বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেছেন, ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের অবসর গ্রহণের সুযোগ নেই বরং জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তাদের মিশনে অবিচল থাকতে হবে। তাই ছাত্র আন্দোলন শেষ করার সাথে সাথেই মূল ধারার বৃহত্তর আন্দোলনে সম্পৃক্ত হতে হবে। তিনি বিদায়িদের শুভেচ্ছা জানান এবং বৃহত্তর আন্দোলনে শরীক হয়ে দ্বীনকে বিজয়ী করার প্রত্যয় গ্রহণের আহবান জানান।
তিনি আজ রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত ইসলামী ছাত্রশিবিরের সদ্য বিদায়ি কার্যকরী পরিষদ সদস্যদের নিয়ে এক প্রীতি সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমীর আব্দুর রহমান মুসা, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহা. রেজাউল করিম, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য নাজিম উদ্দীন মোল্লা ও ডা. ফখরুদ্দীন মানিক, শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত ও সদ্য বিদায়ি শিবির সভাপতি ড. মোবারক হোসাইন প্রমূখ।
সেলিম উদ্দিন বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয় বরং গোটা বিশ্বেই ইসলামী আন্দোলনের ক্রান্তিকাল চলছে। ইসলামী শক্তি যেখানেই মাথা তুলে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে সেখানেই ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের জন্য জুলুম-নির্যাতন অপরিহার্য ও অলঙ্ঘনীয় নিয়তি হয়ে দেখা দিয়েছে। নির্বিচারে চালানো হচ্ছে দলন-পীড়ন, হত্যা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও জুলুম-নির্যাতন। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশও তা থেকে মোটেই আলাদা নয়। আর সে ধারাবাহিকতায় এবং দেশ থেকে ইসলাম ও ইসলামী মূল্যবোধ ধ্বংস করার জন্য ইসলামী আন্দোলনের শীর্ষনেতাদের একের পর এক হত্যা করে ইসলামী আন্দোলনকে নেতৃত্বশূণ্য করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। কিন্তু ইসলামী আন্দোলনের ওপর ক্রাক ডাউন চালিয়ে তারা মোটেই সফল হয়নি বরং জুলুম-নির্যাতন ইসলামী আন্দোলন ময়দানকে আরও উর্বর ও শানিত করে তুলেছে। তাই ময়দানের উর্বরতাকে কাজে লাগাতে নতুন প্রজন্মকেই এগিয়ে আসতে হবে। তিনি ইসলাম বিজয়ের লক্ষ্যে সকলকে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তোলার আহবান জানান।