মিরপুরের কালশী এলাকায় অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও ব্যক্তিদের সার্বিক খোঁজখবর নিচ্ছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আমীর মুহা: সেলিম উদ্দিন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন পল্লবী থানা উত্তরের আমীর মুহা: সাইফুল কাদের, পল্লবী থানা ছাত্রশিবির সেক্রেটারী মুহা: জাহিদুল ইসলাম সহ স্থানীয় জামায়াত ও ছাত্র শিবির নেতৃবন্দ।
মিরপুরের কালশীস্থ বাউনিয়া বস্তিতে গত দিবাগত রাতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ব্যাপক ক্ষতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ, ক্ষতিগ্রস্থদের যথাযথ ক্ষতিপূরুণ, অনবিলম্বে পূনর্বাসন ও অগ্নিকান্ডের কারণ অনুসন্ধানে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠনের আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
এক বিবৃতিতে মহানগরী আমীর বলেন, রাজধানীতে অগ্নিদুর্ঘটনা এখন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এক ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই নতুন দুর্ঘটনা ঘটছে। কিন্তু সরকার বা সংশ্লিষ্ট বিভাগ অগ্নিদুর্ঘটনা রোধে কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। অগ্নিনির্বাপনে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারও নিশ্চিত করা হচ্ছে না। ফলে এ ধরনের অগ্নিদুর্ঘটনা প্রায় অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। সে ধারাবাহিকতায় গতকাল গভীর রাতে কালশীর বাউনিয়া বাঁধ এলাকার বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে দুই শতাধিক বাড়ী সম্পূর্ণ ভষ্মীভূত হয়ে সহস্রাধিক মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন। আকস্মিক এই দুর্ঘটনায় বস্তিবাসীরা নিজেদের নিত্যপ্রয়োজনীয় মাল-সামানাও নিরাপদ করতে পারেননি। ফলে তারা প্রচন্ড শীতে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
তিনি বলেন, কালশীর বস্তিতে অগ্নিকান্ডে অগ্নি দুর্গতরা প্রায় সর্বশান্ত হয়ে পড়েছেন। ফলে সেখানে মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এমতাবস্থায় অগ্নিদুর্গতদের জন্য জরুরি মানবিক সাহায্য ও দ্রুত পূনর্বাসন প্রয়োজন। তিনি অগ্নিদুর্গতদের নিরাপদ আশ্রয়, যথাযথ ক্ষতিপূরুন, জরুরি মানবিক সাহায্য ও দ্রুততম সময়ে পুনর্বাসনের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি এবং অগ্নিদুর্গতদের দুর্দশা লাঘবে সমাজের বিত্তবান মানুষ সহ দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান। মহানগরী আমীর ঘটনার কারণ তদন্তে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠনেরও দাবি করেন।