বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহাগনরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী একটি গণমুখী, আদর্শবাদী ও কল্যাণকামী রাজনৈতিক দল। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই জামায়াত দেশ ও জাতির ক্রান্তিলগ্নে বা দুর্যোগকালীন সময়ে জনগণের সুখে-দুঃখে পাশে থাকার চেষ্টা করেছে। সে ধারাবাহিকতায় আজ আমরা সিলেটের বন্যাদুর্গতদের দুর্দশা লাঘবে সাধ্য অনুযায়ি পাশে থাকার চেষ্টা করছি। আর্ত-মানবতার কল্যাণে আমাদের এই প্রয়াস আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে-ইনশাআল্লাহ। তিনি বন্যার্ত মানুষের কল্যাণে ও পূনর্বাসনে সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, দাতা সংস্থা, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা, দাতব্য প্রতিষ্ঠানসহ সমাজের বিত্তমান মানুষকে এগিয়ে আশার আহবান জানান।
তিনি আজ সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম আলীর গাও এলাকায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের উদ্যোগে বন্যাদুর্গত মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণকালে এসব কথা বলেন। এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও সিলেট মহানগরী আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ও সেক্রেটারি মুহাম্মদ শাহজাহান আলী, চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নূরুল আমীন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি নাজিম উদ্দীন মোল্লা, সিলেট উত্তর জেলা সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও গোয়াইনঘাট উপজেলা আমীর আবুল হোসেন ভাই ও সেক্রেটারি ইমরুল হাসান প্রমূখ।
ড. এম আর করিম বলেন, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রলয়ঙ্করী বন্যা সৃষ্টি হলেও সরকার বন্যাদুর্গতদের জন্য কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বরং একজন মন্ত্রী বিরোধী দলগুলোর ত্রাণ বিতরণের কথা অস্বীকার করে মিথ্যাচারে লিপ্ত হয়েছেন। যা একজন দায়িত্বশীল মন্ত্রীর জন্য মোটেই শোভনীয় হয়নি। শুধু তাই নয় সৃষ্ট বন্যাকে তারা প্রাকৃতিক দুর্যোগ বলে নিজেদের দায়সারার চেষ্টা করেছেন। মূলত, দুর্যোগকালীন মহুর্তসহ জনগণের যেকোন সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব রাষ্ট্রের। কিন্তু সরকার সাংবিধানিক সে দায়িত্ব পালন না করে এমন কিছু করছে যার সাথে জনগণের স্বার্থের কোন সম্পর্ক নেই। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল যখন বানের পানিতে তলিয়ে গেছে তখন সরকার উদ্বোধনের নামে কোটি কোটি খরচের মহড়া শুরু করেছে। তিনি সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প স্থগিত ও রাষ্ট্রের বাহুল্য খরচ পরিহার করে সে অর্থ বন্যার্ত মানুষের কল্যাণে ব্যয় করার আহবান জানান। অন্যথায় সরকারকে জনগণের কাজে জবাবদিহী করতে হবে।
তিনি বলেন, বন্যাসহ যেকোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে। পবিত্র কালামে হাকীমের সুরা বাকারার ১৫৫ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আমি অবশ্যই তোমাদেরকে কিছু না কিছু দিয়ে পরীক্ষায় ফেলবোই: মাঝে মধ্যে তোমাদেরকে বিপদের আতঙ্ক, ক্ষুধার কষ্ট দিয়ে, সম্পদ, জীবন, পণ্য-ফল-ফসল হারানোর মধ্য দিয়ে। আর যারা কষ্টের মধ্যেও ধৈর্য-নিষ্ঠার সাথে চেষ্টা করে, তাদেরকে সুখবর দাও’। তাই বিপদে ধৈর্যহারা না হয়ে আল্লাহর উপর ভরসা রেখে সঙ্কট উত্তরণের প্রাণান্তর চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। আল্লাহ আমাদেরকে সাহায্য করবেন। তিনি বন্যাদুর্গত মানুষের কল্যাণে সংগঠনের সকল স্তরের জনশক্তিকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান।