বিশ্ব ইসলামী আন্দোলনের অন্যতম সিপাহসালার ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর বর্ষীয়ান জননেতা মকবুল আহমাদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
এক শোকবাণীতে মহানগরী আমীর বলেন, মরহুম মকবুল আহমাদ ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের কিংবদন্তীতূল্য প্রবাদ পুরুষ। তার গতিশীল ও প্রজ্ঞাপূর্ণ নেতৃত্বে ইসলামী আন্দোলন অনেক কঠিন সময় সফলতার সাথে অতিক্রম করেছে। তিনি আল্লাহর আইন ও সৎলোকের শাসনের ভিত্তিতে দেশকে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য নিজের জীবনের সবকিছুই উৎসর্গ করেছেন। দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য তার এই ত্যাগ ও কোরবানী ইসলামী আন্দোলনের ইতিহাসে চিরঅম্লান-চিরভাষ্মর হয়ে থাকবে। তার মৃত্যুতে বিশ্ব ইসলামী আন্দোলনে যে শূণ্যতার সৃষ্টি হয়েছে তা কখনোই পূরণীয় নয়।
তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলনের এই প্রাণ পূরুষ বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী। মরহুম ১৯৬২ সালে জামায়াতে যোগদান এবং ১৯৬৬ সালে রুকন হন। ১৯৬৭ সালে তিনি ফেনী শহর আমীর, ১৯৬৮ সালে মহকুমা আমীর এবং ১৯৭০ সালে নোয়াখালী জেলা আমীরের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭০ সালে প্রাদেশিক পরিষদ এবং ১৯৮৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী ২ আসনে থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। মকবুল আহমাদ ১৯৭৯ সালে জামায়াতের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, ১৯৮৯ সালে সহকারি সেক্রেটারী জেনারেল এবং ২০০৩ সালে নায়েবে আমীর মনোনীত হন। ২০১০ সালে তৎকালীন আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী গ্রেফতার হলে মরহুম ভারপ্রাপ্ত আমিরের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০১৬ সালের ১৭ অক্টোবর তিনি জামায়াতে ইসলামীর তৃতীয় আমীর হিসেবে নির্বাচিত হন এবং ২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি সফলতার সাথে এই মহান দায়িত্ব পালন বাংলাদেশের ইসলামী আন্দোলনকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।
তিনি বলেন, মরহুম আজীবন একজন দায়ী ইলাল্লাহ হিসাবে ইসলামী আন্দোলনের সংকটময় সন্ধিক্ষণে জাতির কাণ্ডারীর দায়িত্ব পালন করেন। তার বিনয়, নম্রতা ও চরিত্রমাধুর্য্য তাকে অনন্য সাধারণ মর্যাদায় সমাসীন করেছে। মহানগরী আমীর তার দেশ, জাতি ও ইসলামের জন্য খেদমত এবং নেক আমলগুলোকে কবুল করে নিয়ে তাকে শহীদের মর্যাদা দেয়ার জন্য মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে দোয়া করেন এবং মরহুমের শোকাহত পরিবারের সদস্য ও শোক সন্তপ্ত ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।