বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহা. রেজাউল করিম বলেছেন, মুসলমানদের প্রথম কিবলাহ পবিত্র আল আকসাহ মসজিদে দখলদার ইসরাইলী বাহিনীর হামলা আইয়্যামে জাহেলিয়াতের নিষ্ঠুরতাকেও হার মানিয়েছে। ইহুদীবাদীরা গাজা নগরীর বেসামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়ে এখন পর্যন্ত দুই শতাধিক ফিলিস্তিনীকে নির্মমভাবে শহীদ করেছে। এদের অর্ধেকই নারী, শিশু ও বৃদ্ধ। তিনি ইহুদীবাদী সন্ত্রাসীদের এই বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং অবিলম্বে হামলা বন্ধের জোর দাবি করেন। অন্যথায় বিশ্ব উম্মাহ আল আকসাহ মসজিদের পবিত্রতাসহ নিজেদের আত্মরক্ষায় যেকোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বাধ্য হবে।
তিনি আজ রাজধানীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত পবিত্র আল আকসাহ মসজিদে ইসরাইলী বাহিনীর বর্বোরোচিত হামলা ও ফিলিস্তিনে নির্বিচারে গণহত্যার প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে হামলা বন্ধের দাবিতে এক বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে এসব কথা বলেছেন। বিক্ষোভ মিছিলটি মিরপুর ১ নং থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। বিক্ষোভে মিছিলে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি লস্কর মোহাম্মদ তসলিম, নাজিম উদ্দীন মোল্লা ও ডা. ফখরুদ্দীন মানিক, ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ, জামাল উদ্দীন ও ইয়াছিন আরাফাত, শিবিরের ঢাকা মহানগরী পশ্চিমের সেক্রেটারি সাব্বির আহমদ ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সেক্রেটারি মাসুদুর রহমান রহমান প্রমূখ।
ড. এম আর করিম বলেন, অবৈধভাবে জন্মলাভের পর থেকেই ইসরাইল ফিলিস্তিনসহ মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে আসছে। তারা আবরের অনেক ভূখন্ডই জবরদখল করে দখলদারিত্ব অব্যাহত রেখেছে। তারা পবিত্র নগরী জেরুজালেমকে নিজেদের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা মুসলমানদের মনে ঘৃণা ও ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে ইসরাইলী বর্বরতা আগের তুলনায় বেড়েছে। পবিত্র রমজান মাসে নামাজ আদায়ের সময় বর্বর বাহিনী মুসল্লীদের ওপর হামলা চালিয়ে নিজেদের বিভৎস ও কদাকার চেহারা বিশ্ববাসীর কাছে স্পষ্ট করেছে। তারা হাজার হাজার ফিলিস্তিনীকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেছে। তাদের নির্মমতা থেকে রেহাই পাননি নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা। যা যুদ্ধাপরাধের শামিল। তাই এই অপশক্তির বিরুদ্ধে মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
তিনি বলেন, মূলত ইসরাইলী ইহুদীরা এখন বিশ্ব শান্তির জন্য এখন প্রধান হুমকী। এই অপশক্তিই এখন মধ্যপ্রাচ্যকে অস্থির ও আশান্ত করে রেখেছে। তাই এই সন্ত্রাসী ও দখলদারদের বিরুদ্ধে বিশ্ববাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সময় এসেছে। তিনি অবিলম্বে দখলদার বাহিনীর হামলা বন্ধ ও ফিলিস্তিনীদের জানমাল রক্ষায় জাতিসংঘ, কমনওয়েলথ, আবরলীগ, ওআইসি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্ব পরাশক্তিগুলোকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান। অন্যথায় মুসলমনা নতুন জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেবে।