বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহা. রেজাউল করিম বলেছেন, রাজধানী ঢাকা সহ দেশেই রহস্যজনক অগ্নিকান্ডের ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে নগরীর বস্তিগুলোতে এ ধরনের ঘটনা বেশি ঘটছে। কোন ঘটনা ঘটার পর সরকারকে কিছুটা তৎপর মনে হলেও সংশ্লিষ্টদের আন্তরিকতার অভাবেই ঘটনার রহস্য উৎঘাটিত হচ্ছে না। এমতাবস্থায় অগ্নিদুর্গত মানুষের দুর্দশা লাঘবে আমরা আমাদের সীমিত সামর্থ নিয়ে এগিয়ে এসেছি। তিনি অগ্নিদুর্গতদের দুর্দশা লাঘবে এগিয়ে আসতে সরকার, সকল রাজনৈতিক দল, দাতা সংস্থা, সমাজের বিত্তবান মানুষ সহ নগরীর সবস্তরের দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি আজ রাজধানীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের পল্লবী থানা দক্ষিণের উদ্যোগে মিরপুর-১১ নাভানা টাওয়ারের পাশে আগুনে পোড়া বস্তিতে অগ্নিদুর্গতদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী ও শীতবস্ত্র বিতরণকালে এসব কথা বলেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ডা. ফখরুদ্দীন মানিক ও থানা আমীর আশরাফুল আলম সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানে ৯০ পরিবারের মধ্যে চাল, ডাল, আলু, পিয়াজ, লবন সহ শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।
রেজাউল করিম বলেন, দেশে অগ্নিদুর্ঘনা এখন নিত্তনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে পড়েছে। আর রাজধানীর বস্তিতেগুলোতে অগ্নিদুর্ঘটনা তো রীতিমত রহস্যজনক। সরকার দেশে প্রভূত উন্নয়ন হয়েছে বলে দাবি করলেও অগ্নিনির্বাপনে আধুনিক প্রযুক্তি আমাদের হাতে নেই। ফলে যেকোন ছোট দুর্ঘটনায়ও বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। এমতাবস্থায় অগ্নিদুর্ঘটনা রোধে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা জরুরি। অন্যথায় অগ্নিদুর্ঘটনা কোন ভাবেই রোধ করা যাবে না।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার সংগ্রামের লক্ষ্য ছিল গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা ও অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন। কিন্তু স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতেও জনগণ তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। দেশের সরকার গণমানুষের মৌলিক অধিকার এখনও নিশ্চয়তা দিতে পারেনি। সরকার নিজেদের রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ করার জন্যই দেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধ্বংস করে দিয়েছে। ফলে জনগণ তাদের ভোটের অধিকার হারিয়েছেন। তারা জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। অনিয়ন্ত্রিত হত্যাকান্ডে গোটা দেশই এখন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। জঠরজ্বালা মেটানোর জন্য মা তার তার সন্তানকে বিক্রি করে দিচ্ছেন। করোনা মহামারীর কারণে গোটা দেশেই মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হলেও সরকার তা সামাল দিতে পারেনি। এমনকি চিকিৎসার অভাবে চিকিৎসকরাও মারা যাচ্ছেন। গোটা পৃথিবীতে মানুষ যখন করোনা টিকা গ্রহণ করছে শুরু করেছেন তখন আমাদের টিকা প্রাপ্তির বিষয়ে অনিশ্চয়তা এখনো কেটে যায়নি। তিনি দেশের সকল নাগরিকের জন্য করোনা টিকা নিশ্চিত করতে সরকারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানান।