বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেছেন, রহমত, মাগফিরাত ও জাহান্নাম থেকে মুক্তির মহাবারতা নিয়ে আবারও আমাদের মাঝে ফিরে আসছে পবিত্র মাহে রমযান। কালামে হাকীমে ঘোষণা করা হয়েছে, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর সিয়াম পালনকে অত্যাবশ্যকীয় করে দেয়া হয়েছে; যেমন তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর অত্যাবশ্যকীয় করা হয়েছিল। যেন তোমরা আল্লাহভীতি অর্জন করতে পার’। কিন্তু দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতির কারণে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য সিয়াম পালন রীতিমত কষ্টদায়ক হয়ে পড়ে। তাই আমরা এসব সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সিয়াম পালনে সহযোগিতার জন্য সীমিত সামর্থ নিয়ে এগিয়ে এসেছি। তিনি আসন্ন রমজান মাসে সিয়াম-কিয়াম পালন ও দান সাদকাহর মাধ্যমে আল্লাহ নৈকট্য লাভের চেষ্টা করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।
তিনি আজ রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের হাতিরঝিল থানা পশ্চিম আয়োজিত আসন্ন পবিত্র মাহে রমযান উপলক্ষে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। থানা সেক্রেটারি ইউসুফ আলী মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য হেমায়েত হোসাইন ও উলামা বিভাগের ঢাকা মহানগরী উত্তরের সভাপতি ড. মাওলানা হাবিবুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন থানা কর্মপরিষদ সদস্য আবু তানজিল, আব্দুস সাত্তার, আবু সাঈদ মন্ডল, গোলাম মাওলা ও রাশেদুল ইসলাম প্রমূখ।
সেলিম উদ্দিন বলেন, পবিত্র মাহে রমযান কুরআনের মাস; ক্বদরের মাস। এই মাসে বিশ^মানবতার মুক্তির সনদ মহাগ্রন্থ আল কুরআন নাযিল হয়েছিল। এই মাসে পবিত্র লাইলাতুল ক্বদর নামে এক মোবারক রাত রয়েছে। যা এক হাজার রাতের চেয়ে উত্তম। হাদিসে কুদসীতে এসেছে, আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, রোজা আমার জন্য। আর আমিই রোজাদারদের যথাযথ প্রতিদান প্রদান করবো। অন্য হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, সে ব্যক্তি ধ্বংস হোক; যে রমযান মাস পেল অথচ সে তার গোনাহ মাফ করে নিতে পারলো না। তাই আমাদেরকে মাহে রমজানের কল্যাণকে যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে তাক্বওয়া এবং তাযকিয়া অর্জনের প্রচেষ্টা চালাতে হবে। তিনি আর্ত-মানবতার সেবায় সমাজের বিত্তশালী ও স্বচ্ছল লোকদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।