বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেছেন, জামায়াত একটি মানবতাবাদী আদর্শিক সংগঠন। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা, দেশের বিপদ-আপদ ও কল্যাণে জামায়াতই তার সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। সাম্প্রতিক বন্যায় জামায়াতের ব্যাপকভিত্তিক মানবতাবাদী কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে এটা আবারো প্রমাণিত হলো। বন্যার শুরু থেকেই শুধু সিলেট ও সুনামগঞ্জ নয় বরং বন্যা কবলিত প্রায় সকল জেলায় জামায়াত তার সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের নিয়ে বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। জামায়াত শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ইনসাফভিত্তিক সমাজ ও মানবতার কল্যাণে কাজ করে। সেই ইনসাফ ভিত্তিক সমাজের প্রথম কাজ হচ্ছে এক ভাইয়ের বিপদে অপর ভাইয়ের এগিয়ে আসা। একটি মজলুম সংগঠন হিসেবে সকল জুলুম-নিপীড়ন উপেক্ষা করে জামায়াত মানবতার জন্য কাজ করে যেতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। তাই ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদেরকে একজন মানবতাবাদী আদর্শিক মানুষ হওয়ার জন্য দৃঢ় সংকল্প করতে হবে। দেশে ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের সর্বস্তরের জনগণের সাতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। আর আমরা কুরআনের সমাজ প্রতিষ্ঠার আগ পর্যন্ত কোন ভাবেই থেমে যাব না।
তিনি আজ শুক্রবার সকালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের বসুন্ধরা থানার উদ্যোগে আয়োজিত অগ্রসর কর্মীদের শিক্ষা শিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। সংগঠনের ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিসে শুরা সদস্য ও থানা আমীর জনাব হারুন-আল রশীদের সভাপতিত্বে ও থানা সেক্রেটারি আল-আমিন মেহেদীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত শিক্ষা শিবিরে আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি জনাব নাজিম উদ্দিন মোল্লা, থানা নায়েবে আমীর জনাব আবল বাসার প্রমূখ।
জনাব সেলিম উদ্দিন বলেন, রাষ্ট্র ক্ষমতাই ইসলামী আন্দোলনের প্রকৃত সাফল্য নয় বরং আল্লাহর সন্তষ্টিই প্রকৃত সফলতা। তাই ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদেরকে আল্লাহর প্রতি সন্তষ্ট থেকে তার সন্তষ্টি অর্জনের জন্য প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালাতে হবে। তিনি দেশের চিত্র তুলে ধরে বলেন, সরকার দেশকে নেতৃত্ব ও মেধাশূণ্য করতেই আমাদের শীর্ষনেতাদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। দেশের আজ দূর্যোগপূর্ণ মুহুর্তেও সরকার জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে বিরোধী দল দমন-পীড়নে ব্যস্ত। মূলত বিনা ভোটের সরকার জনগণের কাছে দায়বদ্ধ আছে বলে মনে করে না। তাই নেতৃত্ব নির্বাচন ও জনগণের ভোটের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠা ও স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে জনগণকে সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করতে হবে।