বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের হাতিরঝিল পূর্ব থানার প্রবীণ রুকন, বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন, সমাজসেবক, শিক্ষানুরাগী ও মরহুম মাওলানা আব্দুর রহীম (রহ.) এর জামাতা হাফেজ মাওলানা আব্দুল লতিফ আজ ভোরে ধানমন্ডি ইবনে সিনা হাসপাতালে ইন্তিকাল করেছেন-ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। তিনি দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত অসুস্থতাসহ নানাবিধ শারিরীক জটিলতায় ভূগছিলেন। মৃত্যুকালে ৩ পুত্র ও ৩ কন্যাসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
আজ বাদ জোহর নয়াটোলা কামিল মাদরাসা মসজিদে মরহুমের নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। জানাযা পূর্ব অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। উপস্থিত ছিলেন হাতিরঝিল পূর্ব ও পশ্চিম থানা আমীর যথাক্রমে এ্যাভোকেট জিল্লুর রহমান ও মু. আতাউর রহমান সরকার, উভয় থানার সেক্রেটারি যথাক্রমে খন্দকার রুহুল আমীন ও ইউসুফ আলী মোল্লা, হাজী নাসির উদ্দীন সরকার, মাদরাসার প্রিন্সিপাল ও সোসাইটির সভাপতি ওয়ালী উল্লাহ হেলালী, সেক্রেটারি এরশাদ উল্লাহ চৌধুরী, নাজমুল হক আলিম মাদরসার অধ্যক্ষ মাওলানা লোকমান হাকিমসহ বিপুল সংখ্যক সাধারণ জনগণ। মরহুমের জানাযা নামাজে ইমামতি করেন মরহুমের বড় জামাতা। পরে মরহুমের লাশ ঢাকার আজিমপুর গোরস্তানে দাফন করা হয়।
শোকবাণী
হাফেজ মাওলানা আব্দুল লতিফের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
এক শোকবাণীতে মহানগরী উত্তর আমীর বলেন, হাফেজ মাওলানা আব্দুল লফিতরে মৃত্যুতে আমরা একজন প্রবীণ আলেমে দ্বীন, ইসলামী আন্দোলনের অকুতোভয় সৈনিক ও সম্মুখযোদ্ধাকে হারালাম। তিনি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত দাঈ ইলাল্লাহর পথে নিবেদিত ছিলেন। মরহুম দেশকে ইসলামী আদর্শের ভিত্তিতে কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করার স্বপ্ন দেখতেন এবং সে লক্ষ্যেই তিনি তার সকল কর্মপ্রচেষ্টাকে কাজে লাগানোর প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজসেবী ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি। মরহুম প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই নয়াটোলা কামিল মাদরাসার সাথে জড়িত ছিলেন এবং মাদরাসার সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে ইসলামী আন্দোলনে যে শূণ্যতা সৃষ্টি তা সহজেই পূরণীয় নয়। মহানগরী আমীর মরহুমের নেক আমলগুলোকে কবুল করে নিয়ে তাকে জান্নাতে উচ্চ মর্যাদা দানের জন্য মহান আল্লাহ তায়ালার দরকারে দোয়া করেন, তার শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং তাদের ধৈর্য ধারণের তাওফিক কামনা করেন।