এসব ঘটনা গুম-খুনের সঙ্গে সম্পর্কিত : এইচআরপিবি
আন্তর্জাতিক মহলে ভিন্ন বার্তা দেবে : আশঙ্কা বিশ্লেষকদের
৫৪ ধারায় গ্রেফতার করা যাবে না। কাউকে গ্রেফতার করতে হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ইউনিফর্ম থাকতে হবে। গ্রেফতারকালে পুলিশ পরিচয়পত্র দেখাতে বাধ্য থাকবে। এমন ৮টি নির্দেশনা দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্ট। অর্ধযুগ আগের এই নির্দেশনার থোড়াই তোয়াক্কা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। দেশজুড়ে আবারও শুরু হয়েছে ‘সন্দেহভাজন’ হিসেবে আটক। ৫৪ ধারায় গ্রেফতার। গেল এক সপ্তায় সাদা পোশাকে ‘তুলে নেয়া’র একাধিক ঘটনা মানুষকে নতুন করে ভীতিকর অবস্থায় নিপতিত করেছে। দেশি ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো এসব ঘটনায় উদ্বেগের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে। জাতিসংঘ মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাসেলের বাংলাদেশ ঘুরে যাওয়ার পরপরই এসব ‘তুলে নেয়া’র ঘটনা আন্তর্জাতিক মহলকে ভিন্ন বার্তা দেবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এ ছাড়া আগামী ২০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই অধিবেশনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এই তৎরপরতা বাংলাদেশকে নতুন প্রশ্নের মুখে ফেলবে বলেও আশঙ্কা করছেন তারা।
এক সপ্তায় চার ঘটনা : ঘটনাগুলো গত এক সপ্তাহের। গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেট কুলাউড়া উপজেলার রাউতগাঁও ইউনিয়নের চৌধুরী বাজার থেকে গ্রেফতার করা হয় ৫ বার নির্বাচিত ইউপি মেম্বার আব্দুল মুক্তাদির মনুকে। ভাটুৎগ্রামের মরহুম নছর মিয়ার পুত্র মনু উপজেলা বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদকও। বড় ভাই সাংবাদিক আব্দুর রব ভুট্টো একযুগের বেশি সপরিবারে যুক্তরাজ্য প্রবাসী। ঘটনার দিন গভীর রাতে মনুকে সাদা পোশাকধারীরা বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায়। পরে তাকে কুলাউড়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। কুলাউড়া পুলিশ তখন জানায়, মনুর বড় ভাই আব্দুর রব ভুট্টো সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাÐে লিপ্ত। এর সঙ্গে আব্দুল মুক্তাদিরের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কি না খতিয়ে দেখতেই তাকে আটক করা হয়েছে। পরদিন সকালে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখানো হয়। পরে কুলাউড়া থানার সাব-ইন্সপেক্টর অপু কুমার দাশগুপ্ত তাকে আদালতে তোলেন। মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৫ তাকে কারাগারে পাঠান। গত ১১ সেপ্টেম্বর তাকে ২০২১ সালের ২৫ ডিসেম্বর বড়লেখা থানায় করা একটি মামলায় (নং-১১, জিআর-১৯৭/২০২১) গ্রেফতার দেখানো হয়। পুরনো মামলায় গ্রেফতার মনু এখনও জামিন পাননি। আব্দুল মুক্তাদির মনুর স্ত্রী নিগার সুলতানা বলেন, ভাসুর আব্দুর রব ভুট্টোর সঙ্গে আমাদের পরিবারের কারোরই কোনো যোগাযোগ নেই। একযুগেরও বেশি সময় ধরে তিনি লন্ডনে বসবাস করছেন।
১১ সেপ্টেম্বর রাত। ঢাকার রামপুরা বাসা থেকে সিআইডি পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় ডা: শাকির বিন ওয়ালীকে। তার ‘সহযোগী’ হিসেবে তুলে নেয়া হয় আবরারুল হক ভিলাকে। পরে তাদের জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে গ্রেফতার দেখানো হয়। ১৪ সেপ্টেম্বর শাকির বিন ওয়ালীকে সিএমএম আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড চায় কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও সিটিটিসির প্রধান মো: আসাদুজ্জামান জানান, গ্রেফতারকৃত শাকির বিন ওয়ালী ডাক্তার হলেও তিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্য। কুমিল্লার নিখোঁজ ৭ শিক্ষার্থীর সঙ্গে ডা: শাকিরের যোগাযোগের তথ্য পাওয়া গেছে। শাকিরের প্ররোচনায় উদ্বুদ্ধ হয়েই ওই ৭ জন আনসার আল ইসলামে যোগ দেন। শাকিরের সঙ্গে আবরারুল হক নামে আরো একজনকে গ্রেফতার করা হয়। দু’জনই এখন রিমান্ডে। ওই দিন বিকেলেই ডা: শাকিরের বাবা চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা: এ কে এম ওয়ালীউল্লাহ সংবাদ সম্মেলন করে জানান, ডা: শাকিরের বিরুদ্ধে পুলিশ যে অভিযোগ এনেছে তা ভিত্তিহীন। তার ছেলের সঙ্গে আনসার আল ইসলামের সম্পর্কও নেই। এটি হাস্যকর অভিযোগ। তিনি বলেন, আমরা এখন বুঝতে পারি এভাবে যাদের উঠিয়ে নেয়া হয়, তাদের বিরুদ্ধে কি ধরনের হাস্যকর অভিযোগ সাজানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে শাকিরের স্ত্রী ও তাদের দুই শিশু সন্তানও উপস্থিত ছিলেন। ডা: ওয়ালীউল্লাহ এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী ও দেশবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি বলেন, শাকিরকে আইনবহির্ভূতভাবে বাসা থেকে উঠিয়ে নিয়ে ৪ দিন যাবত প্রকাশ্যে না এনে অবৈধ কাজকে আড়াল করতে মিথ্যা অভিযোগ সাজানো হচ্ছে কি না তা আমি জানি না। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে এই চিকিৎসক বলেন, দেশ-বিদেশে যখন নিরাপত্তা বাহিনীর কার্যক্রমে প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে সেই অবস্থায় আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর ইমেজ নষ্ট করার জন্য কোনো কুচক্রী মহল এ ধরনের তৎপরতায় লিপ্ত হচ্ছে কি না। অথবা এসব করে দেশের মানুষের বিরুদ্ধে আতঙ্ক সৃষ্টি চেষ্টা হচ্ছে কি না। তিনি দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষকে বিকৃতভাবে চিত্রিত করে সরকারের প্রতি ধর্মপ্রাণ মানুষকে ক্ষেপিয়ে তোলা হচ্ছে কি নাÑ এ বিষয়টি খতিয়ে দেখার আহŸান জানান। ওয়ালীউল্লাহ বলেন, কুমিল্লায় নিখোঁজ ছেলেদের সঙ্গে ডাক্তার শাকিরের কোনো সম্পর্ক নেই। শাকির তাদের চেনেই না। কীভাবে তদের প্রশিক্ষণ দেবে? সামনে শাকিরের এফসিপিএস পরীক্ষা। বাসায় বসে সে প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
১৪ সেপ্টেম্বর ভোররাতে দক্ষিণ সুরমা থানার মোল্লাগাঁওয়ের বাসা থেকে তুলে নেয়া হয় সিলেট যুবদল সেক্রেটারি মকসুদ আহমদকে। পরিবারের সদস্যরা জানান, ২০-২৫ জন সাদা পোশাকধারী বাড়ির গেট ভেঙে তাকে তুলে নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি কোথায়, কার হেফাজতে রয়েছেনÑ জানতে পারেনি তার পরিবার। মকসুদ আহমদের গাড়িচালক মোহাম্মদ পলাশ বলেন, ভোর সাড়ে ৩টার দিকে সাদা পোশাকধারীরা বাসা ঘেরাও করে। প্রথমে ফটক খোলার চেষ্টা করে। পরে ঘরের পেছনের গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। ভোর সোয়া ৪টার দিকে মকসুদ আহমদকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঘটনার পর দক্ষিণ সুরমা থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুল হাসান তালুকদার বলেন, যুবদল নেতা মকসুদের বিরুদ্ধে এই থানায় কোনো মামলা নেই। হয়তো অন্য কোনো থানায় মামলা থাকতে পারে। সুরমা থানা পুলিশ তাকে তুলে আনেনি। এ বিষয়ে থানায় কোনো সাধারণ ডায়েরিও করা হয়নি।
উপেক্ষিত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা : সাদা পোশাকে তুলে নেয়া, ৫৪ ধারায় গ্রেফতার এবং রিমান্ডে নেয়ার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা রয়েছে। হাইকোর্টের দেয়া নির্দেশনা বহাল রেখে ২০১৬ সালের ২৪ মে সুপ্রিম কোর্ট একটি রায় দেন। তাতে সুস্পষ্ট ৮টি নির্দেশনা রয়েছে। এগুলো হচ্ছেÑ ১. আটকাদেশ (ডিটেনশন) দেয়ার জন্য পুলিশ কাউকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করতে পারবে না। ২. কাউকে গ্রেফতার করার সময় পুলিশ তার পরিচয়পত্র দেখাতে বাধ্য থাকবে। ৩. গ্রেফতারের তিন ঘণ্টার মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে কারণ জানাতে হবে। ৪. বাসা বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য স্থান থেকে গ্রেফতার ব্যক্তির নিকটআত্মীয়কে এক ঘণ্টার মধ্যে টেলিফোন বা বিশেষ বার্তাবাহকের মাধ্যমে বিষয়টি জানাতে হবে। ৫. গ্রেফতার ব্যক্তিকে তার পছন্দ অনুযায়ী আইনজীবী ও আত্মীয়দের সঙ্গে পরামর্শ করতে দিতে হবে। ৬. গ্রেফতার ব্যক্তিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন হলে ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি নিয়ে কারাগারের ভেতরে কাচের তৈরি বিশেষ কক্ষে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। ওই কক্ষের বাইরে তার আইনজীবী ও নিকটআত্মীয় থাকতে পারবেন। ৭. জিজ্ঞাসাবাদের আগে-পরে ওই ব্যক্তির ডাক্তারি পরীক্ষা করাতে হবে। ৮. পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ উঠলে ম্যাজিস্ট্রেট সঙ্গে সঙ্গে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করবে। বোর্ড যদি বলে ওই ব্যক্তির ওপর নির্যাতন করা হয়েছে তাহলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ম্যাজিস্ট্রেট ব্যবস্থা নেবেন এবং তাকে দÐবিধির ৩৩০ ধারায় অভিযুক্ত করা হবে।
এ রায় প্রদানকালে সুপ্রিম কোর্ট ইউনিফর্ম না পরে সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেফতারের ঘটনাকে ‘ভয়াবহ’ বলে মন্তব্য করেন। আদালত বলেন, কাউকে গ্রেফতার করতে হলে ইউনিফর্ম পরিহিত অবস্থায় থাকতে হবে। বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার সংক্রান্ত ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারা ও রিমান্ড সংক্রান্ত ১৬৭ ধারার নির্দেশনার বিষয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানিকালে আদালত এ মন্তব্য করেন।
১৯৯৮ সালে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী এলাকা থেকে ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী শামীম রেজা রুবেলকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করা হয়। ওই বছর ২৩ জুলাই মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় বিচারপতি হাবিবুর রহমান খানের নেতৃত্বে একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি হয়। তদন্ত শেষে কমিটি ৫৪ ও ১৬৭ ধারা সংশোধনের পক্ষে কতিপয় সুপারিশ দেয়। সুপারিশ বাস্তবায়ন চেযে ‘বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট’ (বøাস্ট) রিট করে। এ প্রেক্ষিতে ২০০৩ সালের ৭ এপ্রিল কয়েক দফা নির্দেশনাসহ রায় দেন হাইকোর্ট। তাতে ৬ মাসের মধ্যে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার ও হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে প্রচলিত বিধি সংশোধন করার পাশাপাশি ওই ধারা সংশোধনের আগে সরকারকে কয়েক দফা নির্দেশনা অনুসরণ করতে বলা হয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে সরকার ২০০৪ সালে আপিল করে। সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের নির্দেশনা বহাল রাখেন। সুপ্রিম কোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে সরকারের রিভিউ পিটিশন শুনানি এখনও ঝুলে আছে।
একাধিক আইনগ্রন্থ প্রণেতা অ্যাডভোকেট সিরাজ প্রামাণিক বলেন, নাগরিক হিসেবে মুক্ত স্বাধীন জীবনযাপনের অধিকারটি মৌলিক। এ অধিকার সংরক্ষণে নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতা রয়েছে। রাষ্ট্র সেটি রক্ষা করতে পারছে না। যুগ যুগ ধরে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় ওয়ারেন্ট ছাড়া গ্রেফতারের ক্ষমতা স্বেচ্ছাচারিভাবে প্রয়োগ হয়ে আসছে। ১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় বাংলাদেশের যে কোনো নাগরিকের নির্বিচার গ্রেফতারের যে ক্ষমতা পুলিশের উপর অর্পণ করা হয়েছে, তা সংবিধানের চেতনার পরিপন্থী।
বুমেরাং হতে পারে : ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)-এর প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, ৫৪ ধারা, সাদা পোশাকে গ্রেফতার, রিমান্ড ইত্যাদি বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের অনেকগুলো নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তো যা ইচ্ছে তা-ই করার ‘রেড কার্ড’ দেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে কোর্টের আদেশ না মানার প্রবণতা বেশি। ক’দিন আগে এক তরুণ ডাক্তারকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কে বা কারা তাকে তুলে নিলোÑ প্রথম কেউ স্বীকারই করছিল না। ৪ দিন পর জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা দেখিয়ে তাকে হাজির করা হলো। সাদা পোশাকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া ৫৪ ধারায় আটক করে পুরনো মামলায় গ্রেফতারÑ এসব তো গুম-খুনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এসব কর্মকাÐের কনসিকোয়েন্স কিন্তু ভালো নাও হতে পারে। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের হাইকমিশনার মিশেল ব্যাসেল কিন্তু হঠাৎ করেই আসেননি। দীর্ঘদিনের ঘটনাপ্রবাহ দেখেই তিনি এসেছেন।
সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিউৎসাহী সদস্য অনেক সময় সরকারের নির্দেশনা ছাড়াই এসব কাজ করছেন। সরকারের প্রিয়ভাজন হতে, কখনওবা পদ-পদবির প্রলোভনে নিজ থেকেই এসব ঘটাচ্ছেন তারা। এর ফলে প্রশাসনিক ভারসাম্য এখন নষ্ট হয়ে গেছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কোনো কাজ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হওয়া উচিত নয়। তাহলে সেটি এক সময় বুমেরাং হতে পারে।
সোর্স : ইনকিলাব