বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, মরহুম মাওলানা আব্দুস সুবহান ছিলেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন এবং খ্যাতিমান জাতীয় নেতা। তিনি ইসলামী আদর্শের ভিত্তিতে দেশে ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের অন্যতম সিপাহসালার ছিলেন। তিনি প্রশান্ত চিত্তে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সন্তষ্টি অর্জনের মাধ্যমে তার সান্নিধ্যে হাজির হয়েছেন। তাই তার এই মৃত্যু গৌরবের। তিনি মরহুম মাওলানার মাগফিরাত কামনা ও জান্নাতে আ’লা মাকাম দানের জন্য মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন।
তিনি আজ রাজধানীর একটি মিলনায়তেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত সাবেক নায়েবে আমীর মরহুম মাওলানা আব্দুস সুবহানের মাগফিরাত কামনায় দোয়া দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমীর আব্দুর রহমান মুসা, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহা. রেজাউল করিম, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি লস্কর মোহাম্মদ তসলিম ও মাহফুজুর রহমান, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন, নাজিম উদ্দীন মোল্লা, হেমায়াতে হোসাইন, ডা. ফখরুদ্দীন মানিক, অধ্যাপক আব্দুল করিম, মোস্তাফিজুর রহমান প্রমূখ।
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, সরকার সাজানো মামলা, পাতানো সাক্ষী ও দলীয় প্রসিকিউশনের মাধ্যমে এই বর্ষীয়ান আলমে দ্বীন ও দক্ষ পার্লামেন্টারিয়ানকে প্রাণদন্ডে দন্ডিত করেছে। মরহুম মাওলানা আব্দুস সোবহান বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অনন্য অবদান রেখে গেছেন। মরহুম ছিলেন একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিক। তিনি শিক্ষার উন্নয়ন ও প্রসারে অসংখ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। কিন্তু সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই তাকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগে দীর্ঘদিন করারুদ্ধ করে রেখেছিল। বয়োঃবৃদ্ধ এই বর্ষীয়ান রাজনীতিক কারাগারে নানাবিধ শারিরীক সমস্যায় ভুগেছেন। তার পরিবারের পক্ষে হাসপাতালে তার যথাযথ পরিচর্যা ও চিকিৎসা আবেদন জানানো হলেও তা বিবেচনায় নেয়া হয়নি। তাই মাওলানা আব্দুস সুবহানের শোককে শক্তিতে পরিণত করে তার অসাপ্ত কাজকে সমাপ্ত করতে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের নিরলসভাবে কাজ করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে সেলিম উদ্দিন বলেন, মরহুম মাওলানা আব্দুস সুবহান জাতির অভিভাবক ছিলেন। দীর্ঘ ১০ মাস মরহুমের সাথে কারা ভোগ করলেও ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত হওয়ার পরও তার মধ্যে কখনো পেরেশানী বা হতাশা লক্ষ্য করা যায়নি বরং সব সময় তাকে প্রাণবন্তই মনে হয়েছে। তিনি তার লক্ষ্যে দুর্বার ও আপোষহীন ছিলেন। একজন মর্দে মোমিনের যেসব গুণাবলী থাকা দরকার তার মধ্যে সবকিছুই প্রত্যক্ষ করা গেছে। মূলত প্রশান্ত আত্মার মূর্ত প্রতীক ছিলেন মাওলানা আব্দুস সুবহান। তিনি আল্লাহর প্রতি সন্তষ্ট থেকে আল্লাহর সন্তষ্টি অর্জনের মাধ্যমেই দুনিয়াতে থেকে সম্মানজনকভাবে দিবায় গ্রহণ করেছেন। তাই তার অসাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
পরিশেষে মরহুম মাওলানা আব্দুস সুবহান এর শাহাদাত কবুলের জন্য মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।