বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি লস্কর মোহাম্মদ তসলিম বলেছেন, এমসি কলেজ হোস্টেলে গৃহবধু ও সিলেটে ১৩ বছরের কিশোরী নিগ্রহের ঘটনার দাগ শুকাতে না শুকাতেই নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধুকে বিবস্ত্র করে বর্বরোচিত কায়দায় নির্যাতনের ঘটনা জাতির বিবেককে স্তম্ভিত করেছে। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার নিন্দা জানানোর ভাষাও জাতি হারিয়ে ফেলেছে। তিনি নোয়াখালীর নারী নির্যাতনের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং অবিলম্বে অপরাধীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার জোর দাবি করেন।
তিনি আজ রাজধানীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত নোয়াখালীতে গৃহবধু ধর্ষণ, নির্যাতন সহ সারা দেশে নারী ধর্ষণ এবং নির্যাতনের প্রতিবাদে এবং দোষীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এক বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে এসব কথা বলেন। বিক্ষোভ মিছিলটি মিরপুর-১ আল আরাফা ব্যাংকের সামনে থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন ও ডা. ফখরুদ্দীন মানিক, শ্রমিক কল্যাণের ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি এইচ এম আতিকুর রহমান, ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিশে শুরা সদস্য মু. আতাউর রহমান সরকার, এ্যাডভোকেট ইব্রাহিম খলিল, এ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান, নাসির উদ্দীন ও আব্দুল হান্নান, ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগরী উত্তরের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি মাসুদুর রহমান ও মহানগরী পশ্চিমের সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমূখ।
লস্কর তসলিম বলেন, নোয়াখালীর অনাকাঙ্খিত ঘটনা সেপ্টেম্বর মাসের শুরুর দিকের হলেও সম্প্রতি নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ফলে স্থানীয় প্রশাসনের সক্ষমতা ও আন্তরিকতা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে। অপরাধীরা এই গৃহবধুকে শুধু বিবস্ত্র বা সম্ভ্রমহানী করেই ক্ষান্ত হয়নি বরং সে ঘটনার ভিডিও তারা নিজেরাই ধারণ করে সভ্যতা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে লিপ্ত হয়েছে। মূলত বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণেই দেশে অপরাধ প্রবণতা ও নারী নির্যাতনের ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। তাই এদের হাত থেকে দেশ, জাতি ও নারীর সম্ভ্রম রক্ষা করতে হলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, দেশে যে নারী নির্যাতনের ঘটনা এখন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)এর সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে দেশে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৯শ ৭৫ জন নারী। বর্তমান সরকার নিজেদেরকে নারী বান্ধব হিসেবে দাবি করলেও এই সরকারের আমলেই নারী নির্যাতনের ঘটনা বেশি ঘটেছে। আর ছাত্রলীগ তো নারীর সম্ভ্রমহানীকে রীতিমত শিল্পে পরিণত করে ফেলেছে। তাই এদের হাত থেকে নারীর সম্ভ্রম এবং দেশ ও জাতিকে রক্ষা করতে হলে জুলুমবাজ সরকারের পতনের কোন বিকল্প নেই। তিনি ব্যর্থ সরকারের পতনের লক্ষ্যে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।