দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা এখন সাড়ে ২৫ হাজার মেগাওয়াটের বেশি। দৈনিক চাহিদা ১৪ হাজার মেগাওয়াটের কাছাকাছি। এই বিদ্যুৎ চাহিদা স্থায়ী কেন্দ্রের মাধ্যমে মেটানো যাচ্ছে। তারপরও তিন বছরের চুক্তিতে আনা কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো বন্ধ করা হচ্ছে না। স্বল্প মেয়াদের কথা বলে এক যুগ ধরে ভাড়াভিত্তিক কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কেনা হচ্ছে বাড়তি দামে। বিদ্যুৎ না নিলেও এসব কেন্দ্রকে ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হয়েছে। জ্বালানির দাম বাড়ায় দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লাগাম টানার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। এমন অবস্থায় রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু রেখে ব্যয় বাড়ানোকে অযৌক্তিক মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, স্বল্প মেয়াদে সমাধান হিসেবে রেন্টাল কেন্দ্র চালু হলেও এগুলোর মেয়াদ বাড়ানো ঠিক হয়নি।
এ কারণে বিদ্যুৎ খাতে ঘাটতি বেড়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতেও এর প্রভাব রয়েছে। কনজ্যুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. এম শামসুল আলম মানবজমিনকে বলেন, যেখানে বিদ্যুতের উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে সেখানে কেন রেন্টাল-কুইক রেন্টালের চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা এটি বাতিল দাবি করে আসছি। গণশুনানিতেও বাতিল দাবি করেছি। বারবার চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এখন কি পরিমাণ ভাড়াভিত্তিক কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ আসছে জানতে চাইলে দেশের খ্যাতিমান এই জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বলেন, এটা টাইম টু টাইম ভেরি করে।
সঠিক পরিমাণ বলা যাবে না। এদিকে নানা শর্ত আর যুক্তি দাঁড় করিয়ে বারবার বাড়ানো হচ্ছে এসব প্রকল্পের মেয়াদ। তবে এসব যুক্তি-শর্তকে নিয়মবহির্ভূত বলছেন সংশ্নিষ্ট খাত বিশেষজ্ঞরা। সমপ্রতি ৩০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার আরও চারটি রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবে ‘নো ইলেকট্রিসিটি নো পেমেন্ট’ শর্তে মেয়াদ বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। এতে কোনো ক্যাপাসিটি পেমেন্ট (রেন্টাল ভাড়া) দিতে হবে না বলে দাবি বিদ্যুৎ বিভাগের। তবে রেন্টাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের সবচেয়ে সমালোচিত ক্যাপাসিটি পেমেন্টকে এবার ভিন্ন নামে বৈধতা দেয়ার চেষ্টা চলছে। প্রস্তাবে মেয়াদ বাড়ানোর যৌক্তিকতা তুলে ধরতে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়িয়ে ধরাসহ নানা বিভ্রান্তিকর তথ্য সংযুক্ত করা হয়েছে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। তারা বলছেন, বলা হচ্ছে বিদ্যুৎ না কিনলে কোনো টাকা দিতে হবে না। তবে বাস্তবতা ভিন্ন। বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকরা সবাই প্রভাবশালী। চাহিদা না থাকায় বর্তমানে কমপক্ষে তিন হাজার মেগাওয়াট সক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ থাকছে। এ বছরের শেষ নাগাদ তিন বড় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হচ্ছে। তাই তেলভিত্তিক ছোট বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু রাখা অযৌক্তিক। মেয়াদ বাড়ার তালিকায় থাকা চার রেন্টাল কেন্দ্র হচ্ছে-পাওয়ারপ্যাক মুতিয়ারার কেরানীগঞ্জ ১০০ মেগাওয়াট, একর্ন ইনফ্রাস্ট্রাকচারের চট্টগ্রাম জুলদায় ১০০ মেগাওয়াট, নর্দান পাওয়ারের রাজশাহী কাটাখালী ৫০ মেগাওয়াট এবং সিনহা পাওয়ারের চাঁপাই নবাবগঞ্জের আমনুরা ৫০ মেগাওয়াট।
