বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেছেন, ইসলামী আন্দোলন থেকে অব্যাহতি বা ছুটি নেয়ার কোনো সুযোগ নেই বরং জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কর্মীদের দ্বীনকে বিজয়ী ও উচ্চকিত করার লক্ষ্যে সর্বাত্মক সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।
তিনি বৃহত্তর আন্দোলনে নবাগতদের স্বাগত ও শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন এবং সর্বোচ্চ কুরবানি নজরানা পেশ করে দ্বীনের পথে অকুতোভয় সৈনিক হিসাবে ময়দানে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
শনিবার রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত ছাত্র আন্দোলনের সদ্য বিদায়ী দায়িত্বশীলদের বৃহত্তর আন্দোলনে বরণ অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিমের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমির আব্দুর রহমান মুসা, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি, লস্কর মো: তসলিম, মাহফুজুর রহমান, নাজিম উদ্দীন মোল্লা ও ডা: ফখরুদ্দীন মানিক, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি হাফেজ রাশেদুল ইসলাম, সদ্য বিদায়ী কেন্দ্রীয় সভাপতি সালাহউদ্দীন আইয়ুবী ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য জামাল উদ্দীন প্রমুখ।
সেলিম উদ্দিন বলেন, দ্বীনই আমাদের জীবনোদ্দেশ্য। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের ওপর দ্বীন কায়েমকে অত্যাবশ্যক বা ফরজ করে দিয়েছেন। যা অন্যান্য নবী-রাসূলগণের ওপর একই ভাবে ফরজ করা হয়েছিল।
কালামে হাকীমের সুরা শূরার ১৩নং আয়াতে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন, ‘তিনি তোমাদের জন্যে দ্বীনের ক্ষেত্রে সে পথই নির্ধারিত করেছেন, যার আদেশ দিয়েছিলেন নূহকে, যা আমি প্রত্যাদেশ করেছি আপনার প্রতি এবং যার আদেশ দিয়েছিলাম ইব্রাহীম, মূসা ও ঈসাকে এই মর্মে যে, তোমরা দ্বীনকে প্রতিষ্ঠিত কর এবং তাতে অনৈক্য সৃষ্ট করো না। আপনি মুশরেকদেরকে যে বিষয়ের প্রতি আমন্ত্রণ জানান, তা তাদের কাছে দুঃসাধ্য বলে মনে হয়। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা মনোনীত করেন এবং যে তার অভিমুখী হয়, তাকে পথ প্রদর্শন করেন।’ তাই ভেদাভেদ ভুলে দ্বীন প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
তিনি বলেন, মূলত গোটা বিশ্বেই ইসলামী আন্দোলনের ক্রান্তিকাল চলছে। আমাদের দেশে ইসলামী আন্দোলনের ওপর জুলুম-নির্যাতন ও শীর্ষনেতৃবৃন্দকে হত্যা সে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতারই অংশ। কিন্তু অতীতে কোনো জুলুম-নির্যাতনই স্থায়িত্ব লাভ করেনি বরং সকল অন্ধকার ভেদ করেই ইসলাম বিজয়ী আদর্শ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাই ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের আন্দোলনের বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে নিজেদের কর্মপন্থা নির্ধারণ করতে হবে। কোনো ক্ষেত্রেই আবেগ নির্ভরতা নয় বরং প্রজ্ঞা ও বুদ্ধিমত্তার সাথে আন্দোলনকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে। নতুন শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নিজেদের যোগ্যতর করে গড়ে তোলার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। তাহলেই দ্বীনকে বিজয়ী করা সম্ভব হবে। তিনি ইসলামী আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য নবাগতদের ময়দানে সর্বশক্তি নিয়োগ করে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান।