জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেছেন, সাম্প্রতিক বন্যায় সিলেট ও সুনামগঞ্জের অধিকাংশ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠা বন্যাদূর্গত মানুষের জন্য খুবই কঠিন। বন্যার শুরু থেকেই জামায়াত শুধু সিলেট ও সুনামগঞ্জ নয় দেশের বন্যাদূর্গত সকল এলাকায় বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। জামায়াত শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই মানবতার কল্যাণে কাজ করে। জামায়াত যে ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের জন্য কাজ করে। সেই ইনসাফ ভিত্তিক সমাজের প্রথম কাজ হচ্ছে এক ভাইয়ের বিপদে অপর ভাইয়ের এগিয়ে আসা। দেশের সকল অঞ্চল থেকে আমাদের ভাইয়েরা বন্যার্তদের জন্য ছুটে এসেছেন কেবলই আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য। সকল জুলুম নিপীড়ন উপেক্ষা করে জামায়াত মানবতার জন্য কাজ করে যেতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। সামর্থ অনুযায়ী বন্যার্তদের পুনর্বাসনে সকলের এগিয়ে আসা উচিত।
তিনি সোমবার সকালে সুনামগঞ্জের সদর উপজেলার ভৈষবেড় দেওয়ান নগর এলাকায় ও বিকেলে সিলেট নগরীর দক্ষিণ সুরমার ৩০নং ওয়ার্ডের মাইজপাড়া ও তেলীপাড়া এলাকায় ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াতের পক্ষ থেকে বন্যার্তদের মাঝে পৃথক খাদ্য সামগ্রী বিতরণকালে উপরোক্ত কথা বলেন। সিলেট মহানগর জামায়াতের ব্যবস্থাপনায় ৩০নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে বন্যার্তদের মাঝে ফুডপ্যাক উপহার প্রদান করা হয়। সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা জামায়াতের ব্যবস্থাপনায় ভৈষবেড় দেওয়াননগর এলাকায় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
দক্ষিণ সুরমায় খাদ্য সামগ্রী বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারী মোহাম্মদ শাহজাহান আলী, দক্ষিণ সুরমা থানা আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান, সেক্রেটারী মাওলানা ফয়জুল ইসলাম জায়গীরদার, সহকারী সেক্রেটারী কাজী জাফর আহমদ, ওয়ার্ড সভাপতি এডভোকেট মহসিন আহমদ, সেক্রেটারী আব্দুর রহিম ও সাবেক ছাত্রনেতা মামুন হোসাইন প্রমূখ। সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ভৈষবেড় দেওয়াননগর এলাকায় উপস্থিত ছিলেন, সাবেক সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান বদরুল কাদির শিহাব, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সুনামগঞ্জ জেলা সভাপতি সভাপতি আমিনুল ইসলাম, সুনামগঞ্জ পৌর জামায়াতের সাংগঠনিক সেক্রেটারী আব্দুস সাত্তার মোঃ মামুন, সুনামগঞ্জ সরকারী কলেজ শিবির সভাপতি খাইরুল ইসলাম, ছাত্রনেতা পারভেজ ও মোতাহের আলী প্রমুখ।
এদিকে সিলেট মহানগর জামায়াতের ধারাবাহিক সহায়তা তৎপরতার অংশ হিসেবে সোমবারও নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে বন্যাদূর্গত এলাকা রান্না করা খাবার, শুকনো খাবার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত নগর জামায়াতের মানবিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।