বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেছেন, ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের কোন অবসর গ্রহণের সুযোগ নেই। জীবনের শুরু থেকে শেষ দিন পর্যন্ত দ্বীনে হকের প্রতি মজবুতভাবে প্রতিষ্ঠিত থেকে ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালানোই ঈমানের দাবি। সাম্প্রতিক সময়ে গোটা বিশ্বেই ইসলামী আন্দোলনের ওপর জুলুম-নির্যাতন চলছে। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশও তা থেকে মোটেই আলাদা নয়। তাই সকল বাধা-প্রতিবন্ধকতা ও বিপদসঙ্কুল পথ অতিক্রম করেই ইসলামী আন্দোলনকে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য কর্মীদের আপোষহীন ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি কাঙ্খিত বিপ্লব সফল করতে সকলকে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
আজ শুক্রবার রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের হাতিরঝিল পশ্চিম থানা আয়োজিত ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতাকর্মীদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
থানা আমীর মু. আতাউর রহমান সরকারের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি ইউসুফ আলী মোল্লার পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য হেমায়েত হোসাইন। উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা আবু তানজিল, সুলতান মাহমুদ, আবু সাঈদ, রাশেদুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রনেতা হাবিবুর রহমান মজুমদার, আব্দুল্লাহ আল কাফি, আশিকুর রহমান, তাওহিদুর রহমান ও বাহারুল ইসলাম প্রমূখ।
সেলিম উদ্দিন বলেন, ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের পথচলা কখনো কন্টকমুক্ত ছিল না বরং সব সময়ই ছিল বন্ধুর ও বিপদসঙ্কুল। অতীতে যারাই মানুষের কাছে দ্বীনে হকের দাওয়াত দিয়েছেন তাদের ওপরই নেমে এসেছে অবর্ণনীয় জুলুম-নির্যাতন সহ পর্বত প্রমাণ বাধা-প্রতিবন্ধকতা। নবী-রাসুলগণও তা থেকে মুক্ত ছিলেন না। এমনকি তা থেকে রেহাই পাননি সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব ও রাহমাতিল লিল আলামীন হযরত মোহাম্মদ (সা.)।
তিনি বলেন, আগামী দিনের পৃথিবী হবে জ্ঞানের পৃথিবী। তাই একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের জ্ঞানের পরিসর বাড়াতে হবে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত বিদ্যার পাশাপাশি ওহীর জ্ঞানও অর্জন করতে হবে সমান্তরালে। এজন্য একজন দায়িকে বেশী বেশী কুরআন, হাদিস ও ইসলামী সাহিত্য অধ্যয়ন করতে হবে। জানতে হবে মানুষের জীবন ঘনিষ্ঠ মাসলা-মাসায়েলও। বাড়াতে হবে গণসম্পৃক্ততা। মানুষের সকল সমস্যার সাধ্যমত সমাধান দেয়ার চেষ্টা করতে হবে। ইসলামের দাওয়াত মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছাতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে দাওয়াতি প্রক্রিয়া থেকে কেউ যেন বাদ না যায়। জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও হেকমতের সাথে মানুষের কাছে দাওয়াত পৌঁছাতে পারলে তা অবশ্যই মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে ও ইসলামের বিজয়ের পথ হবে সহজতর। তিনি দাওয়াত সম্প্রসারণের জন্য ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের নিরলসভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।