জনগণের নিয়মতান্ত্রিক-গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধাদান, হয়রানীমূলক মামলা ও বেআইনী গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও মদের লাইসেন্স বাতিলের আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
এক বিবৃতিতে মহানগরী আমীর বলেন, সরকার দেশে সুশাসন উপহার দিতে ব্যর্থ হয়ে এখন নিজেদের অবৈধ ক্ষমতার রক্ষার জন্য জনগণের ওপর নতুন করে আবারো নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে। সরকারের উপর্যুপরি ব্যর্থতা ও অবৈধ সিন্ডিকেটের কারণে দেশে লাগামহীন মূল্যস্ফীতি ঘটেছে। ফলে মূল্য পরিস্থিতি এখন সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। তারা নতুৃন প্রজন্মকে বিপথগামী করার জন্যই মদের ওপেন লাইসেন্স দিয়েছে। কোন এলকায় ১শ মদ্যপ থাকলেই সেখানে মদের ডিলালেরও বৈধতা দেয়া হয়েছে। যা দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর আবেগ-অনুভূতি, বোধ-বিশ্বাস, তাহজীব-তামুদ্দন, সমাজ-সংস্কৃতির পরিপন্থী এবং রাষ্ট্রীয় সংবিধানের গুরুতর লংঘন। এভাবে কোন স্বাধীন, সভ্য ও গণতান্ত্রিক সমাজ চলতে পারে না।
তিনি বলেন, সরকারের লাগামহীন দুর্নীতি, লুটপাট ও উপর্যুপরি ব্যর্থতার কারণে দেশে এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য ও খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর থাকলেও সরকারের নির্লিপ্ততা ও উদাসীনতার কারণে এসব এখন রীতিমত ‘সাক্ষী গোপাল’ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। ফলে বাজারের ওপর সরকারের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। মূলত, বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ি ও বাজার সিন্ডিকেট।
এমতাবস্থায় সরকারের উপযুপরি ব্যর্থতা ও মদের ওপেন লাইসেন্স দেয়ার প্রতিবাদে জামায়াতে ইসলামী রাজধানীর থানায় থানায় বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিলে সরকার গণআন্দোলনে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে জনগণের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির ওপর হামলা, মামলা ও গ্রেফতার চালিয়ে সুস্থ্যধারার গণতান্ত্রিক চর্চায় বিঘ্ন সৃষ্টি করছে। যা সরকারের অগতান্ত্রিক, অসাংবিধানিক, ফ্যাসীবাদী ও বাকশালী মানসিকতার পরিচয় বহন করে। তিনি জনগণের শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধা প্রদান বন্ধ, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও মদের লাইসেন্স বাতিলের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান। অন্যথায় জনগণ জনদাবি রাজপথেই আদায় করবে-ইনশাআল্লাহ। মহানগরী আমীর সকল বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার বলে সকল শ্রেণির জনগণকে রাজপথে আপোষহীন থাকারও আহবান জানান।