বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, সরকার দেশ পরিচালনায় সার্বিকভাবে ব্যর্থ হয়েছে। সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি না পেলেও লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে বাজার মূল্য। গত একমাসে প্রায় ১৯.৬৪% বেড়ে গেছে নিত্যপণ্যের দাম। ফলে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তিনি অনতিবিলম্বে মূল্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে নিত্যপণ্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।
তিনি আজ সকালে রাজধানীর মিরপুর গোলচত্বরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতির প্রতিবাদে ও মূল্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের দাবিতে এক বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে এসব কথা বলেন। বিক্ষোভ মিছিলটি মিরপুর-১ গোলচত্বর থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে টেকনিক্যাল মোড়ে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি লস্কর মোহাম্মদ তসলিম, মাহফুজুর রহমান, নাজিম উদ্দীন মোল্লা ও ডাঃ ফখরুদ্দীন মানিক, মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, মজলিসে শুরা সদস্য জিয়াউল হাসান, মু.আতাউর রহমান সরকার, ডা.মঈনুদ্দীন, ঢাকা মহানগরী উত্তরের শিবির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ও পশ্চিম সভাপতি সাব্বির আহমেদ প্রমূখ।
ড. এম আর করিম বলেন, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের বিচ্যুতি, সুশাসনের অভাব ও আইনের ভঙ্গুর প্রয়োগের কারণেই বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। সরকারের ভিতরে থাকা এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী, মজুদদার ও বাজার সিন্ডিকেট সার্বিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়েছে। এতে মানুষের জীবন-যাপন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে প্রায় ৬.৮৮%। যা জনজীবনকে রীতিমত বিপর্যস্ত করে তুলেছে। অথচ সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলেই জনগণের জন্য তাদের কোন দায়বদ্ধতা নেই। তাই গণমানুষের সকল সমস্যা সমাধানের জন্য জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তিনি গণপ্রতিনিধিত্বশীল ও দেশপ্রেমিক সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।