বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেছেন, মৌসুমী শৈত্য প্রবাহ পরিস্থিতি আবারো অবনতি হতে শুরু করেছে। ফলে নগর জীবন নতুন করে বিপর্যস্ত হতে শুরু করেছে। বিশেষ করে নিন্ম আয়ের মানুষরা প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্র ও নিরাপদ আশ্রয়ের অভাবে খুবই কষ্ট পাচ্ছেন। আমরা শীতার্ত মানুষের সাথে সহানুভূতি প্রকাশের জন্যই যৎসামান্য সাহায্য নিয়ে আপনাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় নিতান্তই অপ্রতুল। কারণ, আমাদের সাধ অনেক হলেও সাধ্য খুবই সীমিত। আশা করি, আপনারা আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াসকে ইতিবাচক দৃষ্টিতেই দেখবেন। তিনি দুর্গত মানুষের দুর্দশা লাঘবে দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান।
বুধবার রাজধানীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের দক্ষিণখান থানার উদ্যোগে শীতার্তদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। থানা আমীর জামাল উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম। আরও উপস্থিত ছিলেন উত্তরখান থানা আমীর মুস্তাকিম আলম, জামায়াত নেতা মোহাম্মদ আলী, ডা. হাবীবুর রহমান ও নজরুল ইসলাম শহীদ প্রমুখ।
সেলিম উদ্দিন বলেন, খড়া, বন্যা, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, জলোচ্ছাস, ঘুর্ণিঝড়, শৈত্য প্রবাহ আমাদের নিত্যসঙ্গী। ভৌগলিক ও আবহাওয়াগত কারণেই এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাথে আমাদেরকে প্রতিনিয়তই মুখোমুখি হতে হয়। মূলত মৌসুমী জলবায়ুর প্রভাবেই এসব হয়ে থাকে। তাই এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগ সহনীয় পর্যায়ে রাখতে হলে প্রাক প্রস্তুতি নেয়া আবশ্যক। কিন্তু এক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় উদাসীনতা দুঃখজনক। বিষয়টি দেখভাল করার জন্য দেশে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর রয়েছে। কিন্তু অতীব পরিতাপের বিষয় যে, রাজধানীসহ সারাদেশে শৈত্য প্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়লেও সরকার, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের তেমন কোন তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি। ফলে রাজধানী সহ সারা দেশের দরিদ্র জনগণ ও শ্রমজীবী মানুষ শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্ট পাচ্ছেন। এমতাবস্থায় শীত নিবারণের জন্য দরিদ্র লোকদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। তিনি শীতার্ত মানুষের দুর্দশা লাঘবে সরকার, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানান।