই আ. লীগ নেতাদের এত আগ্রহ
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, জেলা পরিষদে সাধারণ ভোটাররা ভোট দেন না। স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই এখানে ভোটার। স্থানীয় সরকারব্যবস্থায় একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের। ফলে জেলা পরিষদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া মানেই জয় একরকম নিশ্চিত।
তফসিল ঘোষণার পর ৬১টি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রায় ৫০০ জন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে আবেদন করেন। ১০ সেপ্টেম্বর রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের যৌথ সভায় ৬০টি জেলা পরিষদে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়।
তিন পার্বত্য জেলা বাদে দেশের বাকি ৬১টি জেলা পরিষদের মেয়াদ গত ১৭ এপ্রিলে শেষ হয়। এরপর ২৭ এপ্রিল বিদায়ী চেয়ারম্যানদের নিজ নিজ জেলার পরিষদের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
সোর্স : প্রথম আলো