সিলেট, সুনামগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নেত্রকোনা, শেরপুর ও নীলফামারীসহ দেশের আরো বিভিন্ন জায়গা বন্যার তাণ্ডবে বিপর্যস্ত।
প্রায় দু’মাসের ব্যবধানে ফের ভয়াবহ বন্যার ছোবল। এবারের বন্যায় প্রধান-প্রধান সড়ক ও নদীপথ একাকার হয়ে গেছে। পুরো সুনামগঞ্জ জেলা ও সিলেটের প্রায় অধিকাংশ জেলা পানিতে তলিয়ে ঘড়-বাড়ি ও রাস্তঘাট ডুবিয়ে দিয়েছে। এমনকি সিলেট এম এ জি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের রানওয়েও এখন বন্যা কবলিত। পর্যাপ্ত পরিমাণ নৌকা সরবরাহ না থাকায় এখনো অনেক মানুষ নিরাপদ স্থানে না যেতে পেরে পানির ওপরেই ভাসছেন। এদিকে কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নেত্রকোণা, শেরপুর ও নীলফামারীতে বন্যার অবস্থা ভয়াবহ আকার ধারন করেছে।
এসব জেলাগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয়ে পড়েছে। তলিয়ে যাওয়া এলাকাগুলোতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এই কঠিন পরিস্থিতিতেও সরকারের পক্ষ থেকে আশানুরুপ কোন তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। তবে গতকাল থেকে সেনাবাহিনী কাজ করছে। অতি দ্রুত জরুরী অবস্থা ঘোষণা করে পানিবন্দি জনগণকে উদ্ধার ও ব্যাপক পরিমাণে ত্রাণ তৎপরতা চালানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আরো ব্যাপক উদ্যোগ নিতে হবে।
শুরু থেকেই এই কঠিন অবস্থায় সর্বোচ্চ সামর্থ নিয়ে প্রাণপ্রিয় মজলুম সংগঠন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে কাজ করে যাচ্ছে। এই অবস্থায় সকলের প্রতি অনুরোধ, বিশেষ করে সমাজের সামর্থবান ও হৃদয়বান ব্যক্তিরা মানবিক এই বিপর্যয়ে যার যার অবস্থান থেকে বন্যা কবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ান।
পাশাপাশি ঢাকা মহানগরী উত্তরের সর্বস্তরের জনশক্তি, সুধী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদেরকে মানবিক এই বিপর্যয়ে অসহায় মানুষগুলোর সাহায্যার্থে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি।
মহান আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করছি, আল্লাহ তা’য়ালা যেন অতি দ্রুত এই অবস্থা থেকে বন্যা কবলিত মানুষগুলোকে মুক্ত করেন এবং তাঁর রহমতে যাতে খুব দ্রুতই এই বিপদ কাটিয়ে উঠতে পারে সেই তাওফিক কামনা করছি।
সর্বোপরি সিলেট, সুনামগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নেত্রকোণা, শেরপুর ও নীলফামারীসহ আরো নতুন করে দেশের যে কয়েকটি জেলা বন্যা কবলিত, সেই সব এলাকার জনগণের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করছি। মহান আল্লাহ যেন ভয়াবহ এই ক্ষয়ক্ষতি থেকে সবাইকে সাহায্য ও হেফাজত করেন। আমীন।।