বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রিয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর জননেতা মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেছেন, আমাদের সেবার পরিধি চাহিদার আলোকে আরো বাড়িয়ে মানুষের দোড়গোড়ায় হাজির হতে হবে। যেখানেই মানুষ অসহায় সেখানেই সেবা নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। একই সাথে ইসলামের শ্বাসত দাওয়াত জনগণের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। তিনি বলেন লকডাউনসহ বিভিন্ন কারণে দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ কর্ম ও আয় রোজগারহীন হয়ে পড়েছেন। এই অবস্থায় সরকারের নেয়া উদ্যোগ মোটেও আশাব্যঞ্জক নয়। তাই অসহায় মানুষকে বাঁচানোর তাগিদে আমাদেরকেই উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের সামান্য প্রচেষ্টায় যদি এসব মানুষের মুখে হাসি ফোটে এর বিনিময়ে আল্লাহ আমাদের নাজাত দিয়ে দিতে পারেন। তিনি রাজধানীর প্রবেশদ্বার গাজীপুর মহানগরকে ইসলামী আদর্শের আলোকে ঢেলে সাজানোর জন্য ইসলামী আন্দোলনের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান।
গাজীপুর মহানগর জামায়াত আয়োজিত ভার্চুয়াল ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন। রোববার রাতে মহানগর জামায়াতের আমীর ও কেন্দ্রিয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ এসএম সানাউল্লাহর সভাপতিত্বে ও নগর সেক্রেটারি মোঃ খায়রুল হাসানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের আমীর কেন্দ্রিয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান, সিলেট মহানগর আমীর ও কেন্দ্রিয় শূরা সদস্য মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রিয় সভাপতি সালাহউদ্দিন আইউবী। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন গাজীপুর মহানগর জামায়াতের নায়েবা আমীর অধ্যাপক মোঃ জামালউদ্দিন। প্রবাস থেকে অংশ নেন মোঃ গোলজার মোল্লা ও আলমগীর হোসেন রনি। রঙ্গন সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংসদের শিল্পীরা কুরআন তিলাওয়াত ও ইসলামী সংগীত পরিবেশন করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাওলানা শাহজাহান বলেন, ঈদুল আযহা ও কুরবানি থেকে শিক্ষা নিয়ে ইসলামী আন্দোলনের প্রতিটি নেতা-কর্মীকে হযরত ইবরাহীম (আ.) ও তার পরিবারের সদস্যদের মতো জানবাজ ভুমিকা পালন করতে হবে। বিশেষ অতিথি মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেন, যে আদর্শ প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করতে যেয়ে আমাদের নেতৃবৃন্দ শান্তচিত্তে হাসিমুখে ফাঁসির মঞ্চে গিয়েছেন সেই ইসলামী আদর্শের বিজয়ের জন্য প্রয়োজনে আমরাও রক্ত ঢেলে দেবো। শিবির সভাপতি সালাহউদ্দিন আইউবী বলেন, সরকারের অদূরদর্শী সিদ্ধান্তে তরুণ শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। ইসলামী নৈতিকতার প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকে রক্ষা করতে হবে। ইসলামী ছাত্রশিবির সেই প্রচেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যক্ষ এসএম সানাউল্লাহ করোনা পরিস্থিতিতে আমীরে জামায়াতের নির্দেশনার আলোকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বজায় রেখে ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য সকল নেতা-কর্মীর প্রতি আহ্বান জানান। তিনি করোনাকালীন যারা ইন্তেকাল করেছেন তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন ও অসুস্থ ভাই-বোনদের সুস্থতা কামনা করেন। তিনি সকল সামর্থবান ব্যক্তির প্রতি এই কঠিন সময়ে অসহায় মানবতার পাশে দাঁড়ানোর উদাত্ত আহ্বান জানান।