বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর জনাব মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের মানুষের অনেক দুঃখ, অনেক ব্যথা, অনেক কষ্ট। দীর্ঘ সংগ্রাম এবং ত্যাগের বিনিময়ে আমাদের পূর্বপুষরা বড় আশা নিয়ে এদেশ স্বাধীন করেছিলেন। তাদের স্বপ্ন ছিলো এ দেশের প্রত্যেকটি নাগরিক সুবিচার পাবে, অধিকার পাবে, মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে পারবে, দেশে সন্ত্রাস থাকবে না, আপনার-আমার ছেলে-মেয়ে স্কুল-কলেজ-মাদরাসায় গিয়ে শান্তিতে লেখাপড়া করতে পারবে। আমার মা এবং বোনদের ইজ্জত সংরক্ষিত হবে। কিন্তু আজ বাংলাদেশের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। আজ বাংলাদেশের মানুষের দুঃখের কোন অন্ত নেই, কষ্টের কোন সীমা নেই, চতুর্দিকে শুধু লাশ আর লাশ। চতুর্দিকে মানুষের খাবারের জন্য হাহাকার, চিকিৎসার জন্য হাহাকার। আজ আমাদের সন্তানদের লেখাপড়ার জন্য উপযুক্ত কোনো পরিবেশ নেই। সন্তানেরা বিদেশে চলে যায় দু’মুঠো অন্নের জন্য। সাগরের পানিতে তাদের ভেসে থাকতে হয়। আজ দেশে যদি উন্নতি হতো তাহলে নিশ্চয়ই আমি আপনি আমাদের সন্তানদের বিদেশে পাঠিয়ে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতাম না। এই অবস্থা গত ৫০ বছর আমরা দেখেছি, এই বাংলাদেশ আর আমরা দেখতে চাই না। একটি নতুন বাংলাদেশ আমরা দেখতে চাই। যে বাংলাদেশ হবে একটি মানবিক বাংলাদেশ, যে বাংলাদেশে হবে আমাদের সকলের বাংলাদেশ। আমরা যে যে অবস্থানেই থাকিনা কেন, আমি আমার কথা বলতে পারব, আমরা ইচ্ছামত ব্যবসা করতে পারব এবং ধর্মকর্ম পালন করতে পারবো। সে উদ্দেশ্যেই বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কাজ করছে। পবিত্র কুরআনের ঘোষণা অনুযায়ী “তোমরাই হলে সর্বোত্তম জাতি তোমাদেরকে মানুষের কল্যাণের জন্যেই কর্মক্ষেত্রে আনা হয়েছে।” মহান আল্লাহর সেই আহবানকে আমলে নিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মানুষের কল্যাণে কাজ করছে।
তিনি ১১ ও ১২ জুলাই, সোমবার ও মঙ্গলবার সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার এবং গোলাপগঞ্জ উপজেলার উদ্যোগে মাওলানা ফয়জুল ইসলাম ও মাওলানা জমির উদ্দিনের সভাপতিত্বে আয়োজিত পৃথক পৃথক বেশ কয়েকটি ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান ও দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।
এ সময় মহানগরী আমীরের সাথে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা দক্ষিণ জামায়াতের সেক্রেটারি জনাব নজরুল ইসলাম, বিয়ানীবাজার পৌর জামায়াতের আমীর মাওলানা মস্তফা উদ্দিন, উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা আবুল কাশেম চৌধুরী, সিলেট পূর্ব জেলা শিবির সভাপতি মুহিব্বুল্লাহ হোসনেগীর, জেলা দক্ষিণ শ্রমিক কল্ল্যাণের সেক্রেটারি হাফেজ আতিকুল ইসলাম, গোলাপগঞ্জ উপজেলার সাবেক আমীর উপজেলা কর্ম পরিষদ সদস্য আব্দুস ছালাম আজাদ, উপজেলা বায়তুলমাল সম্পাদক মাস্টার রশিদ আহমদ, গোলাপগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ আহমদ চৌধুরী, পৌরসভা জামায়াতের নায়বে আমীর তাজুল ইসলাম, গোলাপগঞ্জ উপজেলার এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি এহতেশামুল আলম জাকারিয়া, পৌরসভা জামায়াতের সেক্রেটারি হাবিবুল্লাহ দস্তগীর, আমুড়া ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি রাসেল, পৌর জামায়াত নেতা সেলিম উদ্দিন, কাজি শাহিদুর রহমান, আব্দুল কাদির, বিয়ানীবাজার উপজেলা সহ-সেক্রেটারি এখলাছ উদ্দিন, বিয়ানীবাজার উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ সভাপতি মুহাম্মদ আব্দুল হামিদ, উপজেলা জামায়াতের প্রচার সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, ছাত্র শিবির বিয়ানীবাজার উপজেলা দক্ষিণ,উত্তর ও কলেজ সভাপতি যথাক্রমে আদিলুর রহমান,রুহুল আমিন,আহবাব হোসেন মুরাদ, উত্তর ও কলেজ শাখার সেক্রেটারি তানভীর হোসাইন, সরকারি কলেজ সেক্রেটারি তানভীর আহমদ, মাথিউরা ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি সালেহ উদ্দিন লোদী, তিলপাড়া ইউনিয়ন সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, কুড়ার বাজার ইউনিয়ন সভাপতি ডাঃ সাইদুর রহমান,সেক্রেটারি খায়রুল আমীনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ প্রমুখ৷
মহানগরী আমীর বলেন, এই জাতিকে নিয়ে আর কেউ খেলতে পারবে না ইনশাআল্লাহ। এই জাতিকে আর কেউ ধোকা দিতে পারবে না। মানুষের মনের ভাষা যিনি বোঝেন, যিনি অনুভব করেন, তার নেতৃত্বেই একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা হবে ইনশাআল্লাহ। আমরা একসাথে কাজ করবো, বাংলার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম চালিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ। আমরা আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নিজেরা সচেতন থাকবো ইনশাআল্লাহ।
এদিকে মহানগরী আমীর ঈদের ৩য় দিনে সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় মুহতারাম আমীরে জামায়াতের সফর সঙ্গী হয়ে বন্যা কবলিত মানুষের মাঝে খাদ্য ও বিভিন্ন উপহার সামগ্রী বিতরণে অংশগ্রহণ করেন।