বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহা. রেজাউল করিম কলেছেন, সাম্য, গণতন্ত্র, আইনের শাসন, সামাজিক ন্যায়বিচার ও অর্থনৈতিক মুক্তিই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হলেও স্বার্থান্বেষী মহল আত্মস্বার্থ, গোষ্ঠীস্বার্থ ও দলীয় স্বার্থকেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বানিয়েছে। তাই দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থেই আমাদেরকে এই অশুভ বৃত্ত থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বিজয়ের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে শোষণ-বঞ্চনামুক্ত গণতান্ত্রিক ও ন্যায়-ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
তিনি আজ রাজধানীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের দক্ষিণখান থানা আয়োজিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে দুঃস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। থানা আমীর মুহাম্মদ জামাল উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা নজরুল ইসলাম শহীদ, ডা. আবু তাহের ও এ এস শাহনেওয়াজ প্রমূখ।
ড. এম আর করিম বলেন, ক্ষমতাসীনদের বিভাজনের রাজনীতির কারণেই আমাদের মহান স্বাধীনতা ও বিজয় এখনও পুরোপুরি অর্থবহ হয়ে ওঠেনি। সাম্যের পরিবর্তে বিভক্তি, গণতন্ত্রের নামে স্বৈরতন্ত্র, আইনের শাসনের নামে জুলুম-নির্যাতন, সামাজিক ন্যায়বিচারের পরিবর্তে সীমাহীন বৈষম্যের ফলে জনগণ হতাশ ও উদ্ধিগ্ন। যা কোন স্বাধীন, সার্বভৌম ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য হতে পারেনা। তাই স্বাধীনতা ও মহান বিজয়কে অর্থবহ করতে হলে দল-মত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালাতে হবে।
তিনি বলেন, সরকার দেশ পরিচালনায় সার্বিকভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তারা জনগণের জন্য সুশাসন উপহার দিতে পারেনি। দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি এখন সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। সর্বনাশা দুর্নীতি আমাদের জাতিস্বত্তাকে একেবারে অন্তঃসারশূণ্য করে ফেলেছে। দুর্নীতির ভয়াবহতা থেকে মুক্ত থাকেনি ইসলামিক ফাউন্ডেশনও। তাই দেশ ও জাতিকে এই ভয়াবহ অবস্থা থেকে বাঁচাতে হলে রাজনৈতিক সঙ্কীর্ণতার উর্দ্ধে উঠে দলমত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষ সকল শ্রেণি ও পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তাহলেই আমাদের মহান বিজয় সফল ও স্বার্থক হয়ে উঠবে। তিনি বিজয়ের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সুস্থ ও ইতিবাচক রাজনীতি চর্চার মাধ্যমে সকলকে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করার আহবান জানান।
আলোচনা সভা শেষে প্রধান অতিথি মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে দুঃস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ করেন।