ফার্নেস অয়েলভিত্তিক পাঁচ বছর মেয়াদি এই চার রেন্টাল কেন্দ্র ২০১০ সালে উৎপাদনে আসে। এরপর তাদের মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বাড়ানো হয়, যা চলতি বছর শেষ হয়েছে। উদ্যোক্তারা পাঁচ বছর মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করলেও ‘নো ইলেকট্রিসিটি নো পেমেন্ট’ শর্তে এগুলোর মেয়াদ দুই বছর বাড়ানো হচ্ছে। বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ থাকলেও একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা উদ্যোক্তাদের দেয়া হয়, এটাই ক্যাপাসিটি চার্জ। প্রস্তাবে বলা হয়, ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে কুইক রেন্টাল ও রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো আস্তে আস্তে গুটিয়ে নেয়া হচ্ছে। ডিজেলভিত্তিক মোট ৪০৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ছয়টি, ফার্নেস অয়েলভিত্তিক ১৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি এবং গ্যাসভিত্তিক মোট ৪৫৩ মেগাওয়াট ক্ষমতার পাঁচটি মিলে মোট ১ হাজার ১৮ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৩টি রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রকে ইতিমধ্যে বন্ধ করা হয়েছে। তবে বিতরণ ও সঞ্চালন ব্যবস্থার স্থিতিশীলতার জন্য সিস্টেম ফ্রিকোয়েন্সি রক্ষা, দাম কম হওয়ায় কিছু কিছু রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ ‘নো ইলেকট্রিসিটি নো পেমেন্ট’ শর্তে বাড়ানো হচ্ছে।
এরই মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ ফার্নেসভিত্তিক ৪৫৭ মেগাওয়াট ক্ষমতার পাঁচটি এবং গ্যাসভিত্তিক ২১৩ মেগাওয়াট ক্ষমতার পাঁচটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ এই শর্তে বাড়ানো হয়েছে। প্রস্তাবে দাবি করা হয়, সেচ ও গ্রীষ্ম মৌসুম বিবেচনায় জরুরি প্রয়োজনে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর মেয়াদ বাড়ানো প্রয়োজন। প্রস্তাবে বলা হয়, দেশে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বর্তমান উৎপাদন ক্ষমতা ১০ হাজার ৯৯৫ মেগাওয়াট হলেও অপ্রতুল গ্যাসের কারণে বর্তমানে ৫ হাজার ২৫০ মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে না। এ ছাড়া বাখরাবাদ-মেঘনাঘাট-হরিপুর ৪২ গ্যাস সঞ্চালন লাইনের নির্মাণকাজ ২০২৪ সালের জুনের আগে শেষ হবে না। ফলে মেঘনাঘাট এলাকায় নির্মাণাধীন বৃহৎ গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ২০২৪ সালের আগে উৎপাদনে আসবে না। তাই এই চার কেন্দ্রের চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো প্রয়োজন। চার কেন্দ্রের রেন্টাল চার্জ ছিল প্রতি মাসে কিলোওয়াটপ্রতি ১৩ ডলার। ফার্নেস অয়েলের দাম ছিল ৪২ টাকা লিটার। নতুন প্রস্তাবে রেন্টাল চার্জ থাকছে না। এর বদলে ফিক্সড অপারেশন ও মেইনটেন্যান্সের জন্য কিলোওয়াট-ঘণ্টায় তিন টাকা ধরা হয়েছে। এর সঙ্গে পরিবর্তনশীল অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স খরচের জন্য আরও ২৫ পয়সা ধরা হয়েছে, যা আগে ছিল প্রায় দশমিক ৫ পয়সা।
এর সঙ্গে প্রতি কিলোওয়াটে জ্বালানি খরচ গড়ে ১৩ টাকা ৭০ পয়সা যুক্ত হবে। অর্থাৎ প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ কিনতে পিডিবি’র খরচ হবে প্রায় ১৭ টাকা। অন্যদিকে, বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভাড়া (ক্যাপাসিটি চার্জ) এখন দেশের অর্থনীতির গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। চলতি বছরে সংসদীয় কমিটির কাছে দেয়া প্রতিবেদনে ৯ মাসে প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা চার্জ দেয়ার কথা জানিয়েছে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত সরকারি- বেসরকারি মিলিয়ে মোট ৯০টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে ১৬ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা ভাড়া দেয়া হয়েছে। প্রতি মাসে গড়ে দেয়া হয়েছে এক হাজার ৬৮৫ কেটি টাকা। এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে ১৮ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১৮ হাজার ১২৩ কোটি টাকা। প্রায় তিন বছরে মোট ভাড়া দেয়া হয়েছে ৫৩ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। বাংলাদেশের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর এই ক্যাপাসিটি চার্জ দেয়া হয় ২১ হাজার ৩৯৬ মেগাওয়াট হিসাবে। কিন্তু গত এপ্রিলে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছিল ১৪ হাজার ৭৮২ মেগাওয়াট। আর এখন উৎপাদিত হচ্ছে কম বেশি ১৩ হাজার মেগাওয়াট। কিন্তু ক্যাপাসিটি চার্জ সমানই আছে।
এই ক্যাপাসিটি চার্জ দেয়া হয় ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র-রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল, আমদানি করা বিদ্যুৎ এবং ইন্ডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসারদের (আইপিপি)। এভাবেই ক্যাপাসিটি চার্জের নামে গত তিন বছর বিদ্যুৎ খাতে প্রায় ৫৪ হাজার কোটি টাকা দিতে হয়েছে সরকারকে। এর মধ্যে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকদের পকেটে গেছে প্রায় ৪২ হাজার কোটি টাকা। এর আগে গত বছর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে উপস্থাপিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নামে পরিচিত এই বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে বন্ধ করে দেয়া হবে। সংসদীয় কমিটিকে দেয়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারের মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বৃহৎ বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো চালু হলে ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো মেয়াদপূর্তিতে অবসরে যাবে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল বর্তমানে এক হাজার ১০৯ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৬টি ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু আছে। এতে বলা হয়, এগুলো ২০২৪ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে অবসরে যাবে। সংসদীয় কমিটি ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর মেয়াদ আর না বাড়িয়ে দ্রুততম সময়ে সেগুলোকে অবসরে পাঠানোর সুপারিশ করে। এ পর্যন্ত ৬টি রেন্টাল এবং ৬টি কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয় বলে জানানো হয়। এরমধ্যে ২৮০ মেগাওয়াট ক্ষমতার চারটি গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং ১৫৬ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি ফার্নেস অয়েলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং ৩৯৭ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৬টি ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। সব মিলিয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ ১২টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মোট উৎপাদন ক্ষমতা ৮৩৩ মেগাওয়াট।
প্রতিবেদনে বলা হয়, তিনটি রেন্টাল ও দুটি কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তির মেয়াদ শেষ হলেও তা বাড়ানোর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। গ্যাসভিত্তিক এই বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা ২৪৫ মেগাওয়াট। বর্তমানে ১৬টি কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এর মধ্যে গ্যাসভিত্তিক সাতটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৩৫২ মেগাওয়াট এবং ফার্নেস অয়েলভিত্তিক নয়টির উৎপাদন ক্ষমতা ৭৫৭ মেগাওয়াট। এ বিষয়ে পাওয়ার সেলের সাবেক মহাপরিচালক বিডি রহমত উল্লাহ মানবজমিনকে বলেন, কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বন্ধ হচ্ছে না। সরকার চুক্তি নবায়ন করেই যাচ্ছে। কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর জন্য বছরে ২০ হাজার কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ (রেন্টাল ভাড়া) হিসেবে দিতে হচ্ছে। বিদ্যুৎ দরকার নেই কিন্তু টাকা চলে যাচ্ছে। উদ্দেশ্য এই টাকা ভাগাভাগি করা। তিনি আরও বলেন, বিদ্যুতের চাহিদা নেই। অথচ কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করছে না। বিদ্যুতের চাহিদা না থাকা সত্ত্বেও কেন এগুলোর মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। এগুলো প্রথমে ৩ বছরের জন্য চুক্তি ছিল।
পরে ৫ বছর এবং ৭ বছরের জন্য চুক্তি করা হয়। বিশেষ আইনের মেয়াদ আছে চার বছরের বেশি: জরুরিভিত্তিতে দেশে বিদ্যুৎ ঘাটতি মেটাতে এক দশক আগে ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালানোর বিশেষ আইনের মেয়াদ আছে আরও চার বছরের বেশি। গত বছরের ১৬ই সেপ্টেম্বর সংসদে এ সংক্রান্ত বিল পাস হয়। ২০০৯ সালের আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিদ্যুৎ সংকট দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি ভাড়া ও দ্রুত ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমোদন দেয়া হয়। এই প্রক্রিয়ার জন্য ২০১০ সালে প্রণয়ন করা হয় ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন’। শুরুতে দুই বছরের জন্য এ আইন করা হলেও পরে কয়েক দফায় সময় বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ৫ বছরের জন্য মেয়াদ বাড়ানো হয়। মেয়াদ বাড়ানোর সময় বিল পাসের প্রক্রিয়ায় বিরোধিতা করেছিলেন বিরোধী দলগুলোর এমপিরা।
সোর্স : মানব জমিন