‘বাইতুল মোকাররাম মসজিদসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষুব্ধ জনতার ওপর পুলিশ ও সরকার দলীয় ক্যাডারদের যুগপৎ হামলা এবং পুলিশের গুলিতে চট্টগ্রামে ৪ জন, ঢাকায় ২ জন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১ জনসহ মোট ৭ জন লোক নিহতের ঘটনায় সরকারের ফ্যাসীবাদ ও স্বৈরতান্ত্রিক মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ’ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দীন। তিনি আজ বাইতুল মোকাররাম জাতীয় মসজিদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হাটহাজারী মাদরাসায় বিক্ষুব্ধ জনতার ওপর নির্বিচারে হামলা ও ৭ জন লোককে হত্যার প্রতিবাদে ও ঘটনা তদন্তে বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন এবং দায়িদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
মহানগরী আমীর বলেন, স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ ও সভাসমাবেশ করা জনগণের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু বর্তমান সরকার জনগণের সে সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নিয়ে দেশকে নতুন আঙ্গিকে বাকশালী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। তারা জনগণের মৌলিক ও রাজনৈতিক অধিকার কেড়ে নিয়ে দেশে এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। দেশে আইনের শাসন নেই। তিনি জুলমবাজ সরকারের অগণতান্ত্রিক, স্বৈরতান্ত্রিক ও অন্যায় আচরণের বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিবাদ মুখর হওয়ার আহবান জানান। মহানগরী আমীর পুলিশের নৃশংস হামলায় নিহতদের শহীদ হিসাবে কবুল করার জন্য রাব্বুল আলামীনের দরবারে দোয়া এবং নিহতদের পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের প্রতি গভীর সমবেদনাও জ্ঞাপন করেন।