করোনায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে ভ্যান গাড়ী, রিকশা, সেলাই মেশিন ও অন্যান্য সহায়তা প্রদান করেছে ঢাকা মহানগরী উত্তরের হাতিরঝিল পশ্চিম সাংগঠনিক থানা।
শনিবার সকালে রাজধানীর মগবাজারের একটি মিলনায়তনে উপকরণ বিতরণ কার্যক্রমে অনলাইনে সংযুক্ত থেকে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর জনাব মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিসে শুরা সদস্য ও হাতিরঝিল থানা পশ্চিম-এর আমীর মু. আতাউর রহমান সরকারের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মোঃ ইউছুফ আলী মোল্লার পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও হাতিরঝিল অঞ্চল পরিচালক মো. হেমায়েত হোসেন। এতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, থানা কর্মপরিষদ সদস্য আবু তানজিল,মো. রাশেদুল ইসলাম ও সাবেক ছাত্রনেতা কলিম উল্লাহ,আ.বাছির প্রমুখ।
বাংলাদেশের সংবিধানের ৩২ নং অনুচ্ছেদে “আইনানুযায়ী ব্যতীত জীবন ও ব্যক্তি-স্বাধীনতা হইতে কোন ব্যক্তিকে বঞ্চিত করা যাইবে না” উল্লেখ থাকলেও আজকের বাংলাদেশের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই, আমাদের সব অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। এমনকি দেশে হাসি কান্নার অধিকারও নাই। সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, আমরা কেউ আজ ভালো নেই, আজকে স্বাধীন দেশের মানুষ কর্মের জন্য বিদেশ পাড়ি দিতে গিয়ে সমুদ্রে আত্মাহুতি দিচ্ছে। এমতাবস্থায় আমাদেরকে অধিকার আদায়ে সোচ্চার হতে হবে।
জামায়াতে ইসলামীর মতো গণতান্ত্রিক ও নিয়মতান্ত্রিক দলের কেন্দ্রীয় ও মহানগরী এবং জেলা অফিসগুলো ২০১১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে জোরপূর্বক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ১১ বছর ধরে খুলতে দেয়া হচ্ছে না।আমরা স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে অফিসগুলো দ্রুত খুলে দেয়ার আহবান জানাই নতুবা জনতার অফিস জনতাই খুলবে।
তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে যারা দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছে কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া প্রত্যেকেই নিজেদের উন্নতি করেছে, পরিবারের উন্নতি করেছে, নিজ দলের উন্নতি করেছে। বর্তমান ক্ষমতাসীনদের দায়িত্ব ছিল করোনা পরবর্তী সময়ে জনগণের পাশে দাঁড়ানো। কিন্তু তারা তা না করে তাদের নেতা-কর্মীদের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বরাদ্দের টাকা ও সহায়তাগুলো লুটেপুটে খেয়েছে। এ সরকার মানুষের জন্য কিছুই করতে পারেনি। এ জাতির ভাগ্যের উন্নয়নে কোন কাজ করেনি তারা।
সিটি আমীর বলেন, আমরা এমন একটা বাংলাদেশ দেখতে চাই, যেখানে নেতৃত্বে থাকবে যোগ্য ইসলামী আদর্শের অনুসারীগণ। জামায়াতে ইসলামী সৎ যোগ্য নেতৃত্ব তৈরীর জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা সাম্য, শান্তি ও ঐক্যের জয়গান গেয়ে যাবো। যে কোনো দুর্যোগে জামায়াত কর্মীরা মানুষের পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে। জামায়াত সরকার গঠন করলে যাকাত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানুষের কল্যাণে কাজ করবে ইনশাআল্লাহ। ক্ষুধা দারিদ্রমুক্ত কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করবে।