বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি লস্কর মোঃ তসলিম বলেছেন, সরকার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে রাজনৈতিক ও আদর্শিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে চরম প্রতিহিংসা এবং নির্মম দলন-পীড়নের পথ বেছে নিয়েছে। সে ধারাবাহিকতায় সকল মামলায় জামিন পাওয়ার পরও সম্পূর্ণ বেআইনী ও অযৌক্তিকভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারকে জেলগেইট থেকে পুনরায় গ্রেফতার করে সরকার অগণতান্ত্রিক ও ফ্যাসীবাদী মানসিকতার পরিচয় দিয়েছে। কিন্তু গ্রেফতার করে, জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে অতীতে জামায়াতের অগ্রযাত্রাকে রোধ করা যায়নি; আর কখনো যাবেও না। তিনি মিয়া গোলাম পরওয়ারকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।
আজ রাজধানীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত জেল গেইট থেকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে ও অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এক তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে এসব কথা বলেন। সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য জিয়াউল হাসান, শুরা সদস্য আব্দুল মতিন খান ও ছাত্রনেতা আব্দুর রহীম প্রমূখ।
লস্কর তসলিম বলেন, গণবিচ্ছিন্ন সরকার সুশাসন প্রতিষ্ঠার পরিবর্তে একযুগেরও অধিককাল ধরে অপশাসন-দুঃশাসন চালিয়ে যাচ্ছে। দেশে খুন, গুম, অপহরণ, গুপ্তহত্যা, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের মহোৎসব চলছে। সরকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তার পরিবর্তে নিজেরাই জননিরাপত্তায় বিঘ্ন সৃষ্টি করছে। দেশে মূল্যপরিস্থিতি এখন সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। কথিত সার্চ কমিটির নামে দেশে নতুন তামাশা শুরু হয়েছে। তারা আবারও সাজানো ও পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চায়। কিন্তু সচেতন জনতা সরকারের সে যড়যন্ত্র কখনোই বাস্তবায়িত হতে দেবে না বরং রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি আদায় করেই ছাড়বে। তিনি কেয়ারটেকার সরকারের গণদাবি আদায়ের লক্ষ্যে দলমত নির্বিশেষ সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান এবং অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, মাওলানা রফিকুল ইসলাম, অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহ ও ইয়াসিন আরাফাতসহ সকল রাজনৈতিক নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।