‘সরকার শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের স্বাধীনতা দিবসের র্যালিতে বাধা দিয়ে এবং শ্রমিক নেতাকর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার ও মিথ্যা মামলা দায়ের করে জনগণের মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকারকে ভুলন্ঠিত করেছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
তিনি গত ২৬ মার্চ রাজধানীতে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ঢাকা মহানগরী আয়োজিত মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের র্যালিতে পুলিশী বাধা, মিথ্যা মামলা, ১৭ নেতাকর্মীকে সম্পূর্ণ অন্যায়বাবে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে নির্যাতনের প্রতিবাদে এসব কথা বলেন।
মহানগরী উত্তর আমির বলেন, মিছিল, মিটিং, র্যালি ও আলোচনা সভাসহ যেকোনো ধরনের কর্মসূচি পালন দলমত নির্বিশেষে জনগণের নাগরিক, গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু তারা স্বাধীনতা দিবসের র্যালিতে বাধা দিয়ে ১৭ শ্রমিক নেতাকর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার ও থানায় নিয়ে নির্যাতন করে আবারো প্রমাণ করেছে তারা জনগণের নাগরিক অধিকার, গণতন্ত্র, মানবিক মর্যাদা ও আইনের শাসনে বিশ্বাসী নয়।
তিনি শ্রমিক র্যালিতে পুলিশের বাধা, গ্রেফতার মিথ্যা মামলা ও নির্যাতনের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানান এবং গ্রেফতারকৃতদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।
মহানগরী আমির সরকারের জুলুম-নির্যাতন মোকাবেলায় শ্রমিক-জনতা ঐক্য গড়ে তোলারও আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, সরকার দেশ পরিচালনায় সার্বিকভাবে ব্যর্থ হয়েছে। ব্যাপকভিত্তিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এলিট ফোর্স র্যাপিড একশন বেটালিয়ন (র্যাব) এর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
এদিকে নিত্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি এখন অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো যখন দেশে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় জোরালো তাগিদ দিচ্ছে এবং দেশের মূল্য পরিস্থিতি যখন সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে তখন জনগণের দৃষ্টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহের জন্যই সরকার নতুন করে নীতি শুরু করেছে। কিন্তু ইতিহাস স্বাক্ষী জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে অতীতে কোনো অগণতান্ত্রিক শক্তির শেষ রক্ষা হয়নি আর কখনো হবেও না।
তিনি সরকারকে নেতিবাচক রাজনীতি পরিহার করে ইতিবাচক ও সাংবিধানিক রাজনীতিতে ফিরে আসার আহ্বান জানান। অন্যথায় তাদেরকে একদিন জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।