বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, বিক্ষুব্ধ ও ধর্মপ্রাণ জনতার ওপর সরকারের লেলিয়ে দেয়া পুলিশ ও সরকারি দলের সন্ত্রাসীদের যুগপৎ হামলা ও নির্বিচারের গুলী চালিয়ে হত্যার মাধ্যমে সরকারের দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে রক্তাক্ত ও কলঙ্কিত করেছে। তারা আধিপত্যবাদী শক্তির পদলেহন করে অবৈধ ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করতে চায়। কিন্তু গণতন্ত্রপ্রিয় তৌহিদী জনতা সরকারের সে ষড়যন্ত্র কখনো সফল হতে দেবে না বরং শহীদানের রক্তের পথ ধরেই ফ্যাসীবাদী ও স্বৈরাচারি সরকারের পতন হবে-ইনশাআল্লাহ।
তিনি আজ রাজধানীতে বায়তুল মোকাররাম জাতীয় মসজিদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হাটহাজারী মাদরাসাসহ সারাদেশে বিক্ষুব্ধ ইসলাম প্রিয় জনতার ওপর নির্বিচারে হামলা ও ৭ ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে ও অবিলম্বে ঘটনা তদন্তে বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে দায়িদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এক বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে এসব কথা বলেন। বিক্ষোভ মিছিলটি রামপুরা টিভি কেন্দ্রের সামনে থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরীর সহকারি সেক্রেটারি লস্কর মোহাম্মদ তসলিম, মাহফুজুর রহমান, নাজিম উদ্দীন মোল্লা ও ডা. ফখরুদ্দীন মানিক, ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য ইয়াছিন আরাফাত, মজলিস শূরা সদস্য মু. আতাউর রহমান সরকার, ফজলে আহমেদ ফজলু ও কুতুব উদ্দীন প্রমূখ।
ড. রেজাউল করিম বলেন, স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ ও সভাসমাবেশ করা জনগণের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু বর্তমান সরকার জনগণের সে সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নিয়ে দেশকে নতুন আঙ্গিকে বাকশালী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। তারা জনগণের মৌলিক ও রাজনৈতিক অধিকার কেড়ে নিয়ে দেশে এক ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। দেশে আইনের শাসন নেই। এমতাবস্থায় দেশের শান্তিপ্রিয় ও আত্মসচেতন মানুষ কোন ভাবেই নির্লিপ্ত থাকতে পারে না। তিনি জুলমবাজ সরকারের অগণতান্ত্রিক, স্বৈরতান্ত্রিক ও অন্যায় আচরণের বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে হয়ে সরকার পতনের আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহবান জানান।