বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহা. রেজাউল করিম বলেছেন, দেশে মৌসুমী শৈত্যপ্রবাহের প্রভাবে তাপমাত্রা আশঙ্কাজনকভাবে কমে যাওয়ায় সারাদেশেই জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও শ্রমজীবি মানুষ প্রচন্ড শীতে কষ্ট পাচ্ছেন। তাই আমরা শীতার্ত মানুষের দুর্দশা লাঘবে সীমিত সামর্থ নিয়ে এগিয়ে এসেছি। আশা করি আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা শীতার্ত মানুষের দুর্দশা লাঘবে কিছুটা হলেও সহায়ক হবে। তিনি দুর্গত মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আশার জন্য সরকার, সকল রাজনৈতিক দল, দাতা সংস্থা সহ সমাজের বিত্তবান মানুষকে এগিয়ে আশার আহবান জানান।
তিনি আজ রাজধানীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের শেরে বাংলানগর দক্ষিণ থানা আয়োজিত শীতার্ত মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণকালে এসব কথা বলেন। থানা আমীর আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও জোন পরিচালক মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন, থানা বাইতুল মাল সেক্রেটারি শাহ মজদু উদ্দীন প্রমূখ।
ড. এম আর করিম বলেন, সারাদেশে এবং বিশেষ করে দেশের উত্তরাঞ্চলে প্রচন্ড শীত পড়েছে। ইতোমধ্যেই চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা সর্বনিম্ন ৭.৯ ডিগ্রী সেলসিয়াসে নেমে এসেছে। অনেক এলাকায় আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় সার্বিক পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়েছে। ফলে তাপমাত্রা বিপজ্জনক পর্যায়ে নেমে এসেছে। দেশের দরিদ্র সাধারণ জনগণ ও শ্রমজীবি মানুষ শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্ট পাচ্ছেন। প্রচন্ড ঠাণ্ডা আবহাওয়ার কারণে একদিকে শীত বাড়ছে, অন্যদিকে শীতবস্ত্র না থাকায় দরিদ্র লোকদের মধ্যে ঠান্ডাজনিত কারণে বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভার হওয়ার আশংকা করা হচ্ছে। এ অবস্থায় শীত নিবারণের জন্য দরিদ্র লোকদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, জনগণের যেকোন সমস্যার সমাধান করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। কিন্তু দেশে ন্যায়-ইনসাফের ভিত্তিতে কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত না থাকায় জনগণ রাষ্ট্রের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। শীতের প্রকোপে সারাদেশে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হলেও সরকার দুর্গত মানুষের কল্যাণে এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। অথচ শীতার্ত ও দরিদ্র লোকদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণের দায়িত্ব হলো সরকারের। কিন্তু সরকার জনগণের দুঃখ-দুর্দশায় তাদের পাশে দাঁড়াতে বরাবরই ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। বর্তমান সরকার জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না বলেই জনগণের সুখ-দুঃখের কোনো খবর সরকার রাখে না। মূলত এ সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন জনদুর্ভোগ বাড়বে বৈ কমবে না। তাই জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করে জনমনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে এই ব্যর্থ সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিদায় করতে হবে।