বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেছেন, গণমানুষের কল্যাণ ও মুক্তির জন্য দেশকে ন্যায়-ইনসাফের ভিত্তিতে কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করা জামায়াতের মূল উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য। সে লক্ষ্যের পৌঁছার জন্য আমরা দীর্ঘদিন আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছি। একই সাথে আমরা সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের যেকোন সমস্যায় তাদের পাশে থাকার সাধ্যমত চেষ্টা করেছি। তিনি সুবিধাবঞ্চিত মানুষের দুর্দশা লাঘবে সকলকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান।
তিনি গতরাতে রাজধানীর বানানী এলাকা সফরকালে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে মতবিনিয়ময় সভায় এসব কথা বলেন। থানা আমীর মোঃ মিজানুর রহমান খানের সভাপতিত্বে ও থানা সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুর রাফীর পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ডা. মুহাম্মদ ফখরুদ্দীন মানিক। উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা মোঃ তাজুল ইসলাম, মোঃ নেয়ামতুল্লাহ ও মোঃ আজিমউদ্দীন প্রমূখ। পরে মহানগরী আমীর স্থানীয় জামায়াত নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে রাস্তার পাশে ঘুমিয়ে থাকা শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল উপহার দেন এবং তাদের সাথে কথা বলেন।
সেলিম উদ্দিন বলেন, মানবতার পরিপূর্ণ কল্যাণ ও মুক্তি নিহিত রয়েছে, আল্লাহ তায়ালার একনিষ্ঠ দাসত্ব, পরকালে বিশ্বাস এবং আল্লাহ প্রতি ভালবাসায় উদ্বুদ্ধ হয়ে মানুষকে ভালবাসার মধ্যে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা কালামে পাকে ঘোষণা করেছেন, সৎকর্ম শুধু এই নয় যে, পূর্ব কিংবা পশ্চিমদিকে মুখ করবে বরং বড় সৎকাজ হল এই যে, ঈমান আনবে আল্লাহর উপর, প্রতিফল দিবসের উপর, ফেরেশতাদের উপর এবং সমস্ত নবী-রসূলগণের উপর। আর সম্পদ ব্যয় করবে তাঁরই মহব্বতে আত্নীয়-স্বজন, এতীম-মিসকীন, মুসাফির-ভিক্ষুক ও মুক্তিকামী ক্রীতদাসদের জন্যে। আর যারা নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত দেয় এবং যারা কৃত প্রতিজ্ঞা সম্পাদনকারী এবং অভাবে, রোগে-শোকে ও যুদ্ধের সময় ধৈর্য্য ধারণকারী তারাই হল সত্যাশ্রয়ী, তারাই পরহেযগার। (সুরা বাকারা, আয়াত-১৭৭)
তিনি বলেন, রাজনীতি কোন ভোগের বিষয় নয় বরং আর্ত-মানবতার কল্যাণের ধারণা থেকেই রাজনীতির পথচলা শুরু হয়েছে। কিন্তু রাজনীতির একশ্রেণির উচ্চাভিলাষী পাত্রমিত্রদের কারণেই আমাদের দেশের রাজনীতির লক্ষ্যচ্যুতি ঘটেছে। রাজনীতি হারিয়ে ফেলেছে আপন গতিপথ এবং গণমুখী চরিত্র। জামায়াতে ইসলামী প্রচলিত নেতিবাচক রাজনীতির বিপরীতে কল্যাণকামী ও উৎপাদনমুখী রাজনৈতিক ধারা প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দীর্ঘদিন থেকে। জামায়াত সবসময়ই অসহায় মানুষের পাশে ছিল, এখনো আছে এবং আগামী দিনেও থাকবে-ইনশা আল্লাহ। মূলত আমরা দেশকে সুখী, সমৃদ্ধ, আত্মর্ভিরশীল ও কল্যাণরাষ্ট্রে পরিণত করার নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। জামায়াতে ইসলামী এই কাজে সফল হলে এবং দেশকে কল্যাণরাষ্ট্রে পরিণত করতে পারলে রাষ্ট্রই জনগণের সকল সমস্যার সমাধান করবে। তিনি মানুষের ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তির জন্য সকলকে জামায়াতে ইসলামীর পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